Posts

Showing posts from August, 2018

Kerala will overcome

Image
Jazar Shahul Kerala has experienced its worst flood in almost a century. The last flood which took place in the state, also known as the Great Flood of 99, was in the year 1924 (Malayalam calendar year 1099, hence the name Great Flood of 99). That time it rained continuously for about three weeks. Many districts of the present day Kerala were deeply submerged in water by this flood - from Thrissur, to Ernakulam to Idukki, Kottayam even up to Alappuzha and Kuttanad. Even a huge mountain called Karinthiri Mala was washed away by this flood and the road to Munnar also went along with it. As the road to Munnar was lost by this flood, a new road from Ernakulam to Munnar became necessary - the present day road from Ernakulam to Munnar was constructed after this. Kundala Valley Railway which was the first monorail system in India was also completely destroyed. Thousands of people, animals and birds died and large crop and property losses were encountered. And now history repea

মরিয়া না মরে রাম

Image
বিমলকান্তি দাশগুপ্ত ১৯৬৭ সালের মে মাসে নকশালবাড়িতে মার্ক্সবাদীদের নেতৃত্বে কৃষকদের এক অভ্যুত্থান ঘটেছিল । তার ক ’ মাস আগে নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের পরাজয় ঘটে । এবং সি পি আই ( এম ) পার্টির নেতৃত্বে রাজ্যে প্রথম বামপন্থীদের যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন হয় । এই ঘটনার পর টানা দশ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গের তাবৎ মানুষ এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী । বিপ্লবীরা এই দশককে চিহ্নিত করেছেন ‘ মুক্তির দশক ’ নামে । বিদেশ থেকে সমর্থন এলো ‘ বসন্তের বজ্র নির্ঘোষ ’ বলে । বস্তুত মার্ক্সবাদী দর্শনের এত ব্যাপক আলোচনা , তথ্য প্রয়োগ , তর্ক - বিতর্কে এই সময়টা ছিল যেমন মুখর আবার অন্যদিকে প্রতিরোধ , প্রতিশোধ , বিশ্বাস ভঙ্গ , বিশ্বাসঘাতকতা , খুন - জখম - হত্যা , গুলি - বন্দুক - বোমার ধোঁয়ায় ছিল অন্ধকারে আচ্ছন্ন । সমাজের নিম্নতম কোটির দিনমজুর থেকে উচ্চতম কোটির সমৃদ্ধজন । সাক্ষর - নিরক্ষর নির্বিশেষে বালক - কিশোর - তরুণ - যুবক মায় প্রৌঢ়-বৃদ্ধ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জীবনে মননে প্রভাব ফেলেছিল এই ঘটনা। অতএব সে সময়ের সকল মানুষের মনে সঞ্চিত আছে সেই আবেগ, সময়ের অক্ষয় স্মৃতি হয়ে। ঘটনা

'মোদের পায়ের তলায় মুর্সে তুফান': GKCIET-এর আন্দোলন চলছে

Image
৭২ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যখন সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর করা নিয়ে আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই মালদার গণিখান চৌধুরী কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (GKCIET)-র ছাত্র- ছাত্রীদের লড়াই এই " স্বাধীনতা"-কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্দোলন শুধুমাত্র বৈধ সার্টিফিকেট আদায়ের লড়াই নয়, এই লড়াই সার্বিকভাবে শিক্ষার নামে প্রতারণার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক আন্দোলন। এক আন্দোলনকারীর বয়ানে "আপনারা যে যেখানে প্রতারিত হয়েছেন তারা আমাদের আন্দোলনের পাশে আসুন, আমাদের অধিকার আমরা লড়ে নেব"।  শেষ কিছুদিন ধরে তাঁরা (GKCIET-এর ছাত্র-ছাত্রীরা) পুলিশের রক্তচক্ষু, ঝড় জলকে উপেক্ষা করে "অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস"- এর সামনে অবস্থান করছেন এবং তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন "হয় আমাদের বৈধ রেজাল্ট নিয়ে ফিরব, নয়তো আমাদের লাশ ফিরবে" । এই দাঁতে দাঁত চিপে লড়াইয়ের এক সহযোদ্ধা  শাহিন -এর সাথে কথোপকথন নিচে দেওয়া হল:  আপনাদের আন্দোলন কবে থেকে চলছে? আন্দোলন প্রধানত দু' বছর ধরে চলছে। তবে শেষ আমরা ২০১৮-এর জুলাই মাসের ২৩ তারিখ থেকে আবার আন্দোলন শুরু করি।

চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরীর আন্দোলনঃ একটি সাক্ষাৎকার

Image
চা শ্রমিকদের  ন্যূনতম  মজুরী বিষয়ক দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে সরকার ও মালিকপক্ষের টালবাহানার প্রতিবাদে গত ২৩শে জুলাই, ২০১৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল 'জয়েন্ট ফোরাম', যার মধ্যে ২৯টি ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যভুক্ত। কিন্তু ১৭ই জুলাই রাজ্যের শ্রম কমিশনারের অনুরোধে ধর্মঘট স্থগিত রাখা হয় সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে যাতে সময় পায়। কিন্তু ন্যূনতম মজুরী ১৭২ টাকা থেকে একচুলও নড়তে রাজি হয় না সরকার। ২০১৫ সাল থেকে চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার বৈঠক হলেও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ৩০শে জুলাই-এর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে দেখা যায় সরকারের ভূমিকা শ্রমিকদের অনুকূলে যাচ্ছে না। সরকার আবার ৬ই আগস্ট ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক দেয় কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। ১৭২ টাকা ন্যূনতম মজুরী ধার্য করার প্রশ্নে সরকারের অনড় মনোভাবই  শ্রমিক স্বার্থের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ফলে, চা শ্রমিকরা ৭, ৮ এবং ৯ই আগস্ট, ২০১৮, ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন। ১৬ই আগস্ট  সরকার মালিক পক্ষের সাথে মিটিং-এ বসে। ওরা নিজেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ১৭২ টাকা বলা ভুল হয়েছে; ফলে ইন্টারিম মাত্র ১০-১৫ টাকা!