Posts

Showing posts from November, 2019

বাহাত্তর বছরে শিশু

Image
বিমলকান্তি দাশগুপ্ত  আজ শিশু দিবস ভারতে সাধারণতন্ত্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল আজ তাঁর জন্মদিন।   শিশুরা আজ মিলিত হবে বিদ্যালয়ে ক্লাবে নানা সামাজিক সংগঠনে গান নৃত্য অভিনয় কলাবিদ্যার যাবতীয় শাখার অভি প্রদর্শন চলবে সারাদিন আজ উৎসব শিশুদের।   তবে যে মা, শিশুকে বাবুদের বারান্দায় শুইয়ে রেখে ভেতরে ঢুকেছেন ঘরের কাজে সহায়তা করতে একটু পরেই বেরিয়ে আসবেন,     শিশুকে তুলে নিয়ে আর এক বাড়ি যাবেন করবেন একই দৃশ্যের পুনর্গঠন ।   যে শিশু ইটভাটায় কর্মরত মায়ের গা ঘেঁষে চলেছে সে নেই আজকের উৎসবে।   যে শিশু চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধোওয়ায় ব্যস্ত কাজ থামিয়ে দেখছে পথে গান গেয়ে চলা শিশুদের মিছিল। মালিকের ধমকে সম্বিত ফিরে কাজে মন লাগায়   সে নেই আজকের উৎসবে।   ফুটপাথে   চটের শয্যায় শিশুকে দেখিয়ে পাশে হাত পেতে ব’সে মা— কিছু বাড়তি অনুগ্রহের আশা তার ওই শিশু নেই আজকের মিছিলে।   উৎসব   মানে আনন্দ উল্লাস।   যে উৎসব সকলকে আনন্দ দিতে পারে না সে উৎসব সর্বজনীন হয় না।

টালা ব্রিজ সংলগ্ন বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ১৮ই নভেম্বর কনভেনশন বাগবাজারে

Image
সংবাদ পরিবেশনেঃ সায়ন "নেই-এর রাজ্য" বলে যদি কোনো প্রতিযোগীতা শুরু করা হয় তাহলে হয়তো পশ্চিমবঙ্গের নাম তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন সত্যি পরিকল্পনা মাফিক কি কিছু হয়? নাকি সমগ্রটাই তুঘলকী সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে চলে? টালা ব্রিজে বিধি নিষেধের জেরে এখন সমগ্র কলকাতাবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। টালা ব্রিজের নীচে যে সমস্ত স্হায়ী ও অস্হায়ী গৃহগুলি ছিল সেগুলি নির্দ্ধিধায় ভাঙ্গা হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা পেলো না কোনো নিরাপদ আশ্রয়। ২৪শে সেপ্টেম্বর রাত ৯টার সময় স্হানীয় কাউন্সিলর তরুণ সাহা এসে হাজির হন এলাকাতে। তিনি সর্বসম্মুখে দাড়িয়ে ঘোষনা করেন টালা ব্রিজ সারানোর দরুন  সেখানকার মানুষরা যেন অন্যত্র চলে যান। তাঁদের ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে অনত্র যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ব্রিজের মেরামতি হয়ে গেলেই তাঁরা ফিরে আসতে পারবেন। এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করে যান তিনি। কিন্তু তুঘলকী সিদ্ধান্তের পরিচয় পাওয়া যায় ঠিক ২৪ঘন্টার অন্তরেই যখন ২৫শে সেপ্টেম্বর তিনি এলাকাতে এসে নির্দেশ দেন ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র সব বার করতে কারণ মানিকতলা সাহিত্য প

ভোগের প্রসাদ

Image
বিমল কান্তি দাশ গুপ্ত প্রসাদ। দেবতাকে নিবেদন করা হয়েছে, এমন বস্তু। অথবা গুরুজনের ভুক্তাবশিষ্ট। এটি এখনকার দিনে সহজলভ্য নয়। কারণ স্বাস্থ্যসচেতন আধুনিক মানুষ ও-টিকে এড়িয়ে চলেন আজকাল। সে তুলনায় দেবপ্রসাদ সহজলভ্য। কেন না দেবতাকে তুষ্ট করবার প্রতিযোগিতা চলছে ইদানীং। শহর বা পাতিশহর অঞ্চলে যতায়াতের পথে প্রসাদ বিতরণের দৃশ্য নজরে পড়ে হামেশা। অনুগ্রহপ্রার্থীর লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেই হল। দেবতার প্রসাদ জুটে যাবে । অনেক কষ্ট স্বীকার করে বহু সাধ্য সাধনার অন্তে দেবকৃপা লাভের যুগ শেষ হয়েছে। অতি আধুনিক গতির যুগে দেবতার কৃপার মাঝেও গতির সঞ্চার ঘটেছে। এই যে লাইনে দাঁড়ানো মানুষজন, এঁরা কিসের প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। সে কি দেবতার অনুগ্রহ নাকি নিখরচায় আহারের আগ্রহ। খাবারের আগ্রহ মানে ক্ষুধার চাহিদা, এটা তো সত্য। এমনই এক দৃশ্য দেখে আমার জীবনে স্মরণকালের প্রথম দিনটি দেখা দিল। আমি তখন নিতান্ত বালক। প্রসাদের গুরুত্ব বোঝবার বয়স হয়েছিল না। সেদিন ছিল পূর্ণিমা। চাঁদের কিরণ প্রথম বাধা পেল গ্রামের সব চেয়ে উঁচু গাছের মাথায়। তাকে এড়িয়ে পড়ল এসে গাছগাছালিতে ছাওয়া আমাদের বাড়ির টিনের চালে। তাকেও কোনো মতে পাশ কা

7th November, 1917: Through the eyes of newspapers

Image
The San Diego Union Tribune 7th November, 1917  RUSSIAN RADICALS OVERTHROW GOVERNMENT; KERENSKY FLEES WHEN ARREST IS ORDERED REVOLUTIONISTS BOMBARD, SEIZE WINTER PALACE IN PETROGRAD, IMPRISON CABINETS HEADS, CALL CONGRESS TO DISCUSS PEACE Extremists Headed by Lenine Depose Provisional Government; Cruisers and Fortresses Besiege and Capture Loyal Troops; Workmen’s and Soldiers’ Delegates Convene, Declare Themselves Supreme Authority, Order Abolition of Death Penalty, Arrest of All Who Oppose Them, Call for Peace; Navies in Black and Baltic Seas Pledge Support; Whereabouts of Premiere Unknown; Most of country Still Loyal, Says Slav Ambassador to America; Predicts Failure; Cossacks Back Kerensky. PETROGRAD again is in turmoil. The provisional government has been thrown out of power by the extreme radicals headed by Nickolai Lenine. Premiere Kerensky has fled the capital. Several of his ministers have been placed under arrest, and the winter palace, the seat of the gov