Posts

Showing posts from February, 2023

রিপিট টেলিকাস্ট

Image
ঋদ্ধিমান বসু ২১শে জানুয়ারি, ২০২৩ মাসখানেক ধরে আমাদের একটা রিপিট টেলিকাস্ট দেখানো হচ্ছে, বা বলা ভাল গেলানো হচ্ছে; আবার নাকি করোনা (কোভিড ১৯) ভয়ংকর রূপ নিয়ে ফিরে এসেছে, তাই সবার উচিত সাবধান হয়ে অযৌক্তিক সব বিধিনিষেধ পালন করা। প্রিন্ট এবং ভিসুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বার্তা ক্রমাগত জনমানসের মাথায় ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা চলছে। তবে খুব একটা সফল হচ্ছেনা। তার কারণ বুঝতে হলে আমাদের বিগত ৩ বছরের দিকে ফিরে তাকাতে হবে। এখানে কিছু তথ্য থাকবে, আর কিছু অনুমান বা বিশ্লেষণ (নিজের এবং অন্যদের)। ২০১৯ এর শেষের দিকে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে এক ভয়ংকর রোগ নাকি চীন দেশে আত্মপ্রকাশ করেছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯ (covid-19)। আরও শোনা গেল এটা নাকি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) ২০২০ র জানুয়ারির শেষে একে অতিমারী (pandemic) বলে ঘোষণা করল। প্যান্ডেমিক শব্দটার সঙ্গে আমার তেমন পরিচিতি ছিল না, আমি বড়জোর epidemic (মহামারী) শুনেছিলাম। এটা একদম নতুন ব্যাপার হলেও (আমার জন্মাবধি এরকম কখনও দেখার সুযোগ হয়নি), আমি তেমন বিব্রত হইনি; এমনকি কোভিড ভারতে ঢুকে পড়েছে এটা জানার পরও। ভারতের মত একটা...

বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের অগ্রগতি প্রসঙ্গে

Image
রূপক গায়েন সাম্প্রতিককালের ছাত্র আন্দোলনের পরিসরে মেডিকেল কলেজের ছাত্র আন্দোলন সাফল্য লাভ করেছে। তবে আন্দোলনের ঝোঁক শুরু থেকেই ছিল ভীষণভাবে অনশন কেন্দ্রীক অর্থাৎ   আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরগুলো অতিক্রম না করেই আগেভাগে অনশনে বসে যাওয়া। মেডিকেল কলেজগুলোর আন্দোলনে এই ধরনের প্রবণতা অনেকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই অনশন আন্দোলনেরই একটি পর্যায় কিন্তু তা সর্বশেষ হাতিয়ার হওয়ার কথা। দীর্ঘ আন্দোলনের আগেই অনশন কর্মসূচী কার্যত আন্দোলনে সমাবিষ্ট পড়ুয়াদের ঘনত্ব কমায়। ফলে দেখা গেছে, চটজলদি কিছু দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে চায়। ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ যেমন পরিবর্তিত হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে কর্তৃপক্ষের আচরণেরও। আজ থেকে দশ বছর আগে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ব্যবহার যা হতো, তার ভোল পাল্টে   গেছে; কর্তৃপক্ষ অনেক বেশি স্বৈরাচারী এবং জিঘাংসাকামী হয়ে উঠেছে। আমাদের রাজ্যে এই ধরনের কাজকর্মের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। একই রকম আচরণ রাজ্য সরকারের অধীন কলেজগুলোতেও দেখা যাচ্ছেঃ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূলপন্থী ...

কাতার বিশ্বকাপের পর্যালোচনা

Image
রূমেলা দেব প্রায় একমাস হতে চলল কাতারে শেষ হওয়া "দ্য গ্রেটেস্ট সো অন দ্য আর্থ" অর্থাৎ ২০২২ ফুটবল পুরুষ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলি বিশ্বকাপ হয়েছে (পুরুষ, নারী বিভাগ) প্রত্যেকটির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং অর্থনৈতিকভাবেও অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ফুটবলের মহোৎসব আয়োজনে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। ২০১০ সালে প্রথমবার ফিফার কাছ থেকে হাইজ্যাক করে বিশ্বকাপ নিয়ে এসেছিলো কাতার তার নিজ দেশে অনুষ্ঠিত করার জন্য। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল এবং কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে গভীর রাজনীতি এবং বৈষম্যের প্রভাব রয়েছে। সাথে এশিয়ার সূর্য হিসেবে উদীয়মান কিছু দেশ ইউরোপের একচেটিয়া ফ্র্যাঞ্চাইসি ফুটবল ও EUFA-র কর্পোরেট মাফিয়াদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে ইতিহাস রচনা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত ধনী এবং শরীয়ত আইন দ্বারা প্রভাবিত একটি দেশ কাতার এ বছর প্রথম সর্বোচ্চ বিলিয়ন খরচা করে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করেছিল মরুর বুকে। আরব মরুভূমির এই দেশটিতে ফুটবলের ন্যূনতম অবকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও ২২০ বিলিয়ন ডলার খরচা করে খেলার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করেছে। প্রথম থেকেই তীব্র শোষণ, ম...