বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানকে হিন্দু বিরোধী রঙ চড়ানোর রাজনীতি
নাবিল জাহাঙ্গীর
সাংবাদিক, বাংলাদেশ
জুলাই আন্দোলনের সময় রাজপথে যখন অকাতরে স্বৈরাচারের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা, তখন পশ্চিমবঙ্গেও এই জনহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। সেটা কোলকাতা হোক কিংবা ঢাকা, শোষিতের পক্ষে শোষিত দাঁড়াবে এটাই বাস্তবতা।
অপরদিকে বাংলাদেশে সংগঠিত এই জনহত্যা প্রচারে এক প্রকার নিরবতা পালন করেছিল ভারতীয় গণমাধ্যম। অথচ ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর থেকে আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম এই অভ্যুত্থানকে হিন্দু বিরোধী মুসলিম জাতীয়তাবাদীদের অভ্যুত্থান প্রমাণের নির্লজ্জ প্রোপাগান্ডা চালাতে কোমর বেঁধে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসক শ্রেণীর পোষ্য গণমাধ্যম বা গদি মিডিয়া। তাদের দাবি অনেকটা এমন যে, হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশী হিন্দুদের বিরুদ্ধে ধর্ম যুদ্ধ শুরু করেছে অভ্যুত্থানে বিজয়ী শক্তি! তাহলে কি তারা বলতে চাইছে হাসিনাই বাংলাদেশী হিন্দুদের একমাত্র রক্ষাকর্তা, তার পতন মানে হিন্দু সমাজের পতন?
বাস্তবতা হলো, একটি রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্টরা যখন পালায় তখন তাদের ঠিকাদারদের দিয়ে সাজানো প্রশাসন অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে। ৫ই আগস্টের পর আমরা দেখেছি ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক পর্যায়ে গণহত্যায় সহযোগি পুলিশ সদস্যরাও পালিয়ে যায়, থানাগুলো খালি পড়ে থাকে। এক ধরণের প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দেয়, কেউ কেউ এই সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এই সময়টায় ডাকাতের ভয়ে রাত জেগে পাড়ায় মহল্লায় বাসিন্দাদের পাহারা বসাতে হয়েছিল। জনগণকে তার নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল। এই ঘটনাকে অনেককে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী অবস্থার সাথে তুলনা করতে শুনেছি।
অতি উৎসাহীদের হাতে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত এবং হৃদয় বিদারক মব লিঞ্চিংয়ের ঘটনাও ঘটে। আছে সংখ্যালঘুদের উপর কিছু আক্রমনের ঘটনাও, তবে এসময় আক্রান্তদের অনেকে হিন্দু পরিচয়ের জন্য নয় বরং তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য জনরোষের শিকার হন। আমরা দেখছি মন্দিরের পাহারায় রাত জেগেছিল মাদ্রাসার ছেলেরা। আবার দুর্গাপূজার সময় মণ্ডবগুলো পাহারা দিয়েছে মুসলিমরা। গত ষোল বছরের ইতিহাসে এবছর দূর্গা পূজায় সব থেকে কম সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। আপনি চাইলে ইন্টারনেটে খুব সহজে সেই পরিসংখ্যান খুঁজতে পারেন।
ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে এরপরও আমরা সংখ্যালঘুদের উপর কিছু জায়গায় হামলার ঘটনা দেখলাম, উদাহরণ হিসেবে খাগড়াছড়ি কিংবা সুনামগঞ্জের কথা বলা যায়। অতি উৎসাহী উগ্রবাদী সব সমাজেই আছে। এসব হামলা থেকে কারা লাভবান হচ্ছে, কারা আক্রমণ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কি, তাদের বিচারের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে পারে। ন্যায় বিচার নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে সে দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে দেয়া যেতে পারে। তবে তার আগেই ঢালাওভাবে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত সরকারকে সংখ্যালঘু বিদ্বেষী তকমা দেয়াটা বিপদজনক এবং মিথ্যা কল্পনা মাত্র।
এখানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ আসতে পারে। জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় সাবেক এক বিএনপি নেতার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার কেন করা হলো, কেন সাথে সাথে জামিন দেয়া হলো না, সে নিয়ে সমালোচনা আছে। আবার ভেতরে ভেতরে আলোচনা আছে যে ইস্কন থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা বিদেশি উগ্রবাদীদের প্ররোচনায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিলেন। যদি করেও থাকেন তাহলে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো উচিত ছিল।
এই ঘটনার জেরে সৃষ্ট সহিংসতায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা আদালত পাড়ায় আইনজীবীকে হত্যা করছেন তাদেরকে আপনি অহিংস বলবেন? জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যখন ফাঁসি দেয়া হয়েছিল, হেফাজতের নেতাদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিংবা বেগম খালেদা জিয়া সহ বিরোধীদলীয় বড় বড় নেতাদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তখনও কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে নাই। কিন্তু তারপরেও আশার কথা হলো মুসলমান আইনজীবীকে হিন্দু উগ্রবাদীরা খুন করেছে এমন দাবি তুলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো হয়নি, কোনো দাঙ্গা বাধে নাই। এখানেই নতুন বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সৌন্দর্য।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কি সমগ্র বাংলাদেশী হিন্দুর প্রতিনিধি নাকি হিন্দুত্ববাদের প্রতিনিধি সেই প্রশ্নও অনেকে তুলছেন। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, চিন্ময়কে গ্রেফতারের পর বিজেপি ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যমগুলো যেভাবে ক্রুসেড ঘোষণা করেছে মনে হবে যেন বিজেপির কোনো নেতাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের সময় এরাই কিন্তু মুখে কুলুপ এটে থাকে। সে যাইহোক নাগরিক হিসেবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায় বিচার লাভের অধিকার রাখে। সেটা নিশ্চিতের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। সেটা তিনি পাচ্ছেন কিনা, সেটা জানতে হয়তো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
এখন আমাদেরকে অভ্যুত্থান নিয়ে একটু আলাপ করা প্রয়োজন। খেয়াল করলে দেখবেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনীর কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবির মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূত্রপাত, পরে যা স্বৈরাচার পতনের এক দফায় পরিনত হয়। একনায়ক শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী 'বাঙালি জাতি' কেন্দ্রিক রাজনীতির বিপরীতে এই আন্দোলনের অন্যতম চেতনা হলো বৈষম্য নিরসন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে গণতন্ত্র বা জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। বাঙালি জাতি পরিচয়ের পরিবর্তে এই পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের কাছে রাষ্ট্র ও নাগরিকের পরিচয় মূখ্য হয়ে ওঠে। বাঙালি পরিচয়ের জায়গায় উঠে আসে বাংলাদেশী পরিচয়।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ছাত্র জনতা এতে অংশ নেয়। শহীদদের তালিকায় শুধু আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধ নন কিশোরগঞ্জের তনয় চন্দ্র শীল, মাদারীপুরের দীপ্ত সেন কিংবা চাঁদপুরের সৈকত দে'রাও রয়েছেন। এই সংগ্রামের চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের। আদিবাসী, নারী কিংবা হিন্দু-বোদ্ধ-খৃষ্টান, মুসলমান সবাই সেই বাংলাদেশের নাগরিক, সবার অধিকার সমান। অভ্যুত্থানে পরবর্তী সময়ের যে চ্যালেঞ্জ তা সবাইকে একসাথে মোকাবিলা করতে হবে, সুফলও একসাথেই ভোগ করবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই ঐক্যে ফাটল ধরাতে আজ হিন্দু মুসলমান বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনি যদি সংগ্রামীদের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করতে যান। এরা তরুণ, কেউ ছাত্র কেউ খেটে খাওয়া শ্রমিক। ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই আন্দোলনে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলেরও অংশগ্রহণ ছিল। বামপন্থী কিংবা ইসলামী জাতীয়তাবাদী দলও তাতে ছিল। কিন্তু যারা রাজপথে লড়াই করেছে শ্রেণীগত ভাবে এরা সবাই সমাজের অর্থনৈতিক সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর মানুষ। এই শ্রেণীর লোকেদের ধর্ম, জাতি বা রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক জীবনধারণের ব্যয় মেটাতে এরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে যায়। এদের অধিকাংশের কাছে নিজের বা পরিবারের কারো একটা সরকারি চাকরি জীবনের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা বলে মনে হয়। অর্থাৎ এরা সমাজের ঐতিহাসিক ভাবে অর্থনৈতিক শোষণ ও সম্পদের অসম বন্টনের শিকার। যদিও শ্রেণী পরিচয় নিয়ে অধিকাংশই সচেতন বা সংগঠিত নয়।
অভ্যুত্থান পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে শোষিত শ্রেনী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে একধরনের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা ফ্যাসিবাদ ও একনায়কতান্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণহত্যার বিচার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঐক্য। এই ঐক্য ভাঙ্গার প্রচেষ্টা ভেতরে বাইরে আছে। সমাজে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর মানুষ আছে, হুজুগে লাফানোর লোকও আছে। কিন্তু, অভ্যুত্থানের চেতনা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা নেই। তবে, ফ্যাসিবাদী আমলের ধাক্কা কাটিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সে লক্ষ্যে নানা ধরনের সংস্কার উদ্যোগ ইতিমধ্যে চলমান আছে।
যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন তরুণরা দেখছে সেখানে মুসলমান বা হিন্দু নাগরিক নেই, সকল নাগরিকের সসম্মান উপস্থিতি আছে। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকের কাছে ভবিষ্যৎ বিপ্লবের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এখন এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে উপনিত, যা থেকে ভবিষ্যৎ গন্তব্য নির্ধারিত হবে। এই পথ যদি অর্থনৈতিক বৈষম্য অবসানের দিকে যায়, তাহলে শোষিত শ্রেনীর মুক্তির লড়াই আরো জোরদার হবে।
কিন্তু এ নিয়ে ভারতীয় কিছু রাজনৈতিকের মাথা ব্যথা কেন? সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসলেও হিন্দুত্ববাদী বিজেপিও কিন্তু এক ধরণের ফ্যাসিবাদের ধারক, তাই স্বাভাবিকভাবেই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থান তাকে সঙ্কিত করবে। কারণ তার নিজের দেশেও সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মত জনরোষ চাপা পড়ে আছে। বাংলাদেশের এই জুলাই অভ্যুত্থান আরব বসন্তের মত ছড়িয়ে পড়লে তার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে। আর এখানে দিদিরও শঙ্কা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজ দেশের জনগণের কাছে এই অভ্যুত্থানকে নিকৃষ্ট প্রমাণ করতে মোদি-দিদি একমত। আর তাদের মোক্ষম অস্ত্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোয়া তোলা।
এছাড়া এই অভ্যুত্থানকে হিন্দু বিরোধী প্রমাণ করতে পারলে নিজ সমর্থকদের ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে বা এ ধরণের পরিস্থিতি তৈরি করে নিজেদেরকে হিন্দুর রক্ষাকর্তা দাবি করে ভোটব্যাঙ্ক সৃষ্টির অপরাজনীতি এর পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। মুখে বাংলাদেশের হিন্দু বাঁচাও বললেও অন্তরে এরা দুই দেশেই দাঙ্গা চায়। বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্য টিকে থাকলে হিন্দু মুসলমানের বিভেদ ঘটানো তাদের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের প্বার্শবর্তী রাজ্যগুলোতে তাদের প্রভাব বেশি থাকায় সেখানে অবস্থার অবনতির আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর যে ক্ষোভ তারা তৈরি করছে তা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর উগ্রে দেয়ার অপরাজনীতিও দেখা যেতে পারে।
তাছাড়া, ভারতে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী শক্তি বাংলাদেশকে তার নয়া উপনিবেশ হিসেবে ভাবতেই ভালোবাসে। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখে তাদের সেই স্বপ্নও অনেকটা বাস্তবায়ন হয়েছিল। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। নতুন বাংলাদেশ ভারতের সাথে মর্যাদা পূর্ণ সম্পর্ক চায়, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের কথা বলে। তাই মোদির দল- সরকার আর গদি মিডিয়া এই কথা প্রমাণে ব্যস্ত যে হাসিনাই ভালো ছিল, তখন হিন্দুরা ভালো ছিল। যদি তাদের কথা সত্যি হয়, তাহলে গণঅভ্যুত্থানে আমাদের দুইহাজারের বেশি ভাই-বোনের আত্মদান কি বৃথা? যে সব হিন্দু ভাইরা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছেন তাদের অবস্থান ভারতীয় হিন্দু সমাজের কাছে কোথায়?
ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, জাতি ও ভাষাগতভাবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক থাকার কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ওপার বাংলার মানুষের উদ্বেগ থাকা খুবই স্বাভাবিক। আগেই বলেছি, পুলিশ গুলি চালিয়েছে ঢাকার রাস্তায় সেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতার রাস্তাতেও। তাই আমি চাইবো আপনারা বেশি করে বাংলাদেশ খোঁজ খবর রাখুন। গদি মিডিয়ার উপর ভরসা না রেখে বাংলাদেশে থাকা আপনাদের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনারা বাংলাদেশে এসে নিজ চোখে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের বিনির্মাণ দেখে যান। গদি মিডিয়ার বয়ানে দুই বাংলার মানুষের সম্পর্ক নির্ধারিত হতে পারে না। আপনারা আপনাদের সাথে সুসম্পর্ক চাই, কিন্তু দিল্লির হিন্দুত্ববাদী শাসকরা আমাদের উপর দাসত্বের শর্ত আরোপ করতে চায়।
[The views expressed by the author are his sole responsibility.]
লেখকের ফেসবুক লিংকঃ https://www.facebook.com/NabilJahangir?mibextid=ZbWKwL
চিত্র নির্দেশ: 'প্রথম আলো'-র তোলা ছবি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, টিএসসি
Comments
Post a Comment