সোমনাথ লাহিড়ী ও তৎকালীন কমিউনিস্ট সমাজ: প্রেক্ষাপট ৪৬-এর অন্য কলকাতা
রক্তিম ঘোষ ইতিহাস মাঝেমাঝে প্রেডিকশনের বাইরে চলে যায়। কী হচ্ছে-কেন হচ্ছে হিসাব কষার বিশেষ উপায় থাকে না। নভেম্বর ১৯৪৫ সালের কলকাতার কমিউনিস্ট নেতা ও কর্মীদের হাল হয়েছিল অনেকটা সেইরকমই। অনেকটা বিষম খাওয়ার মতো। ২১ নভেম্বর ১৯৪৫-এর ঘটনা দিয়েই শুরু করি। আজাদ হিন্দ ফৌজের বিচার চলছে আর সেই নিয়ে একটা সভা ডেকেছে গান্ধিবাদী ছাত্র সংগঠন। দিলীপ কুমার বিশ্বাসদের এই ছাত্র কংগ্রেসের সভায় যাওয়ার কোনও কারণ ছিল না কমিউনিস্ট নৃপেনের। তিনি গিয়েছিলেন ইডেন গার্ডেনে টেস্ট খেলা দেখতে। ফিরবার পথে খবর পান ধর্মতলায় ছাত্ররা নাকি পথ জুড়ে বসে রয়েছেন। আর পুলিশের সঙ্গে তাঁদের গণ্ডগোলও বেধেছে। নিছক কৌতূহল মেটাতে সেখানে গিয়ে পৌঁছন নৃপেন। গিয়ে দেখেন এক প্রস্থ লাঠিচার্জ হয়ে গিয়েছে। ছাত্ররা আবার ছত্রভঙ্গ অবস্থা থেকে একত্রিত হচ্ছেন আর অফিস যাত্রীদের ভিড়ও উপচে পড়ছে। এদিকে ভিড় সরাতে ব্যস্ত ঘোড় সওয়ার পুলিশ। খানিক বাদে খাকসাররা এসে পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারলেন। শুরু হল আবার লাঠিচার্জ। কলকাতার রাস্তার আলো ভেঙে নিভিয়ে দিলেন সাধারণ জনতা। এই দৃশ্য অভূতপূর্ব। তাঁরা পালিয়ে না গিয়ে লড়ছেন গোরাদের চোখে চোখ রেখে। নৃপেন দেখলেন...