Posts

Showing posts from April, 2020

কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের একজোট বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলি

Image
রিপোর্টঃ সায়ন  রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভাঁড়ারে ঘাটতির প্রভাব স্পষ্ট হওয়ার মুহুর্তেই শ্রমিকদের মজুরীর আশায় কালো মেঘের ঘনঘটা। লকডাউনের আবহে পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করার জন্য শ্রম আইন এবং কর্মদিবসের নিয়মাবলীতে কেন্দ্র সরকার আনতে চলেছে বিরাট রদবদল। শ্রমিকদের যেখানে বর্তমান নিয়মানুসারে সাপ্তাহিক শ্রমের নির্ঘন্ট অনুযায়ী ৪৮ ঘন্টার শ্রমদিবস পালন করতে হত, সরকার সেই নিয়মের বদল করে সাপ্তাহিক ৭২ ঘন্টার শ্রমদিবস পালন করার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যার ফলস্বরূপ বিগত দিনে দৈনিক শ্রমসময় যেখানে পালিত হত ৮ ঘন্টা করে, সেখানে বর্তমানে সরকার চাইছে দৈনিক শ্রমসময় পালিত হোক ১২ ঘন্টা করে। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশানের স্বীকৃত নিয়মানুসারে যেখানে উল্লিখিত আছে শ্রমিকদের ৮ ঘন্টার অতিরিক্ত সময় কর্মদিবস পালিত হলে দৈনিক মজুরীর ৫০ শতাংশ প্রদান করতে হবে সেখানে কেন্দ্র সরকার সেই নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুনাফাখোরদের হাতকে শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে সরকারী ও বেসরকারী অফিসগুলোতে পিএফ এবং ইএসআই-এর ব্যবস্হা প্রচলিত আছে কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার তাও বাতিল করতে উদ্যোগি। সরকার থেকে শ্রমিকদেরকে আশ্বাস দেওয়া হ

লকডাউনের মাঝে খোলা চা বাগানঃ চলছে ছাঁটাই; শ্রমিকদের রেশন, মজুরী বকেয়া

Image
রিপোর্টঃ সায়ন  'লকডাউন', যে কথাটির অর্থ সমস্ত উৎপাদন ও ক্রয় বিক্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্য ব্যাতিত, সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে আইন অমান্য আন্দোলন। পশ্চিমবঙ্গের চা বাগানগুলিতে মালিক পক্ষের তরফ থেকে চলছে তারই সলতে পাকানোর কাজ।  সরকারের পক্ষ থেকে ২২শে মার্চ জনতা কার্ফু জারি করা হলেও, সেই কার্ফুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে অবাধে চা পাতা তোলার কাজ। চা বাগানের মালিকরা শ্রমিকদের প্রশ্নে চাপে পড়ে ২৫শে মার্চ অফিসিয়াল নোটিস দেয় চা বাগান বন্ধের। সেখানেও সমস্যার সৃষ্টি হয়।শ্রমিকদের বকেয়া এবং ওভারটাইমের মজুরী দিতে অস্বীকার করে মালিক পক্ষ। কিছুদিন লকডাউনকে মান্য করার পরেই টী বোর্ডগুলির পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু হয়ে যায়। চা ব্যবসায়ীরা চা পাতা তোলার পিক্ সিজনে ফার্স্ট ফ্লাস চা পাতা তুলতে না পারলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে সরকারের ওপর শুরু করা হয় নিরন্তন চাপ সৃষ্টির কাজ। রাজ্য সরকার থেকেও প্রথমে ১৫% এবং পরে ২৫% ও সর্বশেষ ৫০% শ্রমিক নিয়ে চা বাগানগুলি খোলার অনুমতি দেয়। এই অনুমতি বা "ছাড়" শুধু উৎপাদনের জন্যই "ছাড়&q

সমালোচনাঃ এবিপি-র ‘প্রধানমন্ত্রী ২’-তে কমিউনিস্ট আন্দোলনের পর্যালোচনা

Image
সুমিত ঘোষ  এবিপি-র দুটি পর্বের অনুষ্ঠানের লিঙ্কঃ  https://m.youtube.com/watch?v=nxapsYjAk4A  https://www.youtube.com/watch?v=5-0RzLpbN2c লাল সেলাম  থালা বাজানো, বাজি পোড়ানোই যখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর করোনা সংক্রমণ রোধের নামে সার্কাসের প্রধান শো থিম, তখন ‘প্রধানমন্ত্রী ২’ নামে এবিপি গ্রুপের অনুষ্ঠান যে এর কাছাকাছিই কিছু একটা পরিবেশন করবে তা বলাই বাহুল্য। সাম্প্রতিক এবিপি আনন্দেও এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতে শুরু করেছে। প্রথম তিনটি পর্ব কাশ্মীরকে ভারতভুক্ত করার বিজয় গাথায় নিবিষ্ট হয়ে অবশেষে তারা এবার কমিউনিস্টদের খিস্তি করতে মাঠে নেমেছে। দুটি পর্বে ভারতের নকশালপন্থী আন্দোলন ও মাওবাদীদের লড়াই নিয়ে আলোচনা চলেছে। দেখলে মনে হবে এই দুটোই যেন এ দেশের বাম রাজনীতির ধারা, অবশ্য সেটা দেখানোই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। অন্যান্য পর্বে, যেমন ধরা যাক কাশ্মীর নিয়ে কপচানোর সময়ে, রাজা হরি সিং-এর পুত্রের সাক্ষাৎকার পর্যন্ত যেখানে নেওয়া হয়েছে, সেখানে আলোচ্য দুটি পর্বে মাওবাদীদের একটি আঞ্চলিক বাহিনীর নেতা ব্যাতীত বাম রাজনীতির বিভিন্ন ধারার কোনও নেতারই সাক্ষাৎকার নেওয়া হল না। ধ

A SYNOPSIS OF LENIN’S “STATE AND REVOLUTION”

Image
  Sumit Ghosh About the Book Lenin wrote the book in between August and September 1917 while hiding from persecution of the Provisional Government of Russia. Lenin had begun the early draft while in exile in Switzerland in 1916 under the title "Marxism on the State". When Lenin left Switzerland for Russia in April 1917, fearing arrest by the Provisional Government, he left the manuscript of "Marxism on the State" behind as it would have been destroyed if he were caught. When Lenin received his notebook from Stockholm, he used the materials he had already collected for this book . He intended to publish the book under the pseudonym F.F. Ivanovsky to escape confiscation by the Provisional Government. The book was not printed until 1918 when there was no need for the pseudonym. In the second edition of 1919, Lenin added Chapter II . In this book, Lenin criticized the anarchists, opportunists and even the Revolutionary Socialists and Mensheviks who s