Posts

Showing posts from May, 2020

ভয়াবহ থাবা

Image
অনিন্দিতা রায় চৌধুরী দিনে দিনে কমে যাচ্ছে মানবিকতার স্বচ্ছ রঙ।      ভেসে উঠছে চোখের ক্যানভাসে অভিশপ্ত সমাজের ভয়াবহ জীবাণু ছবি।      যে কীটগুলো মিছিল করে ঢুকে পড়ছে মানবদেহের শিরায় উপশিরায়।      হঠাৎ গর্জে ওঠা রক্ত ফিনকি দিয়ে বেড়িয়ে আসছে প্রতিবাদের ভাষায়।      ভাঙতে হবে , জ্বালাতে হবে। ছিনিয়ে নিতে হবে মানব-হৃদপিন্ড      হিংস্রতার ব্যাখ্যায় পশু ও মানুষ সমকক্ষ। মুহূর্তে মানুষ থাবা বসায় অপরকে      প্রতাপশালীর থাবার শিকার আজ নুন আনতে পান্তা ফুরায় সম্প্রদায়।      ঝটিকা থাবায় রক্ত পিপাসু হাত বিষ নখে টেনে নেয় সমাজের                           ভালোবাসার রসকে, সমাজ তাই আজ এত                           ক্ষত - বিক্ষত - বিষাক্ত ।। (চিত্র সংগৃহীত ফেসবুক থেকে)                                                                              

"আরোগ্য সেতু" অ্যাপঃ কতটা সুরক্ষিত আমরা?

Image
রিপোর্টঃ সাত্যকি দত্ত করোনা সংক্রমণের সাঝে ভারতীয় স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার বেহাল চিত্রটি দিনে দিনে প্রকট হয়ে উঠছে।  কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত নামমাত্র ও পরিকল্পনা-বিহীন লকডাউনের তৃতীয় দফা চলা সত্ত্বেও দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। যখন ভারত মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও  টপকে গেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নানা নীতি অব্যাহত রয়েছে। একদিকে স্পেশাল ট্রেনে ডায়নামিক ফেয়ারের খুঁড়োর কল লাগিয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া নাগরিকদের থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যগুলির ওপরেই। এর সাথেই ট্রেনে উঠতে গেলে "আরোগ্য সেতু" নামক সরকারী অ্যাপটি ডাউনলোড ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যতামূলক করেছে। প্রায় ৫০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়েছে গোটা দেশে। আপাতত ৩০টি ট্রেনে ভিনরাজ্যে আটকে পরা মানুষজনকে ঘরে ফেরাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে রেল যাত্রীদের স্মার্টফোনে "আরোগ্য সেতু" অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। ঠিক এই জায়গাতেই লুকিয়ে আছে বিপদের সম্ভাবনা।  &qu

পুঁজির শোষণের ধারা যেভাবে খোলসা করেছিলেন মার্ক্স

Image
প্রথম প্রকাশঃ 'জবরদখল' পত্রিকা, বর্ষ ৫, সংখ্যা ১ (২০১৬); কার্ল মার্ক্সের ১৯৯ জন্মদিবস উপলক্ষ্যে। লেখকঃ বাসুদেব নাগ চৌধুরী বাসুদেব নাগ চৌধুরী পিপল'স ব্রিগেডের কনভেনর। গত বছর  ৫ই  মে কার্ল মার্কসের  ১৯৮  তম জন্মদিবসে  ‘ জবরদখল ’-এর  পক্ষ থেকে প্রকাশিত  ‘ কিছুটা প্রাক-ইতিহাস ---- বাকিটা  মার্ক্সবাদ’ পুস্তিকার  ভূমি কায়  আমরা বলেছিলাম  “… তার উপর  অবিরাম  আক্রমণ ই   যাকে  প্রতিষ্ঠা দিয়েছে চির বিজয়ী রূপে ” ---  তাই হল  ‘ মার্কসবাদ ’।  এখানে আমরা সংক্ষেপে তুলে ধরব  মার্ক্সের  অর্থনৈতিক মতবা দের  বিষয়বস্তুগুলোকে যার মাধ্যমে তিনি নগ্নভাবে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন  পুঁজির শোষণের চরিত্র  এবং তার ঐতিহাসিক গতিধারা কে।  আমাদের  সকলেরই  অভিজ্ঞতা  এই যে, আজকের দিনে মার্ক্সবাদী মহল থেকেই  যখন  ‘ একে ’  পুরনো  তত্ত্ব  হিসেবে তুলে ধরে মিউজিয়ামে পাঠানোর চেষ্টা চলছে ,  পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ বৈঠকখানাগুলি  থেকে সংকট জরাজীর্ণ  শাসকশ্রেণী তখন নতুন করে  ‘তাঁর’ চর্চা  শুরু করেছে ।   ‘ কমিউনিষ্ট  ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশের দেড়শো বছর পর   ১৯৯৮-তে যখন বিশ্ব পুঁজিবাদী  অর্থনীতি  শীর্ষে  অবস