Posts

Showing posts from August, 2020

আন-অর্গানাইজড সেক্টরগুলোতে রয়েছে আন্দোলনের স্ফূলিঙ্গ - সেই ইঙ্গিতই কী দিয়ে গেল গিগ ওয়ার্কার্সদের আন্দোলন

Image
রিপোর্টঃ নিমো  দেশের বিভিন্ন অংশে ফুড ডেলিভারি কর্মীদের বিক্ষোভ ইতিমধ্যেই ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মূলত প্যান্ডেমিকের দরুণ ব্যবসায়িক ক্ষতির দোহাই দিয়ে,  ডেলিভারি রেট ও অন্যন্য ইন্সেন্টিভ অতিমাত্রায় কমিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় হরতাল ।  সুইগি কতৃপক্ষের তরফ থেকে ঘোষণা মারফত, ১০ই অগস্ট-এর পর থেকে কর্মীদের ডেলিভারি প্রতি পেমেন্ট ৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকায় নামিয়ে আনা হয় এবং একইসাথে সাপ্তাহিক ও মাসিক ইনসেন্টিভ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার পর পরই গত ১৪ই অগস্ট চেন্নাইতে প্রতিবাদে নামেন কর্মীরা যার প্রভাব খুব তাড়াতাড়িই   দিল্লী,  কোলকাতা,  হায়দ্রাবাদ সহ বিভিন্ন শহরের  কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২০শে অগস্ট সাউথ দিল্লির কর্মীরা এই জুলুমবাজির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে বাইকর‍্যালি বা প্রতিবাদ অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রকাশ করার পরে প্রতিবাদের রেশ আরো বাড়তে থাকে। গত ২২শে অগস্ট কোলকাতার ফুড ডেলিভারি কর্মীরাও একত্রিত হয়ে মিলিতভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ১০ই অগস্ট-এর আগে প্রদেয় পেমেন্ট রেট ফিরিয়ে আনতে হবে; অবিলম্বে মাসিক ইনসেন্টিভ চালু করতে হবে;কাস্টোমার এর দেওয়া রেটিং এর ওপর অডিট এর কারসাজি বন্ধ করতে হব

অসমে বন্যাঃ সমস্যাটা আসলে কোথায়?

Image
রিপোর্টঃ প্রিয়াংশু দে  অসম ভারতের সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ রাজ্য। প্রত্যেক বছর অসমবাসীদের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হতে হয়। অসমে অত্যাধিক পরিমাণে বন্যা হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হল ব্রহ্মপুত্র নদীর বিক্ষিপ্ত প্রবাহ।একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে ১৯৫০ সালে ঘটিত একটি ভূমিকম্পের পর থেকে ব্রহ্মপুত্র আরও বিক্ষিপ্তভাবে বইতে শুরু করেছে। ১৯৫০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অসমে মোট ১২ বার বড়ো  বন্যা হয়েছে। কিন্তু ২০১২ থেকে প্রায় প্রত্যেক বছরই বন্যা হচ্ছে।  বন্যার সংখ্যা এক লাফে এতটা বাড়ার পেছনে কারণ গুলি হল অরণ্যবিনাশ, জলবায়ু পরিবর্তন,অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অদক্ষতার সহিত এমব্যাঙ্কমেন্ট ব্যবহার।  এবার প্রথমেই যেই প্রশ্নটা মাথায় আসার কথা তা হল এমব্যাঙ্কমেন্ট কী? এমব্যাঙ্কমেন্ট হল নদীর দুই ধারে নির্মিত দেওয়াল বিশেষ যা নদীকে নির্দিষ্ট দিকে বইতে সাহায্য করে, নদীকে প্রবাহমান  রাখে এবং অত্যাধিক বৃষ্টি হলে নদীর জলকে বাইরে বেরোতে দেয়না। এমব্যাঙ্কমেন্ট কংক্রিট ও মাটি দুইয়ের দাড়াই তৈরী হতে পারে।  এমব্যাঙ্কমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত নিপুণতা প্রয়োজন। সামান্য একটা ভুল হলেও এমব্যাঙ্কমেন্ট ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এইজন্য এমব্যাঙ্ক

আন্দোলনরত সুইগির ফুড ডেলিভারি কর্মীরা

Image
রিপোর্টঃ রূপক গায়েন  শহরের বুকে এক নয়া ভাঁওতাবাজির পরিসর তৈরি হয়েছে। ফুড ডেলিভারি কর্মীদের সকলেই প্রতিদিনের রেস্তোরাঁ আর কাস্টোমার বা পরিষেবা উপভোক্তার মধ্যে অসংখ্য যাতায়াতের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন। এবং এই সহজ সত্যটুকু উপলব্ধি করছেন যে মোবাইলের বিশেষ অ্যাপটি অন করলেই ডেলিভারির জোগান দেওয়া তথাকথিত পরিষেবা ক্ষেত্রটি, বলা ভালো, কোম্পানীটি কর্মীদের যে ডেলিভারি ‘পার্টনার’ হিসেবে অভিহিত করছে, সেটাই আজকের দিনে সবচেয়ে বড় ভাঁওতা। ‘জব সিকিউরিটি’, ‘ফিক্সড স্যালারি’, ‘স্বাস্থ্য বীমা’ ইত্যাদি- আলাদা আলাদা কোম্পানীর ক্ষেত্রে কিছু সামান্য তারতম্য বাদ দিলে কিছুই মেলে না কর্মীদের। অথচ সময়ে খাবার পৌঁছানোর তাড়া এবং রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশের দাদাগিরি সহ্য করার ঝক্কি পোহাতে হয় তাঁদেরই। তাছাড়া, গাড়ি  কর্মীদের, তেল কর্মীদের, এমনকি ইন্টারনেটের পয়সার জোগানও কর্মীদের নিজেদেরই করতে হয়। কিন্তু, কোম্পানীর হাজারো কারচুপির বেড়াজাল পেরিয়ে ডেলিভারি করে যেটুকু পকেটে ঢোকে তাতে পুরো মাস চালানোই দায়। মহামারীর কারণে প্রতিদিন কমতে থাকা দৈনিক ডেলিভারির জোগান মাসিক আয়তে আরও থাবা বসাচ্ছে। কিন্তু কোম্পানী কি ধুঁকছ

কামারহাটির পুরকর্মীদের বেতন চুরি তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের

Image
রিপোর্টঃ সায়ন   অর্থনীতি যখন সমাজের নীচু তলার মানুষগুলোকে কড়াল চক্ষু দেখাচ্ছে, সে সময় তৃণমূল সরকারের খাম খেয়ালি সিদ্ধান্ত  তুঘলকী জমানাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সাপ্তাহিক যে সমস্ত কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় কীটনাশক বিতড়ন করে তাদের দৈনিক বেতন ২৫০ টাকা। সেখানে তাদের প্রাপ্তি ঘটে মাত্র ২২৫ টাকা করে। এতে দৈনিক ২৫ টাকার ঘাটতিতে তাদের মাসিক বেতনে ঘাটতি হয় ৭৫০ টাকা। সমগ্র ঘটনাটি সম্পর্কে কামারহাটি বিধানসভার কার্যকারী কমিটি কতটা অবগত সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাদের বেতনের ২৫ টাকাই বা কোন "উন্নয়ন" স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং কিসের অনুপ্রেরনায়, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন। সংক্রমণ এবং অর্থনীতির এহেন বেহাল দশাতে খেটে খাওয়া গরিব মানুষের ওপর এহেন অনাচার এবং শোষণ চূড়ান্ত নিন্দাযোগ্য । যদিও কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাজ করা খেটে খাওয়া মানুষের ওপর চলা শোষণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। আর্বজনা সংগ্রহকারী যে সমস্ত কর্মীরা কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাজ করে থাকে তাদের বেতন নিয়ে কিছুদিন আগেও একটি সম্যসার সৃষ্টি হয় এবং তাদের বিক্ষোভের মুখে কামারহাটী বিধানসভার পদস

কোন ধরণের আন্দোলন আমাদের প্রয়োজন?

Image
রিপোর্টঃ সায়ন ৯ই আগস্ট নাগাসাকি দিবস এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রারম্ভিক সূচনা দিবসকে বামফ্রন্ট এবং বিভিন্ন নকশাল সংগঠনগুলি পালন করলো একগুচ্ছ গণদাবীকে সামনে রেখে প্রতীকী আন্দোলনের রূপে। বামফ্রন্ট এবং অন্যান্য বাম মনস্ক দলগুলি এই ৯ই আগস্টকে 'ভারত বাঁচাও'-এর দাবীর চাদরে রেখে পালন করল। এ ধরণের নিষ্ফলা আয়োজন বাম তথা কমিউনিস্ট পত্রপত্রিকা ব্যাতিত সমগ্র দেশের মেইনস্ট্রীম গণমাধ্যমে কোনো সাড়া ফেলতে পারলো না।  কিন্তু সমগ্র অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে একগুচ্ছ দাবীর ভান্ডার, তার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ প্রয়োজনীয় জণগনের দাবী কোনগুলি এবং এই কো-অর্ডিনেশানের অভাবে এই আন্দোলনে ঠিকমত জনসংযোগই গড়ে উঠল না। জনগণের কাছে এতসব দাবীগুলির মধ্যে কোনো একটি প্রয়োজনীয় দাবীকে সামনে এনে বা একগুচ্ছ মহামারী ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কিত দাবীর সংযুক্তি সম্ভব হল না, যার ফলে অঞ্চল, সংগঠন ও পার্টি ভেদে দাবীর বৈচিত্রের মাঝে আমজনতার থেকে অনেক মাইল দূরে থেকেই শুধুমাত্র প্রতীকী উপায়ে বামপন্হীরা দিল্লীতে গান্ধী মূর্তীর পাদদেশে কিংবা আঞ্চলিক স্তরে প্ল্যাকার্ড হাতে সময় কাটালো। বামপন্হ

লেবাননের বিস্ফোরণ ও অর্থনৈতিক সংকট

Image
রিপোর্টঃ প্রিয়াংশু দে বর্তমানে লেবানন জুড়ে চলতে থাকা অস্থির পরিস্থিতির জন্য নিঃসন্দেহে পূর্বতন সাদ হারিরি সরকারের নয়াউদারবাদী পদক্ষেপ দায়ী। হারিরির ফিউচার মুভমেন্ট পার্টির সরকারের মিতব্যয়ী অর্থনীতি ও দেশজুড়ে চলতে থাকা চরম বেকারত্বের ফলে লেবাননবাসী অতিষ্ট হয়ে আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছিল। বর্তমান হাসান ডিয়াবের সরকারও একই পথের পথিক। এছাড়াও অত্যাবশকীয় ইন্টারনেট, ফোন কল, গ্যাসোলিন এবং তামাকজাতীয় পণ্যের ওপর সরকারের অত্যাধিক কর চাপানো আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। বর্তমানে লেবানন রিসেশনে প্রবেশ করেছে এবং তার ফলেই এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। গ্রীসের মতোই লেবাননের ব্যাঙ্কগুলি দেউলিয়া হওয়ার পথে এগিয়েছে । যেখানে লেবাননের রেভেনিউ ১২ বিলিয়ন ইউ.এস ডলার সেখানে দেশের ওপর ঋণের পরিমাণ ৮৪ বিলিয়ন ইউ. এস ডলার যা দেশের জিডিপির প্রায় ১৪৯%। এই ঋণের ৮৫% বহন করছে দেশের কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কগুলি। শেয়ার বাজারের ওপর কর্তৃত্ব বিস্তারের জন্য তারা যে বন্ডগুলি ছেড়েছিল সেই পরিমাণ অর্থ তারা ফিরে পাচ্ছে না। ফলে  পাবলিক সেক্টরের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। রিসেশনের ফলে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ ভয়াবহ অর্থনৈতিক

১২ই অক্টোবর থেকে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ধর্মঘট

Image
রিপোর্টঃ রূপক গায়েন  রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলি বিক্রির মুকুটে আরো একটি নতুন পালক যুক্ত করলো মোদী সরকার। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিস বোর্ড বা OFB-র বেসরকারিকরণের উদ্যোগ শুরু হয় মে মাসে, করোনা মহামারীর আবহকালেই। এর ফলস্বরূপ সারা দেশে ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৮২০০০ হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ আশঙ্কার মধ্যে চলে যায়। অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এম্পলয়িস ফেডারেশানের (AIDEF) প্রেসিডেন্ট শ্রীকুমার বাবু জানান ১২ই অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত কর্মী সংগঠনের মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান যে সরকারী তরফে কোনো আশ্বাস নয় বরং এই বেসরকারীকরণের প্রক্রিয়া তুলে দেওয়াই তাদের দাবিদাওয়ার মূল বিষয়। অতীতে দেখা গেছে যেসব সরকারী সংস্থা পাবলিক -প্রাইভেট পার্টনারশিপে (PPP) গেছে, সেগুলি যদিবা কোনো কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে, সরকার সেই সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয় না। ২০০০ সালে তৈরী হওয়া সরকারী টেলিকম সংস্থা  BSNL-এর কর্মীদের বর্তমান অবস্থা, এবং এই ঘটনায় সরকারের দায় ঝেড়ে ফেলার মতো এক দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাব ডিফেন্স এমপ্লয়িদের মাথায় ভাঁজ ফেলেছে।  যে

'অল ইন্ডিয়া হ্যান্ডিক্রাফ্টস বোর্ড' উঠিয়ে দিল কেন্দ্র

Image
রিপোর্টঃ সায়ন ৭ই অগাস্ট, মোদী সরকার তুলে দিল 'অল ইন্ডিয়া হ্যান্ডিক্রাফ্টস বোর্ড'। ১৯৫২ সালে যে অল ইন্ডিয়া হ্যান্ডিক্রাফ্টস বোর্ড গঠনের পিছনে ভারতের ছোট কারীগর হস্তশিল্পীদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার যে প্রয়াস করা হয়েছিল, তাকে সম্পূর্ণ ইতিহাসের পাতায় উঠিয়ে দিল মোদী সরকার। মূলত এই বোর্ড গঠন করা হয়েছিল সমগ্র ভারতবর্ষের হস্তশিল্পী এবং তাদের সাথে যুক্ত অসংখ্য অসংগঠিত নারী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎকে রূপরেখা দেওয়ার চিন্তন নিয়ে। হস্তশিল্পীরা যাতে সরাসরি সরকারকে তাদের মতামত জানাতে পারে তার জন্যই তৈরি হয় এই বোর্ড। বর্তমান করোনা এবং অবশ্যম্ভাবী অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্হিতিতে সরকারের যেখানে বোর্ডকে আরো সংগঠিত করে খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিৎ সেখানে তারা সম্পূর্ণ বোর্ডটিকেই ইতিহাসের পাতায় স্হান করে দিয়ে অগণিত মেহনতি মানুষের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলল। ধর্মের নামে মানুষের চোখে কালো কাপড় বেঁধে দিলেই যে মানুষের ক্ষুধার আর্তনাদকে অবদমিত করা যায় না তা আর কবে বুঝবে মোদী সরকার? ডাউন টু আর্থ পত্রিকা অনুযায়ী ২০১০ সালের 'থার্ড ন্যাশানাল হ্যান্ডলুম সেন্সাস অভ উইভার্স অ্যান্ড এলাইড ওয়ার্কাস

ফের গো মাংস পাচার সন্দেহে গেরুয়াবাহিনীর গণপ্রহার

Image
রূপক গায়েন দেশে করোনাকালীন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর ঘটনা অব্যাহত। ফের একবার তথাকথিত গো-রক্ষক, আদতে হিন্দু মৌলবাদী, বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলেন এক মুসলমান ট্রাক ড্রাইভার। ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার (৩১শে জুলাই) সকাল ৯ টায়। গুরগাঁও-এর কাছের হাইওয়েতে এক গো-রক্ষক বাহিনী একটি ট্রাকে গো মাংস আছে, শুধুমাত্র এই সন্দেহে, সেই ট্রাককে ধাওয়া করে এবং লুকমান নামে সেই ট্রাক ড্রাইভারকে ধরে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তারপর তারা সেই ট্রাকে করেই লুকমানকে তুলে নিয়ে আসে হরিয়ানার বাদশাপুর এলাকায় এবং সেখানেও তাঁকে পুনরায় আক্রমণ করে। পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা বেশ নিন্দনীয়। প্রথমে গুরগাঁও-তে যখন মারধর চলে তখন পুলিশ সামনে থাকলেও ঘটনায় বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ না করে ২০১৫ সালের দাদরি কান্ডের মতোই ট্রাকের মাংস ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। বাদশাপুরে দুষ্কৃতীদের আটকালেও, ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের আটক না করে পুলিশ এফআইআর করে *অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তি হিসেবে*!!! ট্রাকের মালিক জানান ট্রাকে থাকা মাংস মহিষের এবং তিনি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর এই ব্যবসার সাথে যুক