AI – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

অনির্বাণ 

(আমাদেরটা আমাদেরই ভাবতে হবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণ মানুষের হয়ে ভাববে না, যতক্ষণ না)

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা - দুনিয়া জুড়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় সংক্ষেপে যাকে বলা হচ্ছে AIকি এই AI, কি কি করতে পরে বা পারবে, AI ঠিক কতটা বদলে দিতে পারে আমাদের এই চারপাশ, আমাদের সমাজ, আমাদের জীবিনযাত্রা - এরকম বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে আমাদের সামনে। অনেকেই বলছেন বিজ্ঞানের সাম্প্রতিকতম বিশেষ অগ্রগতি নাকি AI তৈরী করেছে। সত্যই কি তাই? 

AI-এর মূল আধার গণিত, আরও স্পষ্ট করে বলতে হলে রৈখিক বীজগণিত (Linear Algebra), ক্যালকুলাস, রাশিবিজ্ঞান (Statistics) ও সম্ভাব্যতা (Probability) এবং এরকম আরও কিছু গাণিতিক বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে AI তৈরী হয়েছে। এই বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে AI এর থিওরি বহু আগেই তৈরী হয়ে গেছিলো। অন্তত ২০ বাছর আগেও আমাদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশল (IT Engineering) এবং MCA (Masters in Computer Application)-এর পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে(আরও কত বাছর আগে থেকেই তা পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত তা আমার জানা নেই)। কোনো বিষয় পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত হাওয়ার অর্থ তা যথেষ্ট বিকশিত হয়েছে, নাহলে তৃতীয় বিশ্বের সাধারণের পাঠক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত করা হত না। তাহলে আজ হঠাৎ করে নতুন কি হল? গত ২০ বছরে যা হয়েছে তা হল কম্পিউটার ও তার সম্পর্কিত অনুসারী প্রযুক্তির অগ্রগতি। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে খুব কম জায়গায় বিপুল পরিমাণে তথ্য জমা করে রাখা সম্ভব হয়েছে এবং কম্পিউটারের প্রসেসিং স্পিড বিশেষ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সঙ্গে খরচ কমেছে এই দুয়েরই। AI বাস্তবায়নে এই দুটোই প্রয়োজন, প্রচুর পরিমাণ তথ্য খুব কম সময়ে বিশ্লেষণ করে ফলাফল নির্ণয় করতে পারা। ফলত বহু আগে তৈরী হাওয়া তত্ত্বর আংশিক বাস্তবায়ন আমরা আমাদের বাবহারিক জগতে এখন  দেখতে পাচ্ছি, এছাড়া আর নতুন কিছু হয়নি। ৯০এর দশকে কম্পিউটার বাবহার থেকে আজকে যাকে AI বলা হচ্ছে তার বাবহার একটি ধারাবাহিক যাত্রা, হঠাৎ করে তৈরী হওয়া কোনও নতুন বিষয় নয়।

যে কোনো প্রযুক্তি বা তার থেকে তৈরী হাওয়া যন্ত্রপাতি, যা মানব সমাজে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে, প্রাথমিক ভাবে সামরিক ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়, তা সে স্মার্ট ফোন হোক বা রোবটিকস। তারপর তা ব্যবহার হয় বড় বড় কোম্পানিগুলোর কর্মক্ষেত্রে [১] এবং সর্বশেষে তা পৌঁছয় সাধারণ মানুষের হাতে, তাও যারা সেই প্রযুক্তি কেনার ক্ষমতা রাখে একমাত্র তাদের আওতায়। AI এর ক্ষেত্রেও তার কোনও ব্যতিক্রম হয় নি। সামরিক ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি এতটা গোপনীয়তায় ব্যবহৃত হয় যে তার সম্পর্কে সাধারণ ভাবে জানা সম্ভব নয়। তবে বড় কোম্পানিগুলো যখন সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তখন তার সম্পর্কে কিছু কিছু খবর জানা যায়। যেমন SIRI নামক Apple কোম্পানির Virtual Assistant বহুদিন ধরেই AI ব্যবহার করে চলেছে। এমন কি Google-AI ব্যবহার করছে বহুদিন যাবত। Google বহুদিন আগেই জানিয়ে ছিল, Google Search করলে, ব্যবহারকারীর অতীত কার্যকলাপ (Activity, Old Search Pattern) বিবেচনা করে search result দেওয়া হবে [২], যা বাস্তবে AI-এরই ব্যবহার।

AI-এর বাস্তবায়ন আগের থেকে আর্থিক ভাবে বেশ কিছুটা সহজলভ্য হাওয়ায় আমরা আমাদের চারপাশে এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি দেখতে পাওয়া যাবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চলচ্চিত্র, সুর তৈরী থেকে শুরু করে হিসাব রক্ষা, দোকানে জিনিসপত্র মজুত রাখার হিসাব, রেলের সঞ্চালনা, তথ্য প্রযুক্তি  এবং এরকম আরও বহু ক্ষেত্রে। Robotics AI এর মেলবন্ধনের প্রয়োগ দেখা যাবে ভারি শিল্পে, প্রতিরক্ষায়, যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে, বড় বড় কৃষি জমিতে কৃষি কাজের ক্ষেত্রে। যে কোনো প্রযুক্তিই তৈরী হয় মানুষের সমকালীন শ্রম লাঘবের জন্য, এক্ষেত্রও তার ব্যতিক্রম হাওয়ার কোনো কারণ নেই। অতএব AI এর প্রভাব আমাদের কর্মক্ষেত্রে পরবে। 

মানসিক শ্রম ভিত্তিক বহু ধরনের কাজই ভবিষ্যতে হয়তো AI করবে। যেমন ধরা যাক যেকোনো শারীরিক সমস্যায় প্রাথমিক ভাবে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, সেই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রাথমিক ভাবে যে ওষুধ দেওয়া হয়, এই সব কিছুই AI করে নিতে পারবে অর্থাৎ চিকিৎসার প্রথম পর্ব যন্ত্র নির্ভর করা সম্ভব এবং তা শুরুও হয়ে গেছে [৩]। আবার বিনোদনের জগতে বিভন্ন ধরণের সুর তৈরী করা, বাদ্য যন্ত্র বাজানো, এমনকি একটা গান লিখে সেই গান যে কোনও ব্যক্তির গলার স্বরের নমুনা বাবহার করে গাওয়া - AI এই সব কিছুই করতে পারে [৪, ৫]। শুধু তাই নয় AI-এর সাহায্যে চলচিত্র নির্মাণও হচ্ছে [৬, ৭]। আবার হিসেব রক্ষার জন্যও AI সফটওয়্যার এসে গেছে [৮]। এরকমই মানসিক শ্রম ভিত্তিক যেকোনো কাজেই AI-এর বাবহার সম্ভব। আবার এরকম বহু বিষয়ই আছে যা AI-এর ক্ষমতার বাইরে। অরিজিৎ সিং-এর গাওয়া একটা গান হেমন্ত মুখোপাধায় গাইল কেমন শোনাবে তা যদিওবা AI তৈরী করতে পারে, অরিজিৎ সিং বা হেমন্ত মুখোপাধায়-এর মত একটা নতুন গলা তৈরী করতে পারবে না। ডাক্তারিতে কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে প্রোটোকলের বাইর বেরিয়ে কোনও চিকিৎসা করতে হলে তাও পারবে না। এমনকি হিসাব রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে বহু সময় নিয়মের বাইরে গিয়ে সমন্বয় (adjustment) করতে হয় বাস্তবিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে যা কোথাও কোনও নিয়মে লেখা নেই এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী তা সব ক্ষেত্রেই আলাদা, AI তাও পারবে না। সোজা কথায় বলতে গেলে নিয়মাবলী ও অতীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে যে কাজ করানো সম্ভব তা AI ভালো ভাবে করতে পারবে, এর বাইরে যা আছে তা AI করতে পারবে না। 

অতএব কর্ম সঙ্কোচন হবে, যেমন আগেও হয়েছে নতুন প্রযুক্তি  আসায়, নতুন কিছু কাজ ও তৈরী হবে যা আগেও হয়েছে। ভেবে দেখার বিষয়, হল আগে এই ধরণের অবস্থায় যারা (শাসকরা) মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করত যে নতুন প্রযুক্তি আসায় কাজ কমবে না; কর্ম ও কর্মী সঙ্কোচন হবে না; বরং কাজের পরিধি বাড়বে; নতুন কর্মচারী নিয়োগ হবে, যারা নাকি নেহাতই কুয়োর ব্যাঙ – নতুন কিছু শিখতে চায়না; উন্নয়ন বিরোধী; তারাই একমাত্র ভয় পাচ্ছে এবং ভয় দেখাচ্ছে – তারাই (শাসক ও তাদের পালিত প্রচারমাধ্যম) কেন  আজ উল্টো গাওনা গাইছে? তারাই আজ লোককে কেন বলছে আগামী দিনে মানুষ কাজ হারাবে?  

সামগ্রিকভাবে যারা এই বিশ্বকে প্রধানত নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই পুঁজিপতি ও শাসক শ্রেণির, তাদের একমাত্র লক্ষ্য তাদের বেক্তিগত পুঁজির কেন্দ্রীভাবন ও এই বিশ্বের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। তাই তারা কাজ বলতে শুধু সেই কাজকেই মান্যতা দেয় যা তাদের লক্ষ্যের সঙ্গে সমানুপাতিক। এই পৃথিবী আজ প্রায় ৭৫০ কোটি মানুষের বসতি। এরা সবাই কি পুঁজিপতি ও শাসক শ্রেণির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে? সাভাবিক বুদ্ধিতেই বলা সম্ভব, নেই। সামগ্রিক এই নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে হলে প্রয়োজন আরও নিবিড় নজরদারি বাবস্থা(আজকে যে নজরদারি বাবস্থা আছে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি, এবিষয়ে কিছু উদাহরণ আমরা দেব [৯, ১০১১], যে কাজ শাসক শ্রেণী প্রয়োজনিয় মনে করবে শুধু সেই কাজেই সাধারণ মানুষকে দিয়ে করানো, মানুষ যেন পুরোপুরি সেই ব্যবস্থার ওপরেই নির্ভর করে চলতে বাধ্য হয় যাতে বিরোধিতা করার কোনো সুযোগ না থাকে, শাসকের নজরে যা যা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেই সব জায়গায় যতটা সম্বব কম মানুষের হস্তক্ষেপ থাকে তা নিশ্চিত করা, মানুষের যাতায়াত কে নিয়ন্ত্রিত করা এবং অবশ্যই মানুষ যাতে জোট না বাঁধে তা নিশ্চিত করা। এখানে AI বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে যেমন শ্রম নিবিড় কাজে AI ব্যবহার করে উৎপাদনের ওপর মানব শ্রম নির্ভরতা কমানো(এর উদাহরণ আগেই দেওয়া হয়েছে), নজরদারি ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করা [৯, ১০, ১১] ইত্যাদি। সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডিং অনুধাবন করে মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ (character profiling) করার মতো প্রযুক্তি এখন মানুষের হাতে আছে [১০] এবং তার বাবহারও হচ্ছে।

কর্মহীনতার এই বিশাল বাজারে আরও কর্মী ও কর্ম সংকোচন মানুষের জীবন ধারণে কি প্রভাব ফেলবে, শঙ্কিত কর্মহীন মানুষ কি জোট বাঁধবে না, শাসক কি তা জানে না এই প্রশ্ন গুলো অবশ্যই হাজির হবে এখানে। অবশ্যই শাসক তা জানে। আর ঠিক সেই জন্যই সার্বজনীন মৌলিক আয় (Universal Basic Income) নিয়ে বিশেষ গবেষণা হচ্ছে [১৬, ১৭, ১৮, ১৯]। গুগল বলছে -  ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম হল একটি রোজগারের বাবস্থা যা সাধারণত কোন (বা ন্যূনতম) শর্ত ছাড়াই সকলের (বা জনসংখ্যার একটি খুব বড় অংশের) কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে করা হয়। আমাদের আসে পাশে যে ভাতার রাজনীতি চলছে তার দিকে একটু তাকিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে সার্বজনীন মৌলিক আয়ের ধারণা এবং যে ধরনের ভাতার বাবস্থা আমাদের এখানে বাস্তবায়ন হচ্ছে তার মধ্যে খুব ফারাক নেই। তবে অবশ্যই এর ওপর কিছু সংযোজন আছে, ভাতা বা সর্বজনীন মৌলিক আয়  সবার জন্য সমান নয়, কর্মহীন লোকজন আন্দোলন করলে এবং সেই আন্দোলন বলপূর্বক দমন নাহলে তখন কিছু মানুষকে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া  আর কিছু মানুষ কে অপরাধী বলে দাগিয়ে শ্রীঘরে পাঠানো এই সব কিছুই তার অংশ। আর ভাতায় নির্ভরশীল মানুষের স্বাধীনতা যে খুব সীমিত তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাদের খুব সহজেই কোনও কাজে বাধ্য করা যায় তা সে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখাই হোক অথবা কোনও গবেষণায় তাদের না জানিয়েই অংশিদার করা। কোনো মানুষ যদি ভাতার নির্ভরতায় বেঁচে থাকেন, আর তাঁকে যদি বলা হয় যে প্রতি মাসে তাঁকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে এটা দেখার জন্য যে তিনি সেই ভাতার টাকায় নিষিদ্ধ ড্র্যাগ নিচ্ছেন কিনা, কারণ ভাতা পাওয়ার জন্য তা ন্যূনতম শর্ত, তখন তাঁর কি বিশেষ কোনও উপায়ান্তর থাকে? আরও আছে, যে পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থা আজ কায়েম হয়ে রয়েছে, সেখানে এক বিশাল অংশের মানুষকেই পুঁজির নিয়ন্ত্রারা অতিরিক্ত ও অবাঞ্ছিত মনে করে। আমরা খেয়াল করলে দেখব “useless eaters” (অনর্থক ভক্ষক) কথাটা  শেষ চার পাঁচ বছরে আমরা বার বার শুনেছি। শাসকশ্রেণী এটাও মনে করে যে এত সংখ্যক মানুষ কে নিয়ে এই ব্যবস্থা কায়েম করা কঠিন, তাই জনসংখ্যাও কমিয়ে আনা প্রয়োজন [১২, ১৩, ১৪, ১৫]। এই প্রচার বেশ কিছুদিন ধরে শুরু করা হয়েছে যে ২০০-৪০০ কোটি মানুষ এই পৃথিবীতে থাকাটা বাঞ্চনীয় মানব সভ্যতার উন্নতি ও স্থায়িত্বর জন্য। জনসংখা কমলে ভাতা প্রাপকের সংখ্যাও কমবে।

যে অবস্থার কথা আলোচনা করা হল, তাঁর সঙ্গে আমাদের আজকের জীবনের এখনও বিস্তর ফারাক রয়েছে। এই ব্যবস্থা যদি আংশিক ভাবে ধাপে ধাপেও প্রয়োগ করতে হয়, শাসকশ্রেণী জানে তার জন্য বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হবে। এই আমূল পরিবর্তন কখনোই খুব সহজ পথে হবে না। সাধারণ জনগণকে জোড় করে মানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের মানসিক ভাবেও তৈরী করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, নিত্য প্রয়োজয়ও বিষয়ে (যেমন রান্নার গ্যাস, ব্যাংক এসব জায়গায় KYC-র নাম করে) আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি স্ক্যান করিয়ে তবে তা মানুষকে উপলব্ধ করানো, কখনও জীবাণু বা রোগ নিয়ন্ত্রণের জুজু দেখিয়ে – আবার কখনও জলবায়ু পরিবর্তনের অজুহাতে (২০২৩-এ প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছুদিন দীঘায় লকডাউন করা হয় যদিও বলা হয় এটা সতর্কতা মাত্র [২০], প্রচণ্ড বজ্রপাত হবে তাই বাড়িতে থাকুন জাতিও নির্দেশ অনেকেই পেয়েছেন গত বছর) ছোট বা সামগ্রিক লকডাউন করানো এবং AI আসছে অনেক মানুষের কাজ চলে যাবে, আর একই সঙ্গে বলা ভবিষ্যতে সার্বজনীন মৌলিক আয় একাংশের মানুষের রোজগার ও বেঁচে থাকার উপায় হবে(আমাদের এখানে ভাতা-জীবী শব্দটার বহুল ব্যবহার হচ্ছে) এই সব কিছুই এই সুতোয় গাঁথা, একই বিশ্ব বাবস্থার পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অংশ বলে মনে হয়। এখন দেখার বিষয় আমরা কতটা এই অবস্থা ও বাবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি।

পরিশেষে বলা প্রয়োজন কোনো প্রযুক্তিই মানব সভ্যতার প্রতিপক্ষ নয়, সেই প্রযুক্তি কে কিভাবে ববহার করছে এবং কার কাছে সেই প্রযুক্তি বাবহারের ক্ষমতা রয়েছে সেটাই মূল প্রশ্ন। শাসকশ্রেণী প্রযুক্তিকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখাবে, কিন্তু আমাদের সেই প্রযুক্তি পরিচালোনার পেছনে কে বা কারা আছে, তাকে বা তাদেরকে খুঁজে নিতে হবে। AI ব্যবহার করে আজ প্রচুর জালিয়াতি হচ্ছে, সরকার প্রচার করছে জালিয়াতি হচ্ছে সাবধান থাকুন, কিন্তু তা বন্ধ করার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাচ্ছে না। এরপরে হয়তো কখনও দেখা যাবে ব্যাংকের কাউন্টারে কেউ বসে নেই, AI যুক্ত কোনো রোবট টাকা পয়সার লেনদেন করছে। গ্রাহকের অজ্ঞাতে ব্যাংক একাউন্টের টাকা কমে গেলে বলা হবে AI-এর গন্ডগোলে তা হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, AI যে সংস্থায় বাবহার হচ্ছে তার ভুলের দায়িত্বও সেই সংস্থারই। তাই প্রতিপক্ষ AI নয়, AI-এর পেছনে যারা লুকোতে চাইছে, AI অথবা কোনো যন্ত্রের ভুল বলে যারা দায় সারতে চাইছে, আমাদের প্রতিপক্ষ তারাই।
সূত্র 

[১] https://www.youtube.com/watch?v=P7fi4hP_y80

[২] https://support.google.com/websearch/answer/10909618?hl=en#:~:text=For%20example%2C%20if%20you%20search,up%20where%20you%20left%20off.

[৩] https://www.doctronic.ai/

[৪] https://www.youtube.com/watch?v=2xwymTD9qkU

[৫] https://garagebandonpc.com/

[৬] https://spyscape.com/article/ai-film-roundup

[৭] https://creativitysquared.com/11-of-the-best-a-i-created-movies-ever-made/

[৮] https://trullion.com/

[৯] https://www.briefcam.com/video-analytics-for-law-enforcement/

[১০] https://www.atss.in/cctv-video-analytics/

[১১] https://www.youtube.com/watch?v=q8apSZ2eZKA

[১২] https://populationmatters.org/news/2023/05/sustainable-population-the-earth4all-approach/

[১৩] https://council.science/blog/world-population-day-sustainable-population-growth-for-a-sustainable-future/

[১৪] https://overpopulation-project.com/what-is-the-optimal-sustainable-population-size-of-humans/

[১৫] https://www.unfpa.org/press/world%E2%80%99s-population-hits-8-billion-people-un-calls-solidarity-advancing-sustainable

[১৬] https://www.imf.org/en/Publications/fandd/issues/2018/12/what-is-universal-basic-income-basics

[১৭] https://economics.mit.edu/sites/default/files/2022-10/annurev-economics-080218-030229.pdf

[১৮] https://globalaffairs.org/commentary-and-analysis/blogs/multiple-countries-have-tested-universal-basic-income-and-it-works

[১৯] https://www.investopedia.com/terms/b/basic-income.asp

[২০] https://tv9bangla.com/west-bengal/purba-medinipur/digha-coastal-police-alerts-tourists-about-heat-wave-situation-in-coastal-areas-au50-790057.html    

Picture Courtesy: Craiyon AI 

Updated: 17.05.2025, 18:40pm IST

 

 

 

 

Comments

Popular posts from this blog

ঘটনার বিবরণ নয়, উপলব্ধি জরুরী; প্রসঙ্গ আর.জি.কর

বর্তমান সময়ে বাম ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা

আম্বেদকরের চোখে - কেন ব্রাহ্মণ্যবাদ শাকাহারী পথ গ্রহণ করল? গো ভক্ষণ নিষিদ্ধকরণের সাথে অস্পৃশ্যতার কি সম্পর্ক রয়েছে?