আম্বেদকরের চোখে - কেন ব্রাহ্মণ্যবাদ শাকাহারী পথ গ্রহণ করল? গো ভক্ষণ নিষিদ্ধকরণের সাথে অস্পৃশ্যতার কি সম্পর্ক রয়েছে?
১৩৪তম আম্বেদকর জয়ন্তীতে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকরের কলমে দেখে নেওয়া যাক ব্রাহ্মণ্যবাদের নিরামিষ আহার গ্রহণ এবং গো হত্যা মহাপাপ ঘোষণার নেপথ্যের আসল কারণগুলোঃ
[উৎসঃ The Untouchables: Who Were They and Why They Became Untouchables? - Dr. B. R. Ambedkar, 1948
"গোষ্ঠীগত সংঘর্ষে প্রায়শই দেখা যেত যে কোনও একটি আদিবাসী গোষ্ঠী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস না হয়ে পরাজিত ও বিতাড়িত হত। পরাজয়ের ফলে সেই গোষ্ঠী প্রায়শই বিচ্ছিন্ন ও খণ্ডিত হয়ে পড়ত। এই কারণে প্রাচীনকালে সর্বদা একটি ভ্রাম্যমাণ জনসমষ্টি বিদ্যমান ছিল - এরা ছিল বিচ্ছিন্ন হওয়া গোষ্ঠীর সদস্য এবং এরা নানা দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।"
"অস্পৃশ্য-রা আসলে এই বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীরই সদস্য, যারা গ্রামে বসবাসরত মূল গোষ্ঠীর থেকে ছিল আলাদা।"
"এই বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর লোকেরা ব্রাহ্মণদের ঘৃণা করত, কারণ ব্রাহ্মণরা বৌদ্ধ ধর্মের বিরোধী ছিল এবং এই ব্রাহ্মণরা ওই বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর মানুষদের উপর অস্পৃশ্যতার বিধান চাপিয়ে দিয়েছিল, কারণ ওরা বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিল। এই যুক্তির ভিত্তিতে বলা যেতে পারে যে, অস্পৃশ্যতার একটি শিকড় নিহিত আছে সেই ঘৃণা ও অবজ্ঞায়, যা ব্রাহ্মণরা বৌদ্ধদের প্রতি তৈরি করেছিল।"
"[১৯১০ সালের] সেনসাসের তথ্য অনুযায়ী, মৃত গরুর মাংস ছিল সেই সব সম্প্রদায়ের প্রধান খাদ্য, যাদের সাধারণভাবে অস্পৃশ্য হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কোনও হিন্দু সম্প্রদায়, যতই নিম্ন স্তরের হোক না কেন, গরুর মাংস স্পর্শ করে না। অপরদিকে, এমন কোনও সম্প্রদায় নেই যাদেরকে প্রকৃত অর্থে অস্পৃশ্য বলা হয় অথচ যাদের মৃত গরুর সঙ্গে কোনও না কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের কেউ মাংস খায়, কেউ চামড়া তুলে নেয়, কেউ সেই চামড়া ও হাড় থেকে জিনিস তৈরি করে।"
"বেদব্যাস স্মৃতিতে অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের একটি তালিকা পাওয়া যায় এবং সেখানে বলা হয়েছে কেন তারা এই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত: চর্মকার, ভট্ট (সৈনিক), ভীল্ল, রজক (ধোপা), পুষ্কর, নট (অভিনেতা), ব্রত, মেদ, চণ্ডাল, দাস, স্বপক এবং কোলিক – এরা এবং আরও যারা গরুর মাংস ভক্ষণ করে, সবাই অন্ত্যজ।"
"ঋগ্বেদ থেকে স্পষ্ট যে, আর্যরা গরু হত্যা করত এবং গরুর মাংস ভক্ষণ করত। ঋগ্বেদের দশম মন্ডলের ৮৬.১৪ নম্বর সূক্তে ইন্দ্র বলেন: তারা একজনের জন্য ১৫ এবং ২০টি ষাঁড় রান্না করে।"
"'[সম্রাট] অশোক সব জীবের - মানুষ হোক বা পশু - জীবনের পবিত্রতায় বিশ্বাস করতেন। অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রাণ নেওয়া তিনি বন্ধ করেছিলেন। তিনি বলির অজুহাতে পশুহত্যা এবং যেগুলির কোন ব্যবহার নেই বা যেগুলি খাওয়া হয় না, এমন পশুহত্যা - উভয়কেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন, কারণ তা ছিল অকারণ এবং অপ্রয়োজনীয়।"
"মনু সম্পর্কেও বলা যায়, তিনিও কখনও গো হত্যার নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি বরং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে গরুর মাংস ভক্ষণকে বাধ্যতামূলক বলে নির্ধারণ করেছিলেন।"
"এমন এক সময় ছিল, যখন ব্রাহ্মণরাই ছিল সর্ববৃহৎ গো মাংস ভক্ষণকারী। আচার-অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় আড়ম্বরে পরিপূর্ণ এক সময়ে, এমন প্রায় কোনও দিনই যেত না যেদিন কোনও ব্রাহ্মণকে গো হত্যার উদ্দেশ্যে সংগঠিত যজ্ঞে নিমন্ত্রিত করা হত না - এবং এই নিমন্ত্রণ প্রায়শই আসত অ-ব্রাহ্মণদের পক্ষ থেকেই।"
"তৎকালীন ব্রাহ্মণদের জন্য যেন প্রতিদিনই ছিল একেকটি বিফ-স্টেক দিবস। ফলত, ব্রাহ্মণরাই হয়ে উঠেছিল সর্বাধিক গোমাংস আসক্ত সমাজগোষ্ঠী। ব্রাহ্মণদের যজ্ঞ আসলে নিরীহ প্রাণীদের হত্যাকেই পূজার নামে গৌরব ও আড়ম্বরের সঙ্গে পরিচালিত এক ধর্মীয় আচার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই হত্যা উৎসবের অন্তরালে গোমাংসের প্রতি আসক্তিকে গোপন রাখার উদ্দেশ্যে যজ্ঞকে রহস্যাবৃত ও গম্ভীর রীতিনীতিতে পরিপূর্ণ করে তোলা হয়েছিল। এই রহস্যময়তা, আড়ম্বর ও কৃত্রিমতার কিছু আভাস পাওয়া যায় ঐতিরীয় ব্রাহ্মণ-এ বর্ণিত যজ্ঞবিধির নির্দেশনায়, যেখানে পশুহত্যা কীভাবে ধর্মীয় আচাররূপে সম্পন্ন হবে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।"
"ব্রাহ্মণরা যখন দেখল যে বৌদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে, তখন তারা কৌশলগতভাবে গরুর মাংস খাওয়া ত্যাগ করে এবং গরুর পূজা শুরু করে। আমার মনে হয়, ব্রাহ্মণরা কৌশলগত কারণে গোমাংস খাওয়া বন্ধ করে গরুর পূজা শুরু করেছিল। গরুর পূজার কারণ খুঁজলে দেখা যায়, সেটা বৌদ্ধ ধর্ম আর ব্রাহ্মণ্যবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্ব ব্রাহ্মণ্যবাদকে বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উৎকৃষ্ট ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার তাগিদের মধ্যেই নিহিত।"
"বৌদ্ধধর্ম এক সময় ভারতে জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের ধর্ম ছিল। শত শত বছর ধরে এটি সাধারণ জনগণের ধর্ম হিসেবে প্রচলিত ছিল। এই ধর্ম ব্রাহ্মণ্যবাদের ওপর বহুমুখী আক্রমণ চালিয়েছিল - যা এর আগে আর কোনো ধর্ম করেনি।"
"ব্রাহ্মণ্যবাদ তখন অবক্ষয়ের পথে, আর যদি একেবারে অবক্ষয় নাও হয়ে থাকে, তাহলেও নিঃসন্দেহে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে ছিল। বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক প্রসারের ফলে ব্রাহ্মণরা রাজদরবারে ও জনসাধারণের মধ্যে তাদের সকল ক্ষমতা ও মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছিল।"
"'বুদ্ধের মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীরা তাঁর প্রতিমা স্থাপন ও স্তূপ নির্মাণ শুরু করে। ব্রাহ্মণরা পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শিব, বিষ্ণু, রাম ও কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে মন্দির নির্মাণ শুরু করে, যাতে সাধারণ মানুষকে বুদ্ধের প্রতিমা পূজা থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।"
"সম্ভবত ব্রাহ্মণরা গো-হত্যাকারী হিসেবে ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠেছিল, তাই অতিথিকে "গোঘ্ন" বা গোহন্তা বলা হতো, কারণ অতিথি এলে গৃহস্থকে তাঁর সম্মানে একটি গরু জবাই করতে হত। এই অবস্থায় ব্রাহ্মণদের পক্ষে যজ্ঞ ও গরু উৎসর্গ করার প্রথা পরিত্যাগ করা ছাড়া বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার আর কোনো পথ খোলা ছিল না।"
"কৃষিভিত্তিক সমাজে পশুহত্যাবিরোধী বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং গরু ও বলদের বলিদানে বিশ্বাসী ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতি বিতৃষ্ণা থাকা স্বাভাবিক! ব্রাহ্মণরা তখন নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে শুধু মাংস খাওয়া ছেড়ে নয়, বরং পুরোপুরি নিরামিষাশী হয়ে ওঠার পরিকল্পনা নেয়। ব্রাহ্মণদের নিরামিষাশী হয়ে ওঠার এই উদ্দেশ্য যে ছিল একটি কৌশল, তা বিভিন্নভাবে প্রমাণ করা যায়।"
"তবে যজ্ঞ পরিত্যাগ এবং গরু বলি বন্ধ করা কেবল সীমিত প্রভাব ফেলতে পারত। সর্বোচ্চ যা ঘটতে পারত, তা হল এই পরিবর্তনের ফলে ব্রাহ্মণদের অবস্থান বৌদ্ধদের সমকক্ষ হত। একই ফলাফল হত যদি তারা মাংস ভক্ষণ বিষয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনুসৃত নিয়মাবলী গ্রহণ করত। কিন্তু এই পন্থাগুলোর কোনোটিই ব্রাহ্মণদের সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হত না - যা ছিল বৌদ্ধদের ছাপিয়ে গিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।"
"যে বৌদ্ধরা যজ্ঞের জন্য গরু হত্যার বিরোধিতা করে সাধারণ মানুষের মনে সম্মান ও মর্যাদার স্থান অর্জন করেছিল, ব্রাহ্মণরা তাদেরই স্থানচ্যুত করতে চেয়েছিল।"
"বৌদ্ধধর্ম সাধারণভাবে পশুবলির বিরোধী ছিল। গরুর প্রতি তাদের কোনো বিশেষ অনুরাগ ছিল না। ফলে অশোকের পক্ষে গরু রক্ষা করার জন্য আলাদা করে কোনো আইন তৈরি করার প্রয়োজন ছিল না। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, গুপ্ত সম্রাটেরা - যারা হিন্দুধর্মের প্রবক্তা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, এমন হিন্দুধর্ম যা যজ্ঞের জন্য গরু বলি অনুমোদন করত - তারাই গো হত্যা মহাপাতক, অর্থাৎ মারাত্মক পাপ বা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।"
"প্রশ্ন হল, কেন এক হিন্দু রাজা গরু হত্যার বিরুদ্ধে, অর্থাৎ মনুস্মৃতির নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ করে, আইন প্রণয়ন করবেন? এর উত্তর হল, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রভাব খর্ব করার জন্য ব্রাহ্মণরা তাদের নিজস্ব বৈদিক ধর্মীয় বিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম স্থগিত রাখতে অথবা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।"
"তবু প্রশ্ন থেকে যায় - ব্রাহ্মণ ও অ-ব্রাহ্মণদের দ্বারা গোমাংস ভোজন বন্ধ হয়ে গেলেও বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে এর চলমান ব্যবহার এক নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, যা পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে ভিন্ন ছিল। এই ভিন্নতার সারকথা এই যে, যেখানে পূর্বে সকলেই গোমাংস খেত, সেখানে নতুন পরিস্থিতিতে এক অংশ তা ত্যাগ করেছিল, অন্য অংশ তা চালিয়ে যাচ্ছিল।"
"এই পার্থক্য ছিল অত্যন্ত প্রকট। প্রত্যেকে তা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিল। সমাজে এমন বিভাজন অতীতে আর কিছুতেই সৃষ্টি হয়নি।"
"...যদি গোমাংস ভক্ষণ কেবলমাত্র এক ধর্মনিরপেক্ষ বিষয় - ব্যক্তিগত রুচির প্রশ্ন - হয়ে থাকত, তবে যারা গোমাংস খায় ও যারা খায় না, তাদের মধ্যে এই প্রাচীরের মতো বিভেদ গড়ে উঠত না।"
"দুর্ভাগ্যবশত গোমাংস ভক্ষণকে একটি নিছক ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ে না রেখে এক ধর্মীয় ইস্যুতে পরিণত করা হয়েছিল। এই রূপান্তর ঘটেছিল কারণ ব্রাহ্মণরা গরুকে পবিত্র প্রাণী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। এর ফলে গোমাংস খাওয়া একরকম ধর্মদ্রোহ বা অশুচি কার্যকলাপে পরিণত হয়। অতএব, মূল জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষরা যখন গোমাংস খেত, তখন তারা স্বয়ং ধর্মদ্রোহী বা অশুচি হিসেবে বিবেচিত হতে লাগল এবং সমাজ থেকে বহিষ্কৃত হতে শুরু করল।"
"...এমনকি সেই সময়েও, যখন গোমাংস খাওয়া স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ও গোষ্ঠী বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে সমানভাবে প্রচলিত ছিল, তখনও এক প্রথা গড়ে উঠেছিল, যেখানে সমাজে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী সম্প্রদায় তাজা গরুর মাংস খেত, অথচ গোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষরা খেত মৃত গরুর মাংস।"
"গুপ্ত সম্রাটগণ যে আইন করেছিলেন, তা কেবলমাত্র গরু হত্যাকারীদের প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে ছিল। এই আইন বিচ্ছিন্ন মানুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল না, কারণ তারা গরু হত্যা করত না। তারা কেবল মৃত গরুর মাংস খেত। তাদের এই আচরণ গো-হত্যাবিরোধী আইনের পরিপন্থী ছিল না। অতএব মৃত গরুর মাংস খাওয়ার এই প্রথা চালু রইল।"
"তাছাড়া, যদি ধরে নেওয়া যায় যে অহিংস নীতির সঙ্গে ব্রাহ্মণ ও অ-ব্রাহ্মণদের গোমাংস ভক্ষণ পরিত্যাগের কোনো সম্পর্ক ছিল, তবুও তাদের এই আচরণ অহিংসার মতবাদের পরিপন্থী ছিল না। গরু হত্যা করা হিংসা, কিন্তু মৃত গরুর মাংস খাওয়া হিংসা নয়। ফলে, বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের পক্ষে মৃত গরুর মাংস খাওয়াকে ঘৃণার বা অপরাধবোধের বিষয় মনে করার কোনো কারণ ছিল না।"
"তবে প্রশ্ন থেকে যায় - তারা কেন ব্রাহ্মণ ও অ-ব্রাহ্মণদের অনুকরণে গোমাংস খাওয়া বন্ধ করল না?"
"এই প্রশ্নের উত্তর দুটি। প্রথমত, অনুকরণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। তারা তা বহন করতে পারত না। মৃত গরুর মাংস ছিল তাদের প্রধান খাদ্য। সেটি ছেড়ে দিলে তারা অনাহারে মারা যেত।
দ্বিতীয়ত, মৃত গরু বহন করার দায়িত্ব একসময়ে অধিকার বা সুবিধা হিসেবে শুরু হলেও পরে তা এক সামাজিক বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়েছিল। যেহেতু তারা মৃত গরু বহন করার দায়িত্ব থেকে রেহাই পায়নি, তাই তারা সেই মৃত গরুর মাংসকে পূর্বের মতই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি।"
[ডিলিজেন্ট পত্রিকার মন্তব্যঃ আজকের দিনে হিন্দু ধর্মে অস্পৃশ্যতার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে কিন্তু গরু কেন্দ্রিক উন্মাদনা এখন ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষেরও হেতু হিসেবে বহমান রয়েছে।]
Comments
Post a Comment