বাংলাদেশের বাগেরহাটে আটক ১৭ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীঃ নিরুত্তাপ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার

রিপোর্টঃ সায়ন নন্দী

স্রোতের হাওয়াতে গা ভাসিয়ে জোড়া ফুলের পাপড়ি যখন ধীরে ধীরে শতদলের পাঁকে গিয়ে পড়ছে, নির্বাচনের দামামা যখন বাজতে শুরু করে দিয়েছে, তখন খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষদের বিপন্ন জীবন নিয়ে দুই ফুলই নিরুত্তাপ। ঘটনাটি ভারত - বাংলাদেশ জল সীমান্তে। ডিসেম্বরের ২ তারিখ থেকে বাংলাদেশের জলপুলিশ ১৭ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে বাগেরহাট জেলে বন্দী করে রেখেছে। তাদের ট্রলার এম. ভি. মা শিবানি গত ২৯ শে নভেম্বর সকাল ১০ টা নাগাদ কাকদ্বীপের ফিসিং হারবার থেকে সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। পরের দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে সেটার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব দিকে স্রোত থাকায়, যান্ত্রিক পদ্ধতির ক্ষমতার বাইরে গিয়ে তাদের ট্রলারও পূর্বদিকে বইতে শুরু করে। ফলে বাংলাদেশের জলপুলিশ মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে। মৎস্যজীবীদের পরিবার এই খবর পায় বাংলাদেশের মাংলা থানা থেকে। রাজ্য প্রশাসন এবং কেন্দ্রর থেকে কোনো খবর তাদের কাছে আসেনি। সরকারের এহেন তাচ্ছিল্য ভরা ব্যবহারে সীমান্তবর্তী লোকজন পরিচিত । উন্নয়নের জোয়ার এখনো অব্দি সেসব জায়গায় পৌছায়নি। ১৭ জন বন্দীর মধ্যে ৩ জনের স্ত্রী প্রসূতি। মৎস্যজীবীদের পরিবার জানায় তারা প্রশাসন, পঞ্চায়েত, পুলিশ এবং ফিস্যারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের থেকে কোনোরকম সহযোগিতা পায়নি। ট্রলার মালিকের কাছ থেকে এককালীন দু' হাজার টাকা সাহায্য এসেছিল শুধুমাত্র। তারপর তারাও হাত তুলে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা সাহায্য করতে অক্ষম। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে নেমেছে। সচেতন জনগণও এই লড়াইয়ে শামিল হোন। 

চিত্র ঋণঃ  আলতাফ আহমেদ-এর ফেসবুক দেওয়াল থেকে

Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার