"আরোগ্য সেতু" অ্যাপঃ কতটা সুরক্ষিত আমরা?
রিপোর্টঃ সাত্যকি দত্ত
করোনা সংক্রমণের সাঝে ভারতীয় স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার বেহাল চিত্রটি দিনে দিনে প্রকট হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত নামমাত্র ও পরিকল্পনা-বিহীন লকডাউনের তৃতীয় দফা চলা সত্ত্বেও দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। যখন ভারত মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও টপকে গেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নানা নীতি অব্যাহত রয়েছে। একদিকে স্পেশাল ট্রেনে ডায়নামিক ফেয়ারের খুঁড়োর কল লাগিয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া নাগরিকদের থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যগুলির ওপরেই। এর সাথেই ট্রেনে উঠতে গেলে "আরোগ্য সেতু" নামক সরকারী অ্যাপটি ডাউনলোড ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যতামূলক করেছে। প্রায় ৫০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়েছে গোটা দেশে। আপাতত ৩০টি ট্রেনে ভিনরাজ্যে আটকে পরা মানুষজনকে ঘরে ফেরাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে রেল যাত্রীদের স্মার্টফোনে "আরোগ্য সেতু" অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
ঠিক এই জায়গাতেই লুকিয়ে আছে বিপদের সম্ভাবনা। "আরোগ্য সেতু" অ্যাপটি ব্যবহার আদৌ সুরক্ষিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রথম থেকেই, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার স্বভাবসিদ্ধ ঔদ্ধত্যে তা উড়িয়ে দিয়েছে। তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সময় সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের উভয়ের জন্যই "আরোগ্য সেতু" অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে সমস্ত কর্মী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন কি না, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অ্যাপটিতে লগ ইন করলেই প্রথমে ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বার সহ নানা তথ্য জানা হচ্ছে, তাঁর অবস্থান জানার জন্য লোকেশন ডেটা এবং ব্লুটুথ অন করে রাখা বাধ্যতামূলক। এই সমস্ত তথ্য রক্ষার জন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কখনোই উপযুক্ত নয়।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমান যুগে ব্যক্তিগত তথ্যও আজ খুব দামী একটি পণ্য বলেই পরিচিত। 'Data is the new oil' , কিন্তু সেই ব্যক্তিগত তথ্যের মূল্য সম্পর্কে দেশবাসী এখনো সচেতন নন। বহু ব্যয় করে বায়োমেট্রিক তথ্য নিয়ে তৈরী আধার কার্ডের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে "আরোগ্য সেতু"-র ক্ষেত্রেও।
অ্যাপটি চালু হওয়ার পরে প্রথমেই এর অনুকরণে কিছু অ্যাপ বের হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল সরকারি কর্মচারী ও সামরিক বাহিনীর কর্মচারীদের থেকে তথ্য চুরি করা। সেই বিষয়টি সমাধান হওয়ার আগেই এর বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্স নিবাসী রবার্ট ব্যাপটাইজ নামের এক জন এথিক্যাল হ্যাকার, যিনি এলিয়ট আলডারসন নামে টুইটারে উপস্থিত, জানান যে এই অ্যাপ ব্যবহারকারী ৯ কোটি ভারতীয়ের তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার মুখে। "আরোগ্য সেতু" অ্যাপের নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে এলিয়ট জানান যে এই অ্যাপের কোডে বেশ কিছু ভুল চোখে পড়েছে যা ব্যবহার করে তথ্য বের করে নেওয়া সম্ভব। তিনি এও জানান যে ব্যক্তিগতভাবে এই ভুল শুধরাতে তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত।
এর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ভুল স্বীকার করতে রাজি হয়নি। ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার (এনআইসি) কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জানায় যে তাদের "আরোগ্য সেতু" অ্যাপটি তৈরি হয়েছে লোকেশন ট্র্যাকের উপর ভিত্তি করেই। অ্যাপ ব্যবহারকারীর লোকেশন জেনে সেই তথ্য সুরক্ষিত সার্ভারে রাখা হয়, এই দাবি যে একেবারেই ভুল, তার প্রমাণ এলিয়ট দিয়েছেন টুইটারেই। এর সঙ্গে করোনা সংক্রমণের উপর নজরদারি চালানোর নামে নাগরিকদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে বিরোধী শিবির থেকে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। "আরোগ্য সেতু" অ্যাপের নামে একটি আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থার সূচনা হলো, এটি ব্যবহার করলে তথ্যের গোপনীয়তা বিপন্ন, এই মন্তব্যও করেন এলিয়ট। তিনি দাবি জানান "আরোগ্য সেতু"-র সোর্স কোড জনগণের সামনে তুলে ধরতে, যাতে এটি ইনস্টল করার আগে প্রত্যেকে সঠিক ভাবে জানতে পারেন যে তাঁর কি কি তথ্য কোথায় যাচ্ছে।
এর কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্গালোরের একজন তথ্য-প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছেন যে কয়েক ধাপে তিনি নিজেই অ্যাপটি হ্যাক করতে পেরেছেন। জয় নামক ওই যুবক জানান যে মাত্র চার ঘন্টার মধ্যেই তিনি নিজের কোনো তথ্য না দিয়েও অ্যাপটি ইন্সটল করেছেন, এবং তার পরেও অ্যাপটি তাঁকে রোগমুক্ত বলে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে এটির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে এত অভিযোগ উঠলেও কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। ঠিক যেভাবে অর্থনৈতিক প্যাকেজের কুমিরছানা দেখানো হচ্ছে, সেভাবেই এই বিষয়টি থেকেও নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।
ঠিক এই বিষয়টিই উঠে এসেছে এডওয়ার্ড স্নোডেনের একটি সাক্ষাৎকারে। সারা বিশ্বেই তথাকথিত শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি মহামারী প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে, এই ঘটনার সাথে সাথে মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিকদের চিহ্নিত করা ও তাঁদের ওপর নজরদারী নিয়ে নিজের চিন্তার কথা তুলে ধরেন স্নোডেন। নাগরিক স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার যে ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থার দ্বারাই বিপদে পড়তে চলেছে, এও তিনি জানান। তিনি বলেন যে, করোনার সময় শেষ হলেও, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সংগৃহিত তথ্যের অপব্যবহার করবে না বা অবৈধ নজরদারি জারি রাখবে না, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এগুলি ব্যবহৃত হতেই পারে রাজনৈতিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে, অথবা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য।
আজ থেকে কয়েক মাস, বা বছরের মধ্যে হয়তো করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, জীবন যাত্রাও স্বাভাবিক হবে। কিন্তু "আরোগ্য সেতু"-র মাধ্যমে নজরদারির যে নিদর্শন শুরু হল, আগামী দিনে তা আরো ভয়াবহ রূপ নিতেই পারে।
করোনা সংক্রমণের সাঝে ভারতীয় স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার বেহাল চিত্রটি দিনে দিনে প্রকট হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত নামমাত্র ও পরিকল্পনা-বিহীন লকডাউনের তৃতীয় দফা চলা সত্ত্বেও দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। যখন ভারত মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও টপকে গেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নানা নীতি অব্যাহত রয়েছে। একদিকে স্পেশাল ট্রেনে ডায়নামিক ফেয়ারের খুঁড়োর কল লাগিয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া নাগরিকদের থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যগুলির ওপরেই। এর সাথেই ট্রেনে উঠতে গেলে "আরোগ্য সেতু" নামক সরকারী অ্যাপটি ডাউনলোড ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যতামূলক করেছে। প্রায় ৫০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়েছে গোটা দেশে। আপাতত ৩০টি ট্রেনে ভিনরাজ্যে আটকে পরা মানুষজনকে ঘরে ফেরাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে রেল যাত্রীদের স্মার্টফোনে "আরোগ্য সেতু" অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
ঠিক এই জায়গাতেই লুকিয়ে আছে বিপদের সম্ভাবনা। "আরোগ্য সেতু" অ্যাপটি ব্যবহার আদৌ সুরক্ষিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রথম থেকেই, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার স্বভাবসিদ্ধ ঔদ্ধত্যে তা উড়িয়ে দিয়েছে। তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সময় সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের উভয়ের জন্যই "আরোগ্য সেতু" অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে সমস্ত কর্মী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন কি না, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অ্যাপটিতে লগ ইন করলেই প্রথমে ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বার সহ নানা তথ্য জানা হচ্ছে, তাঁর অবস্থান জানার জন্য লোকেশন ডেটা এবং ব্লুটুথ অন করে রাখা বাধ্যতামূলক। এই সমস্ত তথ্য রক্ষার জন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কখনোই উপযুক্ত নয়।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমান যুগে ব্যক্তিগত তথ্যও আজ খুব দামী একটি পণ্য বলেই পরিচিত। 'Data is the new oil' , কিন্তু সেই ব্যক্তিগত তথ্যের মূল্য সম্পর্কে দেশবাসী এখনো সচেতন নন। বহু ব্যয় করে বায়োমেট্রিক তথ্য নিয়ে তৈরী আধার কার্ডের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে "আরোগ্য সেতু"-র ক্ষেত্রেও।
অ্যাপটি চালু হওয়ার পরে প্রথমেই এর অনুকরণে কিছু অ্যাপ বের হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল সরকারি কর্মচারী ও সামরিক বাহিনীর কর্মচারীদের থেকে তথ্য চুরি করা। সেই বিষয়টি সমাধান হওয়ার আগেই এর বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্স নিবাসী রবার্ট ব্যাপটাইজ নামের এক জন এথিক্যাল হ্যাকার, যিনি এলিয়ট আলডারসন নামে টুইটারে উপস্থিত, জানান যে এই অ্যাপ ব্যবহারকারী ৯ কোটি ভারতীয়ের তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার মুখে। "আরোগ্য সেতু" অ্যাপের নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে এলিয়ট জানান যে এই অ্যাপের কোডে বেশ কিছু ভুল চোখে পড়েছে যা ব্যবহার করে তথ্য বের করে নেওয়া সম্ভব। তিনি এও জানান যে ব্যক্তিগতভাবে এই ভুল শুধরাতে তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত।
এর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ভুল স্বীকার করতে রাজি হয়নি। ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার (এনআইসি) কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জানায় যে তাদের "আরোগ্য সেতু" অ্যাপটি তৈরি হয়েছে লোকেশন ট্র্যাকের উপর ভিত্তি করেই। অ্যাপ ব্যবহারকারীর লোকেশন জেনে সেই তথ্য সুরক্ষিত সার্ভারে রাখা হয়, এই দাবি যে একেবারেই ভুল, তার প্রমাণ এলিয়ট দিয়েছেন টুইটারেই। এর সঙ্গে করোনা সংক্রমণের উপর নজরদারি চালানোর নামে নাগরিকদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে বিরোধী শিবির থেকে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। "আরোগ্য সেতু" অ্যাপের নামে একটি আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থার সূচনা হলো, এটি ব্যবহার করলে তথ্যের গোপনীয়তা বিপন্ন, এই মন্তব্যও করেন এলিয়ট। তিনি দাবি জানান "আরোগ্য সেতু"-র সোর্স কোড জনগণের সামনে তুলে ধরতে, যাতে এটি ইনস্টল করার আগে প্রত্যেকে সঠিক ভাবে জানতে পারেন যে তাঁর কি কি তথ্য কোথায় যাচ্ছে।
এর কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্গালোরের একজন তথ্য-প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছেন যে কয়েক ধাপে তিনি নিজেই অ্যাপটি হ্যাক করতে পেরেছেন। জয় নামক ওই যুবক জানান যে মাত্র চার ঘন্টার মধ্যেই তিনি নিজের কোনো তথ্য না দিয়েও অ্যাপটি ইন্সটল করেছেন, এবং তার পরেও অ্যাপটি তাঁকে রোগমুক্ত বলে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে এটির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে এত অভিযোগ উঠলেও কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। ঠিক যেভাবে অর্থনৈতিক প্যাকেজের কুমিরছানা দেখানো হচ্ছে, সেভাবেই এই বিষয়টি থেকেও নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।
ঠিক এই বিষয়টিই উঠে এসেছে এডওয়ার্ড স্নোডেনের একটি সাক্ষাৎকারে। সারা বিশ্বেই তথাকথিত শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি মহামারী প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে, এই ঘটনার সাথে সাথে মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিকদের চিহ্নিত করা ও তাঁদের ওপর নজরদারী নিয়ে নিজের চিন্তার কথা তুলে ধরেন স্নোডেন। নাগরিক স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার যে ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থার দ্বারাই বিপদে পড়তে চলেছে, এও তিনি জানান। তিনি বলেন যে, করোনার সময় শেষ হলেও, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সংগৃহিত তথ্যের অপব্যবহার করবে না বা অবৈধ নজরদারি জারি রাখবে না, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এগুলি ব্যবহৃত হতেই পারে রাজনৈতিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে, অথবা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য।
আজ থেকে কয়েক মাস, বা বছরের মধ্যে হয়তো করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, জীবন যাত্রাও স্বাভাবিক হবে। কিন্তু "আরোগ্য সেতু"-র মাধ্যমে নজরদারির যে নিদর্শন শুরু হল, আগামী দিনে তা আরো ভয়াবহ রূপ নিতেই পারে।
Comments
Post a Comment