Posts

Showing posts from December, 2020

'এরা যত বেশি জানে, তত কম মানে': অমিত শাহ-র আগমনের জন্য নজরবন্দী করে রাখা হল বিশ্বভারতীর দুই বাম ছাত্র নেতাকে

Image
সায়ন নন্দী ফ্যাসিবাদের আক্রমনের অক্ষের মধ্যে চিরকালই থেকেছে শিক্ষাস্থল। সেই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী অমিত শাহের সফরে বোলপুর শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক ভূমিও বাদ গেল না। রবিবার অমিত শাহের আগমনের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অমিত শাহের প্রিয় পাত্র তথা গুন্ডা ও পুলিশ দিয়ে ছাত্র পেটানো উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্ত্তীও তাই গুরুদক্ষিনা দিলেন শান্তিনিকেতনের সমস্ত ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি কিনা আজীবন ফ্যাসিবাদী চিন্তাধারার প্রতিবাদ করে গেছেন, সেই তাঁরই শিক্ষাভূমিতে এখন গেরুয়াকরণ চলছে।  ক্যাম্পাসে পুলিশের নজরবন্দী ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ ফাল্গুনী পান সোমনাথ সৌ  অমিত শাহের আগমনের প্রেক্ষিতে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ঘন্টাতলা ভেঙে ফেলা হয় গৃহমন্ত্রীর নিরাপত্তার অজুহাতে। সিএএ ও কাশ্মীরে গণতন্ত্রের মৃত্যর কান্ডারী অমিত শাহ-র আগমনের চিত্রপটে 'বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রী ঐক্য' অমিত শাহের আসার আগেরদিন একটি মিছিল, প্রতীকি বিক্ষোভ এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করে ক্যাম্পাস চত্বরে। এর পরই ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ-কে শনিবার থেকেই পুলিশি পাহাড়ার মাধ্যমে নজরবন্দী করে রাখা হয়

বাংলাদেশের বাগেরহাটে আটক ১৭ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীঃ নিরুত্তাপ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার

Image
রিপোর্টঃ সায়ন নন্দী স্রোতের হাওয়াতে গা ভাসিয়ে জোড়া ফুলের পাপড়ি যখন ধীরে ধীরে শতদলের পাঁকে গিয়ে পড়ছে, নির্বাচনের দামামা যখন বাজতে শুরু করে দিয়েছে, তখন খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষদের বিপন্ন জীবন নিয়ে দুই ফুলই নিরুত্তাপ। ঘটনাটি ভারত - বাংলাদেশ জল সীমান্তে। ডিসেম্বরের ২ তারিখ থেকে বাংলাদেশের জলপুলিশ ১৭ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে বাগেরহাট জেলে বন্দী করে রেখেছে। তাদের ট্রলার এম. ভি. মা শিবানি গত ২৯ শে নভেম্বর সকাল ১০ টা নাগাদ কাকদ্বীপের ফিসিং হারবার থেকে সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। পরের দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে সেটার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব দিকে স্রোত থাকায়, যান্ত্রিক পদ্ধতির ক্ষমতার বাইরে গিয়ে তাদের ট্রলারও পূর্বদিকে বইতে শুরু করে। ফলে বাংলাদেশের জলপুলিশ মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে। মৎস্যজীবীদের পরিবার এই খবর পায় বাংলাদেশের মাংলা থানা থেকে। রাজ্য প্রশাসন এবং কেন্দ্রর থেকে কোনো খবর তাদের কাছে আসেনি। সরকারের এহেন তাচ্ছিল্য ভরা ব্যবহারে সীমান্তবর্তী লোকজন পরিচিত । উন্নয়নের জোয়ার এখনো অব্দি সেসব জায়গায় পৌছায়নি। ১৭ জন বন্দীর মধ্যে ৩ জনের স্ত্রী প্রসূতি। মৎস্যজীবীদের পরিবার জানায় তারা প্রশাসন, পঞ্চায়েত

সল্টলেক-নিউ টাউন-এর বস্তিবাসী মানুষদের নাগরিক অধিকারের দাবীতে বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটির মিছিল ও ডেপুটেশান

Image
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সল্টলেক-নিউ টাউন-মহিষবাথানের বস্তিবাসী মানুষদের নাগরিক অধিকারের দাবীতে আজ সল্টলেকের ডি ডি ব্লকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে বিধাননগর মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচী নেয় বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ।  সল্টলেক-নিউ টাউন-মহিষবাথান এলাকার গৃহপরিচারিকা, হকার, অটো-রিক্সা চালক প্রভৃতি প্রান্তিক দৈনন্দিন জীবনযুদ্ধের মানুষরা জনপরিষেবা প্রদান করেও পুলিশ ও স্থানীয় শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের কাছে লাঞ্ছিত ও অপমানিত। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, পায়খানা তো দুরস্ত, থাকার জায়গাটাও প্রতিদিন উচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনার অন্তর্গত। ঝুপড়ী এলাকার অবস্থা আরও শোচনীয়। তৃণমূল নিজের ভোট নিশ্চিত করতে এই প্রান্তিক মানুষগুলোকে যে ভোটার কার্ড প্রদান করেছে তাতে ঝুপড়ীর বদলে ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। এর ফলে একদিকে তাদের উচ্ছেদ যতটাই সহজ, ততটাই এই মানুষগুলোর জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিজেপির এনআরসি-ক্যা-এর বলি হওয়ার সম্ভাবনা। এখান থেকেই বোঝা যায় তৃণমূলের 'ক্যা-ক্যা-ছি-ছি' আসলে যে একটা ভাঁওতা।   বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটি তাদের প্রচারপত্রে &

অশোকনগরে ONGC-র জমি অধিগ্রহণের প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণের দাবীতে আন্দোলনরত কৃষক কল্যাণ সমিতি

Image
রিপোর্টঃ রূপক গায়েন পত্রিকার তরফে তথ্য সংগ্রহেঃ কিথ রোদ্দুর পত্রিকাকে তথ্য সংগ্রহে সাহায্যেঃ অনির্বাণ দাস, যশোহর রোড গাছ কাটা বিরোধী আন্দোলনের সাথী ভিডিও এডিটঃ প্রশান্ত হালদার বেশ কয়েকদিন যাবৎ উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরের নাম খবরের শিরোনামে; ওখানে ওএনজিসি-র খনিজ সম্পদ (গ্যাস ও তেল) উত্তোলন এবং সেটিকে ভিত্তি করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভালো, অশোকনগর মূলত একটি উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন এলাকা। জীবিকার টানে তারা ঊর্বর জমিতে খেশারী, পালংশাক, মটর, ভেন্ডি, ধনেপাতা, সরষে ইত্যাদি চাষ করে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু মানুষেরা হাবড়া অঞ্চলে এলে সরকার থাকার জন্য জমির পাট্টা দেয় এবং পরবর্তীতে পরিবার পিছু ১-২ বিঘা জমি চাষের জন্য ‘অনুমতি দখল’-এর অধিকার দেয়। জমির স্ট্যাম্প ডিউটি সমেত সরকারী কাগজপত্র থাকলেও বিগত বন্যায় অনেকের তা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু অনেক কৃষকদের কাছে সেই সরকারী প্রদানপত্র এখনও রয়েছে।   ONGC-র ঘাঁটি বক্তব্যে তপন দাস, আন্দোলনকারী, কৃষক কল্যাণ সমিতি ২০১৮ সালে বিদ্যাধরী নদীর অববাহিকার নিকট মাটির নীচে গ্যাস ও তেল পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয়

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কালা দিবসে ভাঙড়ের পোলেরহাটে জমি কমিটির প্রতিবাদ সভা

Image
রূপক গায়েন; ৬ই ডিসেম্বর, ২০২০ঃ ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কালা দিবসে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি ও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দাবীতে ভাঙড়ের জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি পোলেরহাট বাজারে জনসভার আয়োজন করেছিল। সভাপতিত্ব করেন আব্দুল আজিজ মল্লিক।  জমি কমিটির নেতা মির্জা হাসান আমাদের জানান, 'বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কালা দিবসে ধিক্কার মিছিল এবং একটি সভার আয়োজন করেছিল জমি কমিটি। দিল্লীতে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে বক্তব্য রেখেছেন আমাদের নেতৃত্ব। একই সাথে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কথাও উঠে এসেছে তাঁদের বক্তব্যে। পোলেরহাটে এত বড় সভা এই প্রথম আমরা করতে পেড়েছি। আজকের সভার জনসমাগম দেখে বলাই যায় যে আমাদের সভা ১০০% সফল'।  সিপিআই(এম-এল)-রেড স্টারের পক্ষে এবং জমি কমিটির মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমঃ অলীক চক্রবর্তী এবং কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরী।  সিপিআই(এম-এল)-রেড স্টারের রাজ্য নেতা এবং ভাঙড় আন্দোলনের নেতা কমঃ শংকর দাসও বক্তব্য রাখেন । জমি কমিটির নেতৃত্বের মধ্যে মহাদেব মন্ডল, ওলি মহম্মদ মল্লিক, মোশারেফ হোসেন সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। জমি কমিটির কর্ম

নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে এপিডিআর-এর মিছিল

Image
রিপোর্টঃ রক্তিম ঘোষ  ও বহ্নিহোত্রী হাজরা দিল্লীতে চলমান কৃষক আন্দোলনে কেন্দ্র সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ও নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে ২রা ডিসেম্বর, ২০২০ মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর মিছিলের ডাক দেয়। মৌলালি থেকে বেলা ৩টেয় মিছিল শুরু হয় এবং ধর্মতলার কর্পোরেশন অফিসের সামনে যোগদানকারী আইএফটিইউ সহ  বিভিন্ন গণসংগঠনের তরফে সভার আয়োজন করা হয়। 

আমফান ক্ষতিপূরণ বন্টন দুর্নীতি মামলায় সিএজি-কে অডিটের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Image
নিজস্ব সংবাদদাতা গত ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ বণ্টনে রাজ্য সরকারের দুর্নীতি এবং বেনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি রাধাকৃষ্ণাণ এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিএজি বা কম্পন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-কে ফিনানশিয়াল ও পারফরম্যান্স অডিটের নির্দেশ দিয়েছেন। তিন মাসের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। মামলাকারীদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো নথি থাকলেও তা জমা করতে বলা হয়েছে। ইয়ং বেঙ্গলের উদ্যোগে বাদুরিয়ার গ্রামবাসীদের তরফে মহসীন হক এবং ভাঙরের গ্রামবাসীদের তরফে আব্দুল মালেক মোল্লার দায়ের করা দুটি জনস্বার্থ মামলার পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অরিন্দম জানা, সপ্তর্ষি ব্যানার্জি এবং সিদ্ধার্থ মণ্ডল। আইনজীবীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের প্রবণতা দেখা গেছে। 'এগিয়ে বাংলা' ওয়েবসাইটে  ত্রাণ প্রাপকের নাম ও কারণ শুধু দেওয়া থাকলেও একই ব্লকে একই নামে একাধিক লোক থাকতে পাড়ার কারণে আসলে কে ত্রাণ পেয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেক ভুল লোক ত্রাণ পেলেও অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছে। ভুল ল

নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে বউ বাজারের কাছে এমকেপি-র প্রতিবাদী অবস্থান

Image
রিপোর্টঃ কিথ রোদ্দুর ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ বউ বাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে বিজেপি সরকারের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে এবং দিল্লীতে চলমান কৃষকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মজদুর ক্রান্তি পরিষদের (এমকেপি) প্রতিবাদী অবস্থান চলে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সভার দায়িত্বে ছিলেন কমঃ বিনানন্দ ঝা, কমঃ উপেন্দর রাওয়াত এবং কমঃ সুকান্ত ঘোষ। সঞ্চালনা করেন কমঃ আভাষ মুন্সী। এমকেপি-র পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমঃ শুভেন্দু বিশ্বাস, কমঃ শুক্লা কুন্ডু, কমঃ কার্তিক চ্যাটার্জী এবং কমঃ সুকান্ত ঘোষ। সিপিআই(এম-এল)-রেড স্টারের পক্ষে কমঃ সুনীল পাল, সিপিআই(এম-এল)-নিউ ডেমোক্রাসির পক্ষে কমঃ আশিষ দাসগুপ্ত, পিডিএসএফ-এর পক্ষে সাথী মৃন্ময় সরকার, অনীক পত্রিকার পক্ষে সাথী প্রণব দে, সিপিআই(এম-এল)-লিবারেশান-এর পক্ষে কমঃ বাসুদেব বসু, 'নো এনআরসি মুভমেন্ট'-এর সাথী শুখেন্দু সরকার, নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মী নিশা বিশ্বাস ও তপতি চ‍্যাটার্জী, বিএসএনএল ঠিকা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের পক্ষে সাথী শিবনাথ নস্কর, বন্দী মুক্তি কমিটির পক্ষে সাথী ছোটন দাস সহ অন্যান্য পার্টি ও গণসংগঠনের কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এই প্রতিবাদী অবস্থানে যে