ফের গো মাংস পাচার সন্দেহে গেরুয়াবাহিনীর গণপ্রহার
রূপক গায়েন
দেশে করোনাকালীন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর ঘটনা অব্যাহত। ফের একবার তথাকথিত গো-রক্ষক, আদতে হিন্দু মৌলবাদী, বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলেন এক মুসলমান ট্রাক ড্রাইভার।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার (৩১শে জুলাই) সকাল ৯ টায়। গুরগাঁও-এর কাছের হাইওয়েতে এক গো-রক্ষক বাহিনী একটি ট্রাকে গো মাংস আছে, শুধুমাত্র এই সন্দেহে, সেই ট্রাককে ধাওয়া করে এবং লুকমান নামে সেই ট্রাক ড্রাইভারকে ধরে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তারপর তারা সেই ট্রাকে করেই লুকমানকে তুলে নিয়ে আসে হরিয়ানার বাদশাপুর এলাকায় এবং সেখানেও তাঁকে পুনরায় আক্রমণ করে।
পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা বেশ নিন্দনীয়। প্রথমে গুরগাঁও-তে যখন মারধর চলে তখন পুলিশ সামনে থাকলেও ঘটনায় বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ না করে ২০১৫ সালের দাদরি কান্ডের মতোই ট্রাকের মাংস ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। বাদশাপুরে দুষ্কৃতীদের আটকালেও, ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের আটক না করে পুলিশ এফআইআর করে *অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তি হিসেবে*!!! ট্রাকের মালিক জানান ট্রাকে থাকা মাংস মহিষের এবং তিনি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর এই ব্যবসার সাথে যুক্ত।
প্রদীপ যাদব নামে এর দুষ্কৃতিকে আপাতত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
ধর্মের রঙ লাগিয়ে মবলিঞ্চিং এর ঘটনা দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, উগ্ৰ ধর্মীয় রাজনীতির আরও এক নিকৃষ্ট উদাহরণ এই ঘটনা সরকারের নিয়মনীতিকে আরো একবার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল।
তথ্য ও চিত্র সৌজন্যঃ এনডিটিভি, ডিন্ট
দেশে করোনাকালীন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর ঘটনা অব্যাহত। ফের একবার তথাকথিত গো-রক্ষক, আদতে হিন্দু মৌলবাদী, বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলেন এক মুসলমান ট্রাক ড্রাইভার।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার (৩১শে জুলাই) সকাল ৯ টায়। গুরগাঁও-এর কাছের হাইওয়েতে এক গো-রক্ষক বাহিনী একটি ট্রাকে গো মাংস আছে, শুধুমাত্র এই সন্দেহে, সেই ট্রাককে ধাওয়া করে এবং লুকমান নামে সেই ট্রাক ড্রাইভারকে ধরে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তারপর তারা সেই ট্রাকে করেই লুকমানকে তুলে নিয়ে আসে হরিয়ানার বাদশাপুর এলাকায় এবং সেখানেও তাঁকে পুনরায় আক্রমণ করে।
পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা বেশ নিন্দনীয়। প্রথমে গুরগাঁও-তে যখন মারধর চলে তখন পুলিশ সামনে থাকলেও ঘটনায় বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ না করে ২০১৫ সালের দাদরি কান্ডের মতোই ট্রাকের মাংস ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। বাদশাপুরে দুষ্কৃতীদের আটকালেও, ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের আটক না করে পুলিশ এফআইআর করে *অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তি হিসেবে*!!! ট্রাকের মালিক জানান ট্রাকে থাকা মাংস মহিষের এবং তিনি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর এই ব্যবসার সাথে যুক্ত।
প্রদীপ যাদব নামে এর দুষ্কৃতিকে আপাতত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
ধর্মের রঙ লাগিয়ে মবলিঞ্চিং এর ঘটনা দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, উগ্ৰ ধর্মীয় রাজনীতির আরও এক নিকৃষ্ট উদাহরণ এই ঘটনা সরকারের নিয়মনীতিকে আরো একবার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল।
তথ্য ও চিত্র সৌজন্যঃ এনডিটিভি, ডিন্ট
সত্যি সাধারণ মানুষের ঘুম থেকে জাগা উচিত
ReplyDelete