ভারতীয় ধর্মসমূহে কাস্ট এবং ওবিসি লিস্ট বিতর্ক

প্রিয়াংশু দে  


গত বছর মোড়েনায় অনুষ্ঠিত একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের কিছু ইসলাম ধর্মাবলম্বী রাজ্যবাসীদের ওবিসি মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বলেন যে এই সিদ্ধান্ত বিদ্যমান ওবিসি সমাজের স্বার্থ বিরোধী। তিনি এও বলেন যে এই সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী এবং বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতাদর্শকে খন্ডন করছে। তাঁর যুক্তি হল, যেহেতু আম্বেদকর ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের পক্ষে ছিলেন না, তাই এই সিদ্ধান্ত সংরক্ষণের ইতিহাস ও ভিত্তি এবং পিছিয়ে পড়াদের অধিকারের বিরোধী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের একটি ভুল ধারণা আছে যে ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ণগত নিপীড়নের অস্তিত্ব শুধু হিন্দু ধর্মের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে মর্যাদা ও সুযোগের খোঁজে বৈদিক সভ্যতার অধীনে থাকা নিপীড়িত নিম্নবর্ণ, অস্পৃশ্য ও অন্ত্যজরা অন্যান্য আগত ধর্মে নিজেদের ধর্মান্তকরণ করে এসেছে। ট্রাজেডি এখানেই, যে ধর্মে বর্ণভেদ ছিল না, ভারত ভূখণ্ডে পৌঁছে তার অধিবাসীদের মধ্যেও নবাগত নিপীড়িত সদস্যদের প্রতি নিপীড়নের মানসিকতা কাজ করেছে। অর্থাৎ পিছিয়া পড়ারা নিপীড়িত হওয়ার প্যাকেজ সমেত অন্য ধর্মে পৌঁছেছিল। ভেদাভেদের দর্শনের কি মাহাত্ম্য! তাই ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য ধর্মে জাতিভেদ প্রথার অস্তিত্ব এবং তার সংযুক্তিকরণের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। 

ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমান সমাজের মধ্যে কাস্ট ব্যবস্থার প্রবেশ ঘটেছে। ভারতীয় মুসলমান সমাজ যথাক্রমে আশরাফ, আজলাফ ও আরজাল গোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্ত। সবার উপরে হল আশরাফরা। এরা দেশের মুসলমান জনসংখ্যার মাত্র ১৫-২০% হলেও সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। এরা হল সম্ভ্রান্ত বংশীয় মুসলমান যারা দাবি করে তাদের বৈদেশিক বংশপরিচয় আছে। এদের মধ্যে সৈয়দ, খান, পাঠান, শেখ, মুঘল ও কায়স্থ উল্লেখযোগ্য। সৈয়দরা নিজেদের মহম্মদের বংশধর বলে মনে করে এবং যথাক্রমে শেখরা আরবী, পাঠান ও খানরা আফগান এবং মুঘলরা মধ্য এশীয় বংশ পরিচয়ের দাবীদার। অন্যদিকে মুসলমান কায়স্থরা হিন্দু কায়স্থ সম্প্রদায় থেকে ধর্মান্তরিত হওয়া সম্ভ্রান্তদের উওরাধিকারী। ধর্মীয় বোর্ড, মাদ্রাসা ও মসজিদের নেতৃত্বে এই আশরাফ মুসলমানরা অগ্রণী। এরপরেই আজলাফদের স্থান। দক্ষ কারিগর, নাপিত, তাঁতি, কসাইরা এই বর্ণের অন্তর্ভুক্ত। এরা হিন্দু ওবিসিদের থেকে ধর্মান্তরিত হওয়ায় এদের স্থান নীচে। আনসারি, কুরেশি, মানসুরি, নাই, সাইফি, মনিহার ও ইদ্রিসিরা এর অন্তর্গত। ভারতীয় মুসলমানদের ৪০-৪৫% এই অংশের। সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে আরজালরা। এরা হল 'দলিত মুসলমান'। হালালখোর, মেহতার, ধোবা, মুচি, ভিস্তি, কালয়ার, চুড়িহার, লালবেগীরা উল্লেখ্য। ধর্মান্তরিত হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু দলিতদের মতই এরাও বংশানুক্রমিকভাবে নিম্নবর্ণীয় পেশার সাথে যুক্ত। মুসলমান জনসংখ্যার ৩০-৩৫% এরা। আজলাফ ও আরজালদের একসাথে 'পাসমান্দা' বলা হয়। 'পাসমান্দা' শব্দের অর্থ 'যারা পিছিয়ে আছে'। এরা মোট মুসলমান জনসংখ্যার ৭৫-৮০%, তবুও ধর্মীয় নেতৃত্বে, ওয়াকফ বোর্ডে, মাদ্রাসায় ও রাজনীতিতে এদের প্রতিনিধিত্ব ব্যাপকভাবে কম। সংখ্যালঘু আশরাফরা ক্ষমতা আর প্রতিপত্তিতে এদের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে।  

ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে ভারতীয় খ্রিস্টান সমাজে নিপীড়িতদের প্রবেশ তৈরি করেছে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি। খৃস্ট ধর্মের ইতিহাস বর্ণাশ্রমের প্রথা না থাকলেও ভারতীয় সমাজে তা জাতিভেদ প্রথার কবল থেকে মুক্ত নয়! কেরালার জ্যাকোবাইট সিরীয় খ্রিস্টান চার্চের একজন উচ্চপদস্থ পাদ্রি, নিরানাম ডায়োসিসের বিশপ, গিভার্ঘিস মোর কুরিলোস ২০১৮ সালে রাজ্যের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে জাতিভেদের অস্তিত্বের কথা বলেন। তিনি জানান যে চার্চের সম্ভ্রান্ত বংশীয় সদস্যদের অনুষ্ঠিত পারিবারিক অনুষ্ঠানে তিনি আর অংশগ্রহণ করবেন না। তাঁর মতে এই পারিবারিক অনুষ্ঠান বা মিটিং অনুষ্ঠিত করার মূল উদ্দেশ্য হল কৃত্রিমভাবে একটি উচ্চবর্ণীয় বংশপরিচয় স্থাপন করা। এহেন বিত্তবান সদস্যদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পাদ্রিদের অংশগ্রহণ এই দাবীকে আরও পোক্ত করে তোলে। তাই তিনি অংশগ্রহণে বিরত থাকতে চান। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন যে এই পরিবারেরা দাবী করে যে তাদের পূর্বপুরুষেরা ব্রাহ্মণ ছিল এবং সেন্ট থমাসের দ্বারা ধর্মান্তরিত হয়েছিল। বিশপের দাবী, এরা এই অনুষ্ঠানগুলিতে তাদের পারিবারিক ইতিহাসের বিভিন্ন বইও প্রকাশ করে। বিশপের মন্তব্য করেন যে আদেও যীশুর ১২জন শিষ্যের একজন সেন্ট থমাস কেরালায় এসেছিলেন আর সেখানকার ব্রাহ্মণদের ধর্মান্তরিত করেছিলেন কিনা। এদেশের খ্রিস্টানদের একাংশের মধ্যে তাদের ব্রাহ্মণ বংশপরিচয় নিয়ে গর্ববোধই তাদের মধ্যে জাতিভেদের অস্তিত্বের প্রাথমিক প্রমাণ। ফলে দলিতদের খ্রিস্ট ধর্মগ্রহণের পর সামাজিক অবস্থানের বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ ড. সানাল মোহনের বিবরণ অনুযায়ী কেরালায় দলিত খ্রিস্টানদের ওপর নিপীড়নের ফলে আলাদা করে শুধুমাত্র দলিতদের জন্য গির্জা নির্মাণের প্রয়োজন পড়েছে। ১৯০৯ সালে দলিত আন্দোলনকারী কবি পইকায়িল যোহান্নান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত 'প্রত্যাখ্যা রক্ষা দৈব সভা' এই দলিত চার্চদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইভাঞ্জেলিকাল মিশন, অ্যাংলিকান চার্চ, স্যাল্ভেশান আর্মি-র মত কিছু বিখ্যাত দলিত চার্চ। ইতিহাসবিদ মোহনের মতে কোনো চার্চ জাতিভেদ সমস্যা সমাধানে ঠিকমতো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তিনি একটি ঘটনার দিকেও বিশেষভাবে আলোকপাত করেছেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে খ্রিস্টান অধ্যুষিত পুঞ্জর বিধানসভার এনডিএ জোটের নির্দলীয় বিধায়ক (বর্তমানে বিজেপিতে) পিসি জর্জ একজন দলিত পাদ্রির বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেন। তিনি তাঁকে একজন পুলায়া (একটি দলিত সম্প্রদায়) মহিলার অবৈধ সন্তান বলেন, যে নাকি কোনো ক্যাথলিক হতে পারে না। লেখক ববি থমাসও সে রাজ্যে জাতিভেদের বাড়াবাড়ির কথা বলেছেন। তাঁর মতে কেরালার খ্রিস্টানদের মধ্যে নিজেদের উচ্চজাতির অন্তর্গত প্রমাণ করার প্রবণতা রয়েছে আর সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের ব্রাহ্মণ বংশপরিচয়ের কথা তুলে আনে। প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুতেও অনেকটা একই অবস্থা। সে রাজ্যে প্যারিশ (পাদ্রির নেতৃত্বাধীন ধর্মীয় প্রশাসনিক জেলা) গঠনের ক্ষেত্রেও জাতিভেদের নিদর্শন রয়েছে। একই গ্রামে দলিতদের জন্য আলাদা চ্যাপেল রয়েছে এবং প্যারিশ প্রশাসনে কাজ পাওয়া থেকেও দলিত খ্রিস্টানরা বঞ্চিত হয়। দলিত আন্দোলনকারী ও লেখক আন্তোনিসামি মার্ক্স বলেন যে দলিত খ্রিস্টানরা তামিলনাড়ুর বিত্তবান ভান্নিয়ায়ার ও নাদার সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানদের দ্বারা নিপীড়িত আর চার্চের কাছে এর কোনো সমাধান নেই। তাঁর বয়ান অনুযায়ী তামিলনাড়ুতে প্রায় ৪৪ লক্ষ্য খ্রিস্টানদের বাস, যার মধ্যে ৭০%-ই পূর্বতন দলিত ও ধর্মান্তরিত। বর্ণপ্রথা থেকে বাঁচার জন্য খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা সত্ত্বেও তাদের একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য অনুসারে চার্চ দ্বারা পরিচালিত স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকেও দলিত খ্রিস্টান ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি এও বলেন যে সে রাজ্যে অস্পৃশ্যতার বারবারত্ব রয়েছে, এমনকি দলিতদের জন্য আলাদা কবরস্থানেরও অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়!  

এটি বহু সময় ধরে একটি বিতর্কিত বিষয় যে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মদ্বয় কোনো বর্ণব্যবস্থাবিরোধী আন্দোলন ছিল কি না। তবে গৌতম বুদ্ধের বর্ণব্যবস্থা আর সমাজে ব্রাহ্মণ আধিপত্যের সমালোচনা থেকে বোঝা যায় যে তিনি মনে করতেন প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবে সমান। এই ধর্মদ্বয়ের অস্তিত্বের কারণে সমাজ ব্যবস্থার বাইরেও শ্রেণি অস্তিত্ব ছিল, যার অন্তর্গত ছিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু, ব্রাহ্মণ পরিব্রাজক আর জৈন সাধুরা। এই যে বর্ণাশ্রমের বাইরে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও জৈন সাধুদের আলাদা শ্রেণী তৈরি হয়েছিল, তাদেরকে সমাজে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হত যদিও বর্ণাশ্রমের বাইরের অবর্ণদের বৈদিকরা অচ্ছুৎ বলে মনে করত। বুদ্ধ একমাত্র এই ভিক্ষু ও সাধুদের শ্রেণীকে জাতিবিন্যাসের ঊর্ধ্বে এবং মুক্ত বলেছিলেন। বিনয় পিটকের চুল্লভজ্ঞ অনুযায়ী বুদ্ধ বলছেন যে যেভাবে গঙ্গা, যমুনা, ঐরাবতী প্রভৃতি মহান নদীরা মহাসাগরে মিশে নিজের পূর্ব নাম ও ভেদাভেদ ভুলে যায় সেভাবেই চার বর্ণের মানুষ গৃহত্যাগ করে ধম্ম ও বিনয়ের পথে হাঁটলে নিজ বংশ ও জাতি পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে তারা একমাত্র শ্রমণ নামে পরিচিত হতে পারবে। এটি পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে বৌদ্ধ গ্রন্থগুলির রচনাকালে বর্ণব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি সমাজে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছিল। বুদ্ধের জীবনকাল সমাপ্ত হওয়ার পরবর্তী সময়ে বৌদ্ধদের মধ্যে মতাদর্শগত বিভাজন এবং ধীরে ধীরে বৈদিক আচারের প্রতি আনুগত্য লক্ষ্য করা যায়। এর প্রভাব পড়ে বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে। তাই মজ্ঝিমার অস্যলায়ন সুত্ত অনুযায়ী বুদ্ধ নাকি তথাকথিত উচ্চজাতির উত্তম হওয়ার দাবীকে নাকোচ করলেও মৃত্যুর পর কর্মের ভিত্তিতে পুনর্জন্ম হওয়ার কথা বলেছেন। ফলে এই নব্য বৌদ্ধদের মতে পূর্বজন্মের কর্মফলের মাধ্যমেই এই জন্মের জাতি ঠিক হয়! তাই তাদের কর্মফলের যুক্তি ও ধারণার ভিত্তিতে আদতে বর্ণাশ্রম আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। দিঘনিকার অমবত্থ সুত্ত আর মজ্ঝিমার কন্নকত্থল সুত্ত অনুযায়ী বুদ্ধ নাকি ক্ষত্রিয়দেরকে ব্রাহ্মণদের থেকেও উঁচু বলেছেন। বসালা সুত্ত অনুযায়ী চন্ডাল মাতঙ্গ তার উত্তম কাজের জন্য ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের ন্যায় সম্মানের পাত্র হলেও সে ব্রাহ্মণ একমাত্র মৃত্যুর পরে পুনর্জন্মের মাধ্যমেই হতে পারবে। কর্মকে এখানে সঞ্চিত কর্ম হিসেবে দেখা হয়েছে, ক্রিয়মান কর্ম হিসেবে নয়, যা পরের জন্মে ফল দেবে। এই আদর্শগত বিকৃতির ফলে ভারত ভূখণ্ড ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্ম নিপীড়নের প্যাকেজ সমেত প্রচারিত হয়েছে।    

উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে হিন্দু ধর্ম ছাড়াও ভারতের অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যেও জাতিভেদ সুপ্রতিষ্ঠিত। ধর্মান্তরিত হয়েও নিপীড়িতরা এই ব্যবস্থার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বর্ণপ্রথা বা জাতিভেদ ভারতীয় সমাজে বছরের পর বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত বিদ্বেষমূলক ব্যবস্থা যা বর্তমানে কোনো বিশেষ ধর্মে সীমাবদ্ধ নয়। তাই ধর্মভেদে প্রত্যেক ঐতিহাসিকভাবে নিপীড়িত জাতিরই সংরক্ষণ সম্পর্কে রাজ্য সরকারগুলির অবস্থান ও বিধানসভাগুলিতে পাশ হওয়া ওবিসি সংরক্ষণ বিধি সম্পর্কে বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।  

তথ্যসূত্র 

1. Buddhism and the Caste System; Y. Krishan, 1998; The Journal of The International Association of Buddhist Studies 

2. Is the caste system deep-rooted among Christians in India? A Kerala bishop stirs up a hornet’s nest; TA Ameerudheen, 2018; Scroll.in

3. Casteism in Islam: A study of Repression and Representations of Pasmanda (Dalit); Adv. Sushil Sonkar, 2024; ResearchGate

4. Constitution doesn't allow reservation on the basis of religion, but Congress has committed this sin; https://youtu.be/IOPbD-YnmkA?si=1kSPLNKykwq25_7i

Picture Courtesy: Craiyon AI 

Comments

Popular posts from this blog

বর্তমান সময়ে বাম ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা

আম্বেদকরের চোখে - কেন ব্রাহ্মণ্যবাদ শাকাহারী পথ গ্রহণ করল? গো ভক্ষণ নিষিদ্ধকরণের সাথে অস্পৃশ্যতার কি সম্পর্ক রয়েছে?

Polemics on 'Fractured Freedom': C Sekhar responds to Kobad Ghandy's views