Posts

Showing posts from May, 2021

ফুলেশ্বরের 'সাইনআপ ফাইবার্স' সংলগ্ন 'লেবার লাইন' দখলের প্রচেষ্টা রুখল 'সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন'

Image
নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩১শে মে, ২০২১ উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরে অবস্থিত "সাইনআপ ফাইবার্স" কারখানা সংলগ্ন শ্রমিক বসতি অঞ্চল বা 'লেবার লাইন'-এ আজ জেসিপি ক্রেইন এনে উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সেখানকার বহু প্রাচীন গাছ উপড়ে ফেলতে শুরু করা হলে 'সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন'-এর সদস্যরা প্রতিবাদ শুরু করেন। ইউনিয়নের সভাপতি রামবচন সিং জেসিপি-র সামনে শুয়ে পড়ে পথ আটকান। শ্রমিকদের মিলিত প্রতিবাদে আজকের মত উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হলেও আশঙ্কা কমছে না। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে অবন্তী কাঙ্ককরিয়া পূর্বতন হমুনাম কটন মিল কিনে নেন মাত্র ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকায়। এভাবেই মফতলালদের হাত থেকে কারখানা  'কাঙ্ককরিয়া গ্রুপ'-এর হাতে চলে আসে জলের দরে। কারখানার পুরনো স্ক্র্যাপ ২ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। কারখানার নতুন নাম 'সাইনআপ ফাইবার্স প্রাইভেট লিমিটেড'। কিন্তু এই মালিকানা হস্তান্তরের সময়ে চুক্তিপত্রে শ্রমিক বসতি অঞ্চল 'লেবার লাইন' কাঙ্ককরিয়াদের অধীনস্থ হয়নি। এই অঞ্চলের জমির বর্তমান বাজার দাম ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি কিন্তু একপ্রকার গায়ের জোড়েই এই জমি হাতিয়ে ফ্ল্যাট তৈরির পরিকল্পন

আলাপনকে নিয়ে টানাটানির মাঝে কি আড়াল করা হচ্ছে?

Image
রূপক গায়েন   হঠাৎ বাংলার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা... প্রথমে মোদীঝড় মে মাসের দু'তারিখের পর অস্তিত্বহীন হল। কিন্তু তার বদলে উপস্থিত হল ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ। চলে গেল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলের উপর দিয়ে, নিয়ে গেল দিন-আনি-দিন-খাই মানুষের শেষ সম্বলটুকু, রেখে গেল একরাশ হাহাকার, হতাশা, আর্তনাদ। আগের বছর আমফানের পর রাজ্য সরকারের পক্ষাঘাতগ্রস্থতার শিকার সুন্দরবনের এ বছরের প্রতাড়িত হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।  ২০০৭ থেকে বারবার, প্রথমে সিডার, ২০০৯-এ আয়লা, পরের দিকে ফাইলিন (২০১৩), হুদহুদ (২০১৪), বুলবুল (২০১৯), আমফান এবং সবশেষে ইয়াস, সুন্দরবনের উপর বারবার হানা দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। সুন্দরবনে ভৌগোলিকভাবে ভাগীরথী-হুগলি এবং তার অসংখ্য শাখানদী সাগরে মেশে, ফলে সেখানকার মাটি ক্ষয়িষ্ণু প্রকৃতির। তবে সুন্দরবনের ত্রাতা হলো ম্যানগ্ৰোভ, কিন্তু বালি মাফিয়া এবং প্রোমোটারের আধিক্যের কারণে সেটির উপরও কোপ পড়ছে। প্রাকৃতিক রেচনতন্ত্র হিসেবে পরিচিত পূর্ব কলকাতার জলাভূমি অঞ্চল সুন্দরবনেরই এক্সটেনশন। সমস্ত কোলকাতার বর্জ্য এই অঞ্চলেই ফেলা হয়। ফলে এখানকার উর্বর মাটিতে শাক-সব্জির ফলন যথেষ্ট হয়, কিন্তু এই অঞ্চল বর্তমা

কি হচ্ছে লাক্ষাদ্বীপে?

Image
রূপক গায়েন লাক্ষাদ্বীপ হল আরব সাগরের উপর অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জ এবং একই সাথে ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তবে  #SaveLakshadweep  বলে একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। লাক্ষাদ্বীপের মানুষদের স্থানীয় প্রশাসনের উপর ক্ষোভের থেকেই এ ধরনের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। গত বছরের প্যান্ডেমিকের মধ্যেও সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কার্যত শূন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মনীতি উঠিয়ে দেওয়া হয় ডিসেম্বর মাস থেকে, ফলে এই বছর ওই দ্বীপপুঞ্জের কোভিড আক্রান্তের হার প্রায় ৬৮%। এর পিছনে রয়েছে দ্বীপের বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  প্রফুল্ল প্যাটেল। লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসনিক ব্যবস্থার চিত্র যদি আমরা দেখি তাহলে লক্ষ্য করা যায় যে লাক্ষাদ্বীপে  পঞ্চায়েত রয়েছে, কেরালা হাই কোর্টই এখানকার উচ্চ ন্যায়ালয় (বিচার পেতে সমুদ্র পার হতে হয়!), একজন সাংসদও (বর্তমানে এনসিপি থেকে বিজয়ী) সেখান থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়  নির্বাচিত তবে সমগ্র প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রধান হলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, যিনি রাষ্ট্রপতি দ্বারা মনোনীত,  কেন্দ্রীয় সরকারের স্নেহভাজন এবং তাদের

Fact Finding Report: ইস্ট ওয়েস্ট করিডোর প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আন্দোলন

Image
প্রেক্ষাপটঃ  "ইস্ট ওয়েস্ট করিডোর প্রকল্পের অধীন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার জমিদাতাদের প্রতি প্রবঞ্চনার পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে। ২০০৪ সালে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া (এনএইচএআই)-র এ রাজ্যে ইস্ট ওয়েস্ট করিডোর তৈরীর জন্য আলিপুরদুয়ারের সল সলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১.৬৫ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ফলে আলিপুরদুয়ারের ২ নং ব্লকের প্রকল্প সংলগ্ন ২৫০জন ব্যবসায়ী এবং ২নং ব্লকের চেনপাড়া, শোভাগঞ্জ, চাপড়ের পাড়, ভেলুক ডাবরি এবং সলসলাবাড়ি, এই পাঁচটি মৌজার প্রায় ৪০০জন কৃষক পরিবারের ক্ষেতি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। নিজেদের জমি হারানোর শঙ্কা থেকেই ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে 'আলিপুরদুয়ার ২ নং ব্লক ব্যবসায়ী সংগ্ৰাম কমিটি' গঠন করে আন্দোলনে সামিল হন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ' আলিপুরদুয়ার ২ নং ব্লক কৃষি বাস্তু সংগ্ৰাম কমিটি' নামে একটি সংগঠন তৈরী করে দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে আন্দোলনে রয়েছেন। সরকার কর্তৃক সার্বিক মূল্যায়ণের (সোশ্যাল অ্যাসেসমেন্ট) মাধ্যমে জমির দাম নির্

রাজ্যপালের পদটি সিলেক্টেড নয়, ইলেক্টেড হোক, নইলে তুলে দেওয়া হোক !!!

Image
অনন্যা দেব    রাজভবন-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মিতালী  রাজ্যপালের পদ তুলে দেওয়া প্রয়োজন কারণ এই ঔপনিবেশিক পদটি কেন্দ্র সরকারের দ্বারা বারংবার অপব্যবহৃত হয়েছে এবং হচ্ছে। কংগ্রেস থেকে অধুনা বিজেপি, দুই দলের দ্বারাই তা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল যে সম্পূর্ণরূপে বিজেপির একজন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে তা স্পষ্ট। রাজ্যপাল পদটি যদি বজায় রাখতেই হয় তাহলে তার অধিকার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক এবং রাষ্ট্রপতির মতন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যপালকেও নির্বাচিত করানো হোক। নইলে কেন্দ্রের সিলেক্টেড প্রতিনিধি কেন্দ্রের পুতুল হয়েই কাজ করবে।  রাজ্য সরকারগুলির ওপর রাজ্যপালের যে আক্রমণ তা মোটেও কাম্য নয়। রাজ্যপাল সাধারণত কেন্দ্রের প্রতিনিধি হয়ে কেন্দ্রের কথা মতন  আঞ্চলিক  নেতা-নেত্রীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করে। এর প্রধান শিকড় কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সংবিধানে, যেখানে রাজ্যপালের কাজ কী কী, তা নিয়ে বিভিন্ন ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়ে রয়েছে বরাবরই। এই ধোঁয়াশাগুলিকে কাজে লাগিয়েই রাজ্যপালরা নিজেদের পদের অপব্যবহার করে চলেছে। প্রধান কথা, এটি কোন নির্বাচিত পদ

প্যালেস্টাইনকে আক্রমণ করার এবারের অজুহাত কি?

Image
রূপক গায়েন   সময়ের যে দুরুহ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমি এই লেখাটা লিখছি তখন আমার দেশ, মানে ভারতে, এক হাহাকার পরিস্থিতি। মানুষের হাতে কাজ নেই, পেটে ভাত নেই, দোকানে ওষুধ নেই, হসপিটালে বেড নেই, সিলিন্ডারে অক্সিজেন নেই। ঢাল বর্ম ছাড়াই করোনা নামক এক মারণ ভাইরাসের আগ্ৰাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছি। তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ প্যালেস্টাইনও ইজরায়েল নামে এক সাম্রাজ্যবাদী ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে অবতীর্ণ। করোনার মতো এই ভাইরাসটিও তার মিউটেশন ঘটিয়ে নতুন স্ট্রেন নিয়ে হাজির হয়েছে।  ইতিহাসের পাতা একটু ওল্টালে দেখা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইনকে ব্রিটেন অধিকার করে এবং বেলফোর্ট ডিক্ল্যারেশন মোতাবেক ইহুদিদের প্যালেস্টাইনে নিজেদের ধর্মরাষ্ট্র তৈরির অধিকার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষকালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত পাকিস্তান ভাগ করা ব্রিটেন, একই ছকে প্যালেস্টাইনকে ইহুদি প্রধান ইজরায়েল (অখন্ড দেশের ৫৫%) এবং মুসলিম প্রধান প্যালেস্টাইন (অখন্ড দেশের ৪৬%) -এইভাবে ভাগ করে চিরবিবদমান এক সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করে ভেগে পড়ে।  কিন্তু মার্কিন

Polemics on 'Fractured Freedom': C Sekhar responds to Kobad Ghandy's views

Image
Response to Kobad Ghandy  C Sekhar Communist Activist I welcome and congratulate Kobad Ghandy for posing the central questions being faced by the communist movement now, as they provoke us to join hands with him to find out a path forward by nurturing a collective vision. I could not read his book, Fractured Freedom. But I have gone through his interviews, responses from K N Ramachandran and Manish Azad and his replies to them, and his replies to the questions from W. Bengal activists. I am an activist working in a communist organisation. Central Issues : 1. What are the reasons for the setbacks in world wide revolutions / socialism? 2. Reasons for stagnation and retrogression in the Indian communist movement. Let us discuss these as a layman's observation of the past history of the growth of revolution and the later strengthening of organised counter revolution. 1. The first round of the working class revolution faced a setback when laissez-faire capitalism got transformed to a mo

Polemics on an Interview with 'The Hindu': Kobad Ghandy Responds to KN Ramachandran's Critique

Image
K. N. Ramachandran (KNR) is the General Secretary of Communist Party of India (Marxist-Leninist) Red Star. Recently, KNR wrote a critique of Marxist ideologue Kobad Ghandy's interview with 'The Hindu'.   Link to KNR's article:   http://www.cpiml.in/cms/articles-news-statements-2/articles/item/2635-a-respose-to-kobad-ghandy-s-interview-in-the-hindu-magazine-k-n-ramachandran Kobad Ghandy's response to KN Ramachandran's criticism Reply to K.N. Ramchandran (KNR) I am not able to understand as to what KNR sought to achieve from this critique. At times he seems he was trying to put the gun on my shoulder to target others; at others it seems he was targeting me personally to agree to his mode of thought or else banding me a a Menshevik, Narodnik, and many other names.  Besides, it is rather superficial that he writes such a lengthy critique without so much as reading the book, merely basing on an interview in the Hindu. Can such a short interview reflect the entire vie