Posts

Showing posts from February, 2021

দেশপ্রেমী

Image
প্রভাত পট্টনায়ক  আমরা একটি উদ্ভট পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করছি। এরকম উদাহরণ পাওয়া যায় যেখানে গ্রাহকরা খাদ্য শষ্যের ফলন চান জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থায় সরবরাহের জন্য, অন্যদিকে উৎপাদকরা অর্থকরী শস্যে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলস্বরূপ আর্থিক লাভের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে তা করতে নারাজ হন। সরকারকে এই বিরুদ্ধ স্বার্থের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে হয়। তবে ভারতে বর্তমানে কৃষকরা খাদ্য শষ্য ফলনের থেকে সরে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা পোষন করছেন না, এমনকি গ্রাহকরাও চান যে জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমেই খাদ্য শষ্য সরবরাহ করা হোক। তাদের মধ্যে কোনও স্বার্থের বিরোধ নেই যে সরকারকে মধ্যস্থতা করতে হবে। তবুও, সরকার কৃষকদের খাদ্য থেকে অর্থকরী শষ্য ফলনের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে যা জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থাকেই নষ্ট করবে। এই পরিবর্তন কার্যকর করাই কৃষি আইনগুলির লক্ষ্য। সরকারী অর্থনীতিবিদ, যাঁরা এই আইনগুলির পক্ষে কথা বলছেন,‌ তাঁরা এই পরিবর্তনের সুবিধার উপর জোর দিয়ে চলেছেন। এখানকার সরকার জনগণের মধ্যেকার স্বার্থের বিরোধের মধ্যস্থতা করছে না; স্পষ্টতই সরকারের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে, যা সে উৎপাদক এবং গ্রাহকদের নির্বিশেষে জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্

ইস্ট ওয়েস্ট করিডোর প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণঃ ক্ষতিপূরণের দাবীতে আন্দোলনরত আলিপুরদুয়ারের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

Image
রূপক গায়েন  ইস্ট ওয়েস্ট করিডোর প্রকল্পের অধীন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার জমিদাতাদের প্রতি প্রবঞ্চনার পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে। ২০০৪ সালে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া (এনএইচএআই) এ রাজ্যে ইস্ট ওয়েস্ট করিডোর তৈরীর জন্য দুটি বিকল্প রাস্তার প্রস্তাব দেয়। প্রথমটি হাসিমারা থেকে বীরপাড়া হয়ে করোনেশন সেতুর রাস্তা, যদিও পরিবেশজনিত কিছু সমস্যার কারণে এই রাস্তাটির প্রস্তাব অনুমোদন পায়নি। সেই কারণে আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১.৬৫ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই রাস্তা দিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে ত্রিশ কিমি কম যেতে হবে এবং জনবহুল জায়গার মধ্যে দিয়ে রাস্তা হওয়ায় অনেক বেশি মানুষের  কাছে পরিষেবার সুযোগও তৈরি হবে বলে জানানো হয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে। ফলে আলিপুরদুয়ারের ১ নং ব্লকের প্রকল্প সংলগ্ন ২৫০জন ব্যবসায়ী এবং ২নং ব্লকের চেনপাড়া, শোভাগঞ্জ, চাপড়ের পাড়, ভেলুক ডাবরি এবং সলসলাবাড়ি, এই পাঁচটি মৌজার (চারপাশে রাস্তা দিয়ে ঘেরা জমির  অংশকে মৌজা বা স্থানীয় ভা

বামফ্রন্ট এবং কর্মসংস্থানের ধাঁধাঁ

Image
সায়ন নন্দী ও অভিজ্ঞান চক্রবর্তী   বাম ছাত্রযুব সংগঠনগুলির ভূমিকা  তৃণমূল জামানাতে বামফ্রন্ট ঘেঁষা বাম ছাত্রযুব সংগঠনগুলির মূল দাবী থেকেছে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের কর্মসংস্থান। আন্দোলনের অভিমুখ হিসেবে তাই একে একে উঠে এসেছে প্রাথমিক কিংবা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজগুলিতে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপোষণ ও ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই।  সমগ্র বাম ছাত্রযুব সংগঠনগুলির আন্দোলনের সর্দথক এবং নঞর্থক দুটো দিকই রয়েছে। এই আন্দোলনগুলি একদিকে তৃণমূল সরকারের উলঙ্গ রাজনীতির উন্মোচন করেছে, তুলে ধরেছে এই সহজ সত্য যে তৃণমূল দলটির ভিত্তিপ্রস্তর হল 'লুম্পেনাইজেশন'। বামফ্রন্ট জমানার শেষ অধ্যায়ে ছাত্র রাজনীতিতে মাসলম্যানের উৎপত্তি এবং কলেজগুলিতে স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতির অবলুপ্তি শুরু হয়। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই ছাত্র রাজনীতি চারিত্রিকভাবে উগ্রতার পথে যাত্রা শুরু করে। ছাত্র নেতা বলে পরিচয় দেওয়া "দাদা"দের হাতে উঠে আসে মোটা সোনার চেন থেকে দামী বাইক। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য চাঁদার দর সারদা কেলেঙ্কারীর পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে বেড়ে দাঁড়াল লক্ষাধিক টাকার দোরগোড়ায়। এই সময়ে মমত

২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ নোটস্‌

Image
 মঞ্জুশ্রী সামন্ত  ২০২১-এর ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগেই বিজেপি "বাংলা ভাষা আন্দোলন" দিবস-এর মত ঐক্যতার দিনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বিভেদকামী ও ভুল তথ্য প্রচার করতে শুরু করেছিল। সেই বিভেদের তথ্যগুলিকে খন্ডন করতেই এই আলোচনা। ফ্যাসিস্টদের পক্ষ থেকে প্রথমেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বাংলা ভাষা আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন ( রহমান-সালাম–বরকত–রফিক–জব্বর ) এবং যে পত্রিকাগুলি ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল ( ইত্তেফাক-ইনসান-ইনসাফ-জিন্দেগী-দৈনিক আজাদ-ইত্তেহাদ-নওবেলাল ), তাঁদের এবং পত্রিকাগুলির নাম বাংলা ভাষায় নয় বরং আরবী ভাষায় কেন? এ প্রসঙ্গে বলি, বাংলা ভাষার মধ্যে প্রায় দশ হাজার আরবি-ফারসি শব্দ মিলেমিশে রয়েছে। কারও মতে, ৩০ শতাংশ শব্দ বাংলার আরবী ভাষা থেকে এসেছে। তথাকথিত হিন্দুরা যে ধরনের নাম ও শব্দ ব্যবহার করে থাকে, তার সিংহভাগই আর্য কিংবা সংস্কৃত শব্দ। সংস্কৃত 'বঙ্গ' শব্দের সাথে আরবী 'আলি' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'বঙ্গালী' শব্দটির উৎপত্তি । 'আলি' প্রত্যয় বলতে বোঝায়, জমির সীমানা। মুঘল শাসনকালে 'আলি' শব্দটির উচ্চারণ হয়ে দাঁড়ায় 'আল'। তা থেকেই 'বঙ্গাল

আন্দামানে সেজ আইন জারী করে আদিবাসী উচ্ছেদের পথে কেন্দ্র সরকার

Image
সায়ন নন্দী সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি স্হান যখন অর্থনৈতিকভাবে ভাটার টানে বইছে, ঠিক সেই সময়ে ভারতবর্ষে মোদী সরকার আবার একটি নতুন চাল চালছে লোকচক্ষুর আড়ালে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পরিকল্পনা "সাসটেনবল লিটল আন্দামান আইল্যান্ড ভিশন ডকুমেন্ট" দ্বারা নীতি আয়োগ ৬৮০ কিমি আন্দামানের একটি দ্বীপকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (স্পেশাল ইকোনমিক জোন বা সেজ) হিসাবে গণ্য করতে চাইছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপকে কার্যত বিক্রী করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার সেই চীনের অর্থনৈতিক লাইন অবলম্বন করে, যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা এ দেশের লেগেই রয়েছে। বলা হচ্ছে এর মাধ্যমে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের বিকাশ ঘটবে! কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি নতুন গ্রিনফিল্ড উপকূলীয় শহর গড়ে তোলা হবে, যা একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হিসেবে বিকশিত হবে এবং সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের সাথে প্রতিযোগীতা করবে। সমগ্র দ্বীপটিকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা হবে। প্রথমে ১০২ বর্গ কিমি মহানগর হবে। এটিতে পর্যটন স্থল এবং হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দ্বিতীয় ৮৫ কিমি একটি আবাসিক জেলা যাকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তৃতীয় ৫২ কিমি প্রাকৃতিক অঞ্চল যা একটি

উলুবেড়িয়ায় 'জরি শ্রমিক ইউনিয়ন'-এর প্রতিষ্ঠা

Image
রূপক গায়েন দেশব্যাপী চলা রাষ্ট্রীয় শোষণের বিরুদ্ধে সংগঠিত তো বটেই, সাথে সাথে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষদের মুষ্টিবদ্ধ হাতগুলো একত্রিত হওয়ার ছবি দিকে দিকে ফুটে উঠছে। এমনই এক দৃষ্টান্ত প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার অসংগঠিত শ্রমজীবী জরিশিল্পীদের মধ্যেও। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহাকুমা অঞ্চলে প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ মানুষ এই জরিশিল্পের সাথে যুক্ত। এদের অনেকেই আবার মুম্বাই, দিল্লীর মতো জায়গায়ও কাজ করেন। শুধু পুরুষ বা নারী নয়, প্রচুর সংখ্যক শিশুশ্রমিকও অসংগঠিত এই শিল্পের সাথে যুক্ত। খাটিয়ায় মতো কাঠের ফ্রেমে কাপড় লাগানো থাকে, তার পাশে বসে ফ্রেমের নীচে পা মেলে বা হাটু মুড়ে বসে খুব কম আলো কিংবা কোনো কোনো জায়গায় অন্ধকারের মধ্যেই বারো থেকে চোদ্দ ঘন্টা কাজ করতে হয়। ফলত দীর্ঘদিন ধরে আলো আঁধারির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার ফলে ঘাড়ে ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, হাত অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ব্যাধিতে ভোগেন তাঁরা। এছাড়াও যক্ষ্মা, রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিসের মত রোগ তো আছেই। প্রতিনিয়ত দারিদ্রতা, পুঁজির অনিশ্চয়তা নিয়ে যুজতে  থাকা মানুষগুলোর কোমর নোটবন্দী এবং জিএসটি ভেঙেই দিয়েছিল, তার সাথে লকডাউন দোসর।

উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়: প্রশ্ন অনেক... উত্তর কি খুঁজব আমরা?

Image
ত্রিদীপ দস্তিদার ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি গত ৭ই ফেব্রুয়ারীর উত্তরাখণ্ডের চামৌলি জেলায় হিমবাহগলা জলোচ্ছ্বাসের ফলে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের ঘটনা। তার ফলাফল সম্পর্কে নানা হৃদয় বিদারক সংবাদে সরগরম নানা মহল। চলছে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ। সঙ্গত কারনেই নানা দিক থেকে অনেক তথ্যও সামনে আসছে। এ বিষয়ে আরও কিছু দিক বরং আমি সাধ্যমত বলার চেষ্টা করছি। প্রথমত, এই বিপর্যয় একদিকে অনেক প্রশ্ন যেমন আমাদের সামনে হাজির করেছে, তেমনই, এই বিপর্যয় এক ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তাও বটে। আর, বহুদিন আগে থেকেই পরিবেশ আন্দোলনের বহু মানুষ, এমনকি নানা সরকারি বেসরকারি সমীক্ষায় উঠে আসা নানা সতর্কবার্তাকে অগ্রাহ্য করার ফল। এটা আজ অনেকেরই জানা যে, তুষারাবৃত হিমালয়ের অস্থিত ভূমিরূপ, তার ঢাল(slopes), তার বাস্তুতন্ত্র অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ভূমিরূপ উচ্চমাত্রার ভূকম্পপ্রবণ। এমন একটি প্রাকৃতিক অস্থিত অঞ্চলে পাহাড় কেটে রাস্তা, ব্রীজ, টানেল, বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং নানা রকম নির্মাণ প্রকল্পে বিস্ফোরক ব্যবহার অতি বিপজ্জনক। তা ছাড়াও উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত যেখানে সেখানে নদীকে বড় বড় বাঁধ দিয়ে বাঁধা, বাঁধ বেঁধে নদীকে শুকিয়ে মারা যে বাস্তুতন্ত্র স

বাম ছাত্র যুবদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর মমতার পুলিশের আক্রমণ এবং আজকের ১২ ঘন্টার বনধ প্রসঙ্গে

Image
অভিজ্ঞান চক্রবর্তী  বেকারত্বের বিরুদ্ধে এবং কাজের দাবীতে নবান্ন অভিযানরত বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলির ওপর তৃণমূলী পুলিশের নিপীড়ন ও বর্বরতায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও যুবকযুবতী আহত হলেন। এরই প্রতিবাদে বামফ্রন্ট, ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘন্টার হরতাল ও ধর্মঘট পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে যে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে, একঃ 'নো ভোট টু বিজেপি' বা বিজেপিকে ভোট নয় বলে তৃণমূলকেই আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির অল্টারনেটিভ হিসাবে খাড়া করা একদল বামপন্থীদের দাবী কতখানি সমর্থনযোগ্য (বা কখনই তা সমর্থনযোগ্য ছিল কিনা) এবং, দুইঃ আজকের এই হরতালই বা কতখানি সমর্থনযোগ্য।  এই প্রশ্নগুলি উঠছে তার কারণ পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী শিবিরে একটা মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। বামফ্রন্ট কংগ্রেসের সাথে যৌথ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার অবস্থানে অনড় থাকায় এটা স্পষ্ট যে আদর্শগতভাবে আজ তারা কংগ্রেসী কর্পোরেট বান্ধব রাজনীতিরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতির ফলস্বরূপ একদা বামপন্থী ছাত্র ও যুব কর্মীদের খুন করে আসা কংগ্রেসী ছাত্র-যুব সংগঠনের সাথেই জোটে চলে যাচ্ছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির একাংশ। প্রশ্ন উঠবে, বাম ছাত্র-যুব

প্রমাণ লোপাটের পুনরাবৃত্তি

Image
  মঞ্জুশ্রী সামন্ত আরেকবার পুনরাবৃত্তি হল হাথরাসের ঘটনার, রেশ কাটতে না কাটতেই। যদি হাথরাসের কথা ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যাক। ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে একটি দলিত মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিল চার জন উচ্চবর্ণের পুরুষ দ্বারা। মেরুদণ্ড ভেঙ্গেচুরে, অপরিসীম ঘৃণায় জিভটাও শরীর থেকে খুলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টাও চলেছিল। এরপরে যা হয় আর কি! পুলিশি ব্যবস্থা প্রথমে গুরুত্ব প্রকাশ করার মতো মনেই করলোনা। উল্টে এক্ষেত্রে দেখা গেল, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটই সদ্য ধর্ষণ হওয়া একটি পরিবারের পাশে না থেকে তাদের বাড়ি এসেই মেয়েটির বাবাকে হুমকি দিলো, "মিডিয়া থাকবেনা কিছুদিন পর, ভেবে নিন আপনি রিপোর্ট করা প্রস্তাব বদলাবেন কিনা?" উল্টে মানুষকে দেখিয়ে দেওয়া হল যে কিভাবে তাদের সামান্য ফোনটুকুও ছিনিয়ে নেওয়া যায়, বাইরের কারো সাথে যাতে যোগাযোগটুকু সম্ভব না হয়। ধর্ষিতার পরিবারকেই ঘর বন্দী করে রাখা হল। গ্রাম ঘেরাও করা হল কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থার দ্বারা। সাংবাদিকদের প্রবেশ পথে বাধার সৃষ্টি করা হল, ভয় দেখানো হল। দেখা গেল কিভাবে উচ্চ বর্ণের লোকেরা রামরাজ্

মিনাখাঁর সিলিকোসিস আক্রান্ত শ্রমিকদের অধিকারের লড়াইয়ে টিইউসিআই

Image
সায়ন নন্দী  সিলিকোসিস পাথর গুঁড়ো করার কাজে যুক্ত শ্রমিকদের জীবনে একটি অভিশাপ। যদিও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দলবদলুদের ব্যস্ততায় শ্রমজীবি মানুষদের নিয়ে ভাবার সময় তাদের নেই। কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে 'ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার অফ ইন্ডিয়া' (টিইউসিআই)। সিলিকোসিস আক্রান্ত শ্রমিকদের নিয়ে  মিনাখাঁ ও সন্দেশখালির গোয়ালদহ গ্রামে সভার আয়োজন করা হয়েছিল গত ২৯শে জানুয়ারী। উপস্হিত ছিলেন মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালির সিলিকোসিস আক্রান্ত এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।  টিইউসিআই-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, কমঃ প্রিয়ম বসু এবং কমঃ শাহিদ মোল্লা। ১লা ফেব্রুয়ারী ১৪জনের প্রতিনিধি দল মিনাখাঁ ব্লকের ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিলিকোসিস আক্রান্ত শ্রমিকদের দাবীপত্র জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন টিইউসিআই সহ-সম্পাদক কমঃ প্রিয়ম বসু, কমঃ সুনীল পাল, সাথী বঙ্কিম মন্ডল সহ এলাকার সিলিকোসিস আক্রান্ত শ্রমিকরা।    এগারো দফা দাবী রাখা হয়, সেগুলি হলো ঃ  ১. সরকারী ভাবে সিলিকোসিস চিহ্নিত হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে যারা এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি, তাঁদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজ অবিলম্বে শুরু

পিপল'স ব্রিগেডের নেতৃত্বে বিধাননগরের ঝুপড়িবাসীদের ঘরে ঘরে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবার দাবীতে পৌরভবনে ডেপুটেশান

Image
বিশেষ প্রতিবেদন চিত্র ও ভিডিওঃ অকৈতব জানা  আজ পিপল'স ব্রিগেডের নেতৃত্বে বিধাননগর এলাকার ঝুপড়িবাসীদের ঘরে ঘরে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবার দাবীতে পৌরভবনে ডেপুটেশান দেওয়া হল। বেলা ১২ টায় মিছিল শুরু হয় ৫নং ট্যাঙ্ক থেকে এবং পৌঁছায় বিধাননগর পৌরভবনে। শাসক দলের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ঝুপড়িবাসীরা মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। স্লোগান ওঠেঃ " চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেল, দুই সরকার বদলে গেল, জল কারেন্ট আসবে কবে ? ", " মোদীর ঘরে দিদির চ্যালা, দল বদলের ভন্ড খেলা, জল কারেন্ট আসবে কবে ? ", " পাঁচটা বছর দিয়ে ফাঁকি, ভোটের আগে ফিনিক্স পাখি, জল কারেন্ট আসবে কবে ? "...  পৌরভবনের প্রতিনিধিদের কাছে ডেপুটেশান দিয়ে এসে পিপল'স ব্রিগেডের কনভেনর কমঃ বাসুদেব নাগ চৌধুরী জানান যে পৌরসভার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মারফৎ কাজ চালানো হচ্ছে। তারা আন্দোলনকারীদের দাবীদাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়েছে।  পৌরভবনের প্রতিনিধিরা আন-অথোরাইজড বা পাট্টাহীন বসতির অজুহাতে পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবী নাকচ করতে চাইলে পিপল'স ব্রিগেডের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে ফুটপাথেও যেখান