Posts

Showing posts from April, 2021

লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে ধনীরা কিভাবে আরও ধনী হচ্ছে?

Image
রূপক গায়েন  করোনা প্যান্ডেমিকের ভয়াবহতার অজুহাতে লকডাউন চাপিয়ে দেওয়ার অযৌক্তিকতা নিয়ে নানা  আলোচনার মাঝে লকডাউনের ফলে খেটে খাওয়া মানুষের উপর অর্থনৈতিক সংকটের যে খাঁড়ার ঘা নেমে এসেছে এবং কর্পোরেটদের উত্তরোত্তর সম্পত্তি বৃদ্ধি - সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা আশু প্রয়োজন। সারা বিশ্বে লকডাউন ভারতে সবথেকে কঠোর রূপে পালিত হয়েছে এবং একই সাথে লকডাউনে ভারত সরকারের ব্যয়ও বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন!!! উজবুক প্রশাসকের আকস্মিক নোটিশে লকডাউনের ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার সেই করুণ মিছিলের দগদগে স্মৃতি এখনও বয়ে চলেছি আমরা। যাই হোক, আসল কথায় আসা যাক। বিশ্বব্যাপী এই আর্থিক সংকটের বাজারেও সমগ্ৰ বিশ্বের পুঁজিপতিদের তাদের সম্পত্তি বৃদ্ধির বহর নিজস্ব গতিতেই বজায় থেকেছে। অনলাইন শপিং সংস্থা আমাজনের প্রধান জেফ বেজোসের সম্পত্তি ৩৬.২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গের সম্পত্তিও বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার, জুম কর্ণধার এরিক ইয়ুয়ানের সম্পত্তি বেড়েছে ২.৫৮ বিলিয়ন ডলার, এছাড়াও টেসলার এলোন মাস্ক, গুগলের সেরগেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ, মাইক্রোসফটের স্টিভ বামার, প্রত্যেকেই নিজেদের সম্পত্তি

একটি বিজেপি বিরোধী পর্যালোচনাঃ যদুনাথ-রোমিলার ভেদাভেদ করো, ইতিহাস তোমরা বোঝো না !!!

Image
সুমিত গাঙ্গুলী ক্রিকেট ইতিহাসবিদ প্রাক্তন ছাত্র, ইতিহাস বিভাগ, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়    বর্তমান বঙ্গীয় নির্বাচন পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত  বিষয়গুলি নূতন রূপে আলোচিত হচ্ছে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচনী প্রচারমূলক সঙ্গীত। এহেন সঙ্গীতে একটি জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক দল (যারা যেন তেন প্রকারে বঙ্গভূমিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যত) একটি মতের দিকে বঙ্গবাসীর কৌতূহল আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টায় রত হয়েছেন। তাঁরা দাবী করেছেন যে সুদীর্ঘকাল রক্তিম আভায় আছন্ন বঙ্গজনপদবাসী যে ইতিহাস পাঠ করেছেন তা রোমিলা থাপার রচিত; যদুনাথ সরকারের ইতিহাস তাঁরা পড়েন নি। বিষয়টি যৎপরসনাস্তি ভাবিয়ে তুলেছে; বিশেষতঃ ক্ষেত্র বিশেষে ইতিহাসের ছাত্র-ছাত্রীদের তো বটেই; কারণ আক্ষরিক অর্থেই এই দুই ইতিহাসবিদের রচনা না পড়লে বা আলোচনার সঙ্গে কিঞ্চিন্মাত্র সংযোগ না থাকলে কোনও ভারতীয় প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উপাধি অর্জন করা একেবারেই অসম্ভব। অতএব এই দ্বিমূল তত্ত্বের মূলে পৌঁছে দেখা যাক বিষয়টি কি।  আচার্য যদুনাথ জন্মেছিলেন উনিশ শতকের শেষপাদে। বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্য্যন্ত প্রাতিষ্ঠ

Kobad Ghandi Responds to Activists' Questions from West Bengal

Image
Kobad Ghandi answers to the questions raised from different Left activists and individuals from West Bengal:  Picture Courtesy: The Telegraph India Q 1. You have written about taking a firm stand against Neoliberalization. I think you might recognize a certain type of social aspiration (regarding individual mobility) associated with neoliberal times. How these questions can be tackled by the communists according to you? For example, I have a friend whose father had lost his job in a biscuit-factory (back then he was the sole earner of the family). Battling with severe poverty my friend completed his education from a government aided school, then took loan for pursuing B.Tech degree from a private engineering college, then completed his M.Tech from IIT by securing a scholarship. In the meantime his father managed to earn something by delivering gas cylinders to people. Now my friend is an employee (engineer) in a renowned international company. He knows that this is the only way to make

Polemics on 'Fractured Freedom': Kobad Ghandi responds to Manish Azad's critique of his book "Fractured Freedom"

Image
Answers to Manish Azad who wrote a critique of the book  "Fractured Freedom"  in 'The Chorus' (An English translation of the critique of Manish Azad has been added at the end of this reply for correspondence) Kobad Ghandi It is good that there is a debate on the questions raised as only through debate can we get greater clarity on issues facing the communist movement worldwide in a period when capitalism is on an aggressive spree rampaging peoples’ lives and the environment. But the way this is presented is typical of the Indian left many of whom do not analyse their own practice (and its relevance) but are adept at sarcasm without serious content. In my reply as MA has only raised questions and provided not a single answer, before answering him, I will first ask him some questions; next I will like to touch on his methodology and finally I will take up the points he raised: Some Questions  What does Manish Azad (MA) feel is the reasons for the setback of revolutions/

On the present mode of Fascism

Image
Sumit Ghosh [First published in 'Colloquial Haze' in Bengali (2020). The present transcript is an English translation with several changes and new incorporations.]   In 1924, Russian leader Stalin wrote an article on the political nature of fascism. In ‘ Concerning the International Situation’, he stated, “ Firstly, it is not true that fascism is the only fighting organisation of the bourgeoisie. Fascism is not only a military-technical category. Fascism is the bourgeoisie’s fighting organisation that relies on the active support of Social-Democracy. Social-Democracy is objectively the moderate wing of fascism. There is no ground for assuming that the fighting organisation of the bourgeoisie can achieve decisive successes in battles, or in governing the country, without the active support of Social-Democracy. There is just as little ground for thinking that Social-Democracy can achieve decisive successes in battles, or in governing the country, without the active support of

নওদা বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস-তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে নির্দল বামপন্থী প্রার্থী কমঃ শমীক মন্ডলের সাক্ষাৎকার

Image
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত নওদা বিধান সভা কেন্দ্রে একসময়ে আরএসপি-র সাংগঠনিক ব্যাপ্তি ছিল। সমগ্র জেলায় এবং এই কেন্দ্রেও রাজনৈতিক লড়াইয়ে দুই প্রতিপক্ষ মূলত বাম এবং কংগ্রেস।  আরএসপি-র সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়লেও  ২০১৬ সালে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে সারা রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট কার্যকারী হলেও নওদা কেন্দ্রে আরএসপি-কে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে নওদা কেন্দ্রে তৃণমূল ছিল অপ্রাসঙ্গিক এবং মূল লড়াই হয় বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে। ২০১৬ সালের পর থেকে তৃণমূল পুলিশ-প্রশাসন এবং গুন্ডাবাহিনীর সাহায্যে পঞ্চায়েত সমিতিগুলোকে গায়ের জোড়ে দখল করতে শুরু করে। এই পলিটিকাল ট্রান্সফর্মেশানের সময়ে অঞ্চলের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ এবং কংগ্রেস নেতা মোশারেফ হুসেন তৃণমূলে যোগদান করে এবং এই  ট্রান্সফর্মেশানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল বিরোধীদের সারা জেলা জুড়ে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিলেও নওদা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) কর্মীরা স্ট্রাগল করে একটা মনোনয়ন পেশ করে কিন্তু নির্বাচনের দিন কোনও বুথ রক্ষা করতে তাঁরা অসফল হন। একজন বাম কর্মী শাহীন শেখ খুন হন কংগ্রেস থেকে আগত তৃণমূলের জ

প্রসঙ্গ ত্রিপুরার আদিবাসী স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচনঃ দশরথ দেবের রাজনীতি থেকে আজকের শিক্ষা কি?

Image
সায়ন নন্দী ও সুমিত ঘোষ   বাংলায় ভোটপর্ব চলার মাঝেই ত্রিপুরাতে মিটলো আদিবাসী স্বশাসিত অঞ্চলের (ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াজ অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল) ভোট কাহন। মোট ৩০টি (২৮টি নির্বাচিত এবং ২টি রাজ্যপাল মারফৎ নিযুক্ত) আসনে এই নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৯টি আসন। বামেদের একপ্রকার দুর্গ নামে একদা খ্যাত এবং আদিবাসী সম্প্রদায় অধুষ্যিত এই অঞ্চলে গত তিনবারের জয়ী দল সিপিআই(এম)-কে ফিরতে হল খালি হাতে। বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কানি দিয়ে বিজেপির রাজনীতির সমতুল্য একটি নতুন আঞ্চলিক জোট নিজেদের ক্ষমতার বিস্তার করতে আরম্ভ করেছে। নাম তিপরা মোথা (তিপরা ইন্ডিজিনাস প্রগ্রেসিভ রিজিওনাল অ্যালায়েন্স)। এই জোট চালিত হচ্ছে ত্রিপুরার রাজবাড়ির বংশধর এবং একদা কংগ্রেস নেতা প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মার তিপরা পার্টির দ্বারা। তিপরা মোথার মধ্যে রয়েছে তিপরা, ত্রিপুরা পিপল'স ফ্রন্ট, তিপরাল্যান্ড স্টেট পার্টি এবং ইন্ডিজিনাস ন্যাশনালিস্ট পার্টি অফ তিপ্রা। প্রশ্ন জাগতেই পারে, বিচ্ছিন্নতাবাদের কথা নতুন করে কিভাবে উঠে আসছে? তিপরা মোথা নামক জোটের প্রধান দাবীই হচ্ছে ত্রিপুরাতে আদিবাসী অধুষ্যিত অঞ্চলগুলিকে একত্রিত করে স্বাধীন

ফ্যাসিস্ট অক্ষে নির্বাচন কমিশন?

Image
অভিজ্ঞান চক্রবর্তী    ফ্যাসিজম এবং তারই যমজ ভাইবোনের দাপাদাপির মাঝে নির্বাচন কমিশনও আদতেই কি জনবিরোধী অবস্থান নিচ্ছে, সেই প্রশ্নই কিন্তু উঠছে বারংবার। প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি.এন. সেশন (তিরুনেল্লাই নারায়ণা আইয়ার সেশন) যে সকল পদ্ধতিগত পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের ঊর্দ্ধে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন, আজকের যুগের নির্বাচন কমিশনও কি ঠিক সেই ভূমিকাই পালন করছে? প্রসঙ্গত, টি.এন.সেশন এই পরিবর্তনগুলো করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছিলেন নয়াউদারবাদী অর্থনীতির ঊষা লগ্নে, কিন্তু আজকের দিনের যথেষ্ট পরিণত নয়াউদারবাদী ব্যবস্থায় এবং ফ্যাসিজমের উত্থানের মুহূর্তে যেখানে গোটা দেশটাই কর্পোরেটদের প্রত্যক্ষ অঙ্গুলি হেলনে চলছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ফ্যসিস্ট পার্টিকে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কি আদেও আটকানো যাবে, এই প্রশ্নও উঠছে প্রগতিশীল মহলে। গত দুই মাস ধরে নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপ প্রমাণ করছে যে এই কমিশনও আসলে সুপ্রিমকোর্ট এবং অন্যান্য বিভিন্ন সরকারী আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার মতো ফ্যাসিস্টদেরই পক্ষাবলম্বন করছে। রাম মন্দির রায়, দিল্লীর কৃষি আন্দোলন নিয়ে অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের গেরু