সল্টলেক-নিউ টাউন-এর বস্তিবাসী মানুষদের নাগরিক অধিকারের দাবীতে বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটির মিছিল ও ডেপুটেশান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সল্টলেক-নিউ টাউন-মহিষবাথানের বস্তিবাসী মানুষদের নাগরিক অধিকারের দাবীতে আজ সল্টলেকের ডি ডি ব্লকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে বিধাননগর মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচী নেয় বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ।
সল্টলেক-নিউ টাউন-মহিষবাথান এলাকার গৃহপরিচারিকা, হকার, অটো-রিক্সা চালক প্রভৃতি প্রান্তিক দৈনন্দিন জীবনযুদ্ধের মানুষরা জনপরিষেবা প্রদান করেও পুলিশ ও স্থানীয় শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের কাছে লাঞ্ছিত ও অপমানিত। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, পায়খানা তো দুরস্ত, থাকার জায়গাটাও প্রতিদিন উচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনার অন্তর্গত। ঝুপড়ী এলাকার অবস্থা আরও শোচনীয়। তৃণমূল নিজের ভোট নিশ্চিত করতে এই প্রান্তিক মানুষগুলোকে যে ভোটার কার্ড প্রদান করেছে তাতে ঝুপড়ীর বদলে ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। এর ফলে একদিকে তাদের উচ্ছেদ যতটাই সহজ, ততটাই এই মানুষগুলোর জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিজেপির এনআরসি-ক্যা-এর বলি হওয়ার সম্ভাবনা। এখান থেকেই বোঝা যায় তৃণমূলের 'ক্যা-ক্যা-ছি-ছি' আসলে যে একটা ভাঁওতা।
বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটি তাদের প্রচারপত্রে 'সল্টলেকের মধ্যেই আরেক সল্টলেক'-এর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছে। তারা আরও বলেছে যে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কলকাতায় বস্তিবাসীদের সংখ্যা শহরের মোট জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগে এসে দাঁড়িয়েছে কারণ কৃষিভিত্তিক পেশার অবনতির কারণে কাজের আশায় শহরে আসা এই মানুষগুলোকে অন্ধকারে রেখে দিলে সস্তা শ্রমের অফুরন্ত উৎস বজায় রাখা যাবে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক চুক্তিতে 'সকলের জন্য বাসস্থান'-এর পক্ষে সই করে এলেও কেন্দ্র সরকার নিরুত্তাপ। তাই আন্দোলনকারীদের দাবী, এই প্রান্তিক মানুষদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের শ্রমের মর্যাদা দিতে হবে।
Comments
Post a Comment