নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে বউ বাজারের কাছে এমকেপি-র প্রতিবাদী অবস্থান
রিপোর্টঃ কিথ রোদ্দুর
১লা ডিসেম্বর, ২০২০ বউ বাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে বিজেপি সরকারের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে এবং দিল্লীতে চলমান কৃষকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মজদুর ক্রান্তি পরিষদের (এমকেপি) প্রতিবাদী অবস্থান চলে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সভার দায়িত্বে ছিলেন কমঃ বিনানন্দ ঝা, কমঃ উপেন্দর রাওয়াত এবং কমঃ সুকান্ত ঘোষ। সঞ্চালনা করেন কমঃ আভাষ মুন্সী। এমকেপি-র পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমঃ শুভেন্দু বিশ্বাস, কমঃ শুক্লা কুন্ডু, কমঃ কার্তিক চ্যাটার্জী এবং কমঃ সুকান্ত ঘোষ। সিপিআই(এম-এল)-রেড স্টারের পক্ষে কমঃ সুনীল পাল, সিপিআই(এম-এল)-নিউ ডেমোক্রাসির পক্ষে কমঃ আশিষ দাসগুপ্ত, পিডিএসএফ-এর পক্ষে সাথী মৃন্ময় সরকার, অনীক পত্রিকার পক্ষে সাথী প্রণব দে, সিপিআই(এম-এল)-লিবারেশান-এর পক্ষে কমঃ বাসুদেব বসু, 'নো এনআরসি মুভমেন্ট'-এর সাথী শুখেন্দু সরকার, নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মী নিশা বিশ্বাস ও তপতি চ্যাটার্জী, বিএসএনএল ঠিকা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের পক্ষে সাথী শিবনাথ নস্কর, বন্দী মুক্তি কমিটির পক্ষে সাথী ছোটন দাস সহ অন্যান্য পার্টি ও গণসংগঠনের কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
এই প্রতিবাদী অবস্থানে যে দাবীগুলি উঠে এসেছেঃ
১. একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থরক্ষাকারী নয়া কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
২. শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড বিল বাতিল করতে হবে।
৩. বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুঠ বন্ধ করতে হবে।
৪. আরএসএস-বিজেপির ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শ্রমজীবীরা ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তুলুন।
৫. পুঁজিপতিদের মুনাফার স্বার্থে নয়, শ্রমজীবীদের স্বার্থে উন্নয়ন চাই।
৬. তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরোধিতা করুন।
৭. এনআরসি-সিএএ-এনপিআর বাতিল করতে হবে।
এমকেপি-র শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন যে বিজেপিকে এ রাজ্যে মদত দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিএসএনএল-এর কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ার কথাও তিনি তুলে ধরেন। শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুক্লা কুন্ডু কথায় বিজেপি শাসনে নারী নির্যাতনের বাড়বাড়ন্ত এবং লকডাউনের সময়ে কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী অবস্থানের কথা উঠে আসে। রেড স্টারের সুনীল পাল দিল্লীর দিকে এগোতে থাকা কৃষকদের মিছিলকে হরিয়ানার সরকার কিভাবে রাস্তায় ব্যারিকেড করে ও পুলিশ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছে তা তুলে ধরেন। নিউ ডেমোক্রাসির আশিষ দাসগুপ্ত পাঞ্জাবের কৃষকদের সংগঠনগুলি কিভাবে দলিতদের জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে তা আলোচনা করেন এবং বামপন্থী দলগুলির বর্তমান পরিস্থিতিতে 'ঐক্য ও সংগ্রাম'-এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
Comments
Post a Comment