Posts

Showing posts from September, 2020

এক নজরে কৃষি বিল...

Image
রিপোর্টঃ সায়ন  দেশের বেকারত্বকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চিন্তিত না হলেও, খেটে খাওয়া গরীব মানুষের উপর কিভাবে শোষণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা যায় সে সম্পর্কে তারা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এবং চিন্তিত। দেশের প্রতিটা মানুষ করোনার মরু ঝড়কে কাটিয়ে ওঠার যখন প্রবল চেষ্টা করছে, বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষেরা, সে সময়তেই তিনটি কৃষি বিল পাশ করিয়ে কর্পোরেটদের হাত শক্ত করছে মোদী সরকার। এই কৃষি বিলগুলিকে অর্থমন্ত্রী সীতারমন যতই কৃষকদের স্বার্থে গঠিত বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করুক, সারা দেশে কৃষকদের ব্যাপক আন্দোলন বুঝিয়ে দিচ্ছে যে মোদী সরকার মিথ্যাচার ছাড়া দেশের মানুষকে আর কিছুই দিচ্ছে না। রাজনৈতিক চাপানউতোর এবং কথা চালাচালির মধ্যেই হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন রাজ্যে এ বিলের প্রতিবাদে কৃষকরা রাস্তায় নেমেছ। করোনা সংক্রমনের শঙ্কা যে ক্ষুধার জ্বালা নিরাময়ের কাছে এভাবে পরাজিত হবে এবং মানুষ আন্দোলন এবং দাবী আদায়ের কারনে রাস্তায় নেমে আসবে সেটা হয়তো মোদী সরকার আন্দাজ করতে পারেনি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রধান দুটি অধ্যাদেশ যা বর্তমানে আইনে পরিবর্তিত হল: অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধন অনুযায়ী শস্য, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনির মত সমস

শরৎচন্দ্র

Image
বিমলকান্তি দাশগুপ্ত   কালিদাসী, সন্তান হারা এক মা। বারো-চোদ্দ বছরের ছেলে মারা গেলে তার আর কোনো সঙ্গী রইল না। পুরনো এক বাড়ির তিন তলায় এক খানা ঘরে তার সংসার। স্বামী তার সাধারণ উপার্জনের আশায় সারাদিন নানা কাজ করে থাকে। ঘরখানাতে স্বামী-স্ত্রী অন্য এক বৃদ্ধার মেয়ে জামাই পরিচয় নিয়ে বিনা ভাড়ায় থাকে। কালিদাসীর স্বামী তাকে নিয়ে নিজের বাড়িঘর পরিবার স্বজন ছেড়ে এই জীবন বেছে নিয়েছে। তার নিজের পিতৃকুল মাতৃকুল কোনো কুলেরই কিনারা করা দুঃসাধ্য। লাভও নেই।  শৈশব তার যেখানেই কাটুক, পাঠশালায় তার যাওয়া হয়েছিল বোঝা যায়। কারণ বাংলা পড়তে পারে কালিদাসী। অনেক অভ্যাসের ফলে তার পাঠের গতিও মন্দ নয়। দিনে এক দেড়শ পৃষ্ঠা পড়ে শেষ করবার ক্ষমতা অর্জন করেছে সে; আমি যখন দেখেছি তাকে।  কালিদাসী ঘরের বাইরে বের হত না। রাস্তায় তাকে দেখা যেত যখন সে সিনেমা দেখতে যেতো। তা-ও হেঁটে নয়। রিক্সায়, পর্দা ফেলে। এবং রাতের শো-তে।  এক সময় কালিদাসীর বইয়ের যোগানদার ছিলাম আমি। আমার সঙ্গে একটা স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে ছিল তার। কী বই আনবো জানতে চাইলে একটাই কথা প্রায়ই শুনতে হোতো, ওনার লেখা যে-কোনো বই। এই ‘ওনার লেখা’ কথার রহস্য আমার জানা হয়

মহামারীর মাঝে জোড় করে অবসর গ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা

Image
রিপোর্টঃ প্রিয়াংশু দে  ৯ই সেপ্টেম্বর Confederation of Central Government Employees and Workers-এর দ্বারা সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মস্থলে লাঞ্চ আওয়ারসে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিবাদের ডাক তোলা হয়। Department of Personnel and Training, Government of India-এর দ্বারা ২৮/৮/২০২০-এ প্রকাশিত OM no. 25013/03/2019-Estt A-iv-র মাধ্যমে Provisions of Rule 56(j) এবং 48(h) প্রয়োগের ভিত্তিতে ৩০ বছরের কর্মজীবন পূর্ণ হওয়া বা ৫০/৫৫ বছর বয়স লাভ করা সরকারি চাকুরীজীবীদের অবসর গ্রহণে বাধ্য করে কর্মচ্যুত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। করোনা মহামারির দরুণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সমস্ত বিধি-নিষেধ মেনে এই প্রতিবাদ করতে CCGEW-র সেক্রেটারি জেনেরাল আর.এন. পরাসর তার নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। পেনশান আইনের মৌলিক অধিকার 56(j) এবং Rule 48(h)-এর মূল উদ্দেশ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে দক্ষ প্রশাসন গড়ে তোলা এবং সরকারের বিভিন্ন কাজের দক্ষতা ও গতি বৃদ্ধি করা বলা হয়। এই উদ্দেশ্যগুলি রূপায়ণ জনগণের স্বার্থে অত্যাবশকীয় বলে মনে করা হয় এবং এই উদ্দেশ্য রূপায়নের জন্য প্রয়োজন বোধে জনগণের স