২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ নোটস্‌

 মঞ্জুশ্রী সামন্ত 

২০২১-এর ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগেই বিজেপি "বাংলা ভাষা আন্দোলন" দিবস-এর মত ঐক্যতার দিনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বিভেদকামী ও ভুল তথ্য প্রচার করতে শুরু করেছিল। সেই বিভেদের তথ্যগুলিকে খন্ডন করতেই এই আলোচনা।


ফ্যাসিস্টদের পক্ষ থেকে প্রথমেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বাংলা ভাষা আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন (রহমান-সালাম–বরকত–রফিক–জব্বর) এবং যে পত্রিকাগুলি ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল (ইত্তেফাক-ইনসান-ইনসাফ-জিন্দেগী-দৈনিক আজাদ-ইত্তেহাদ-নওবেলাল), তাঁদের এবং পত্রিকাগুলির নাম বাংলা ভাষায় নয় বরং আরবী ভাষায় কেন? এ প্রসঙ্গে বলি, বাংলা ভাষার মধ্যে প্রায় দশ হাজার আরবি-ফারসি শব্দ মিলেমিশে রয়েছে। কারও মতে, ৩০ শতাংশ শব্দ বাংলার আরবী ভাষা থেকে এসেছে। তথাকথিত হিন্দুরা যে ধরনের নাম ও শব্দ ব্যবহার করে থাকে, তার সিংহভাগই আর্য কিংবা সংস্কৃত শব্দ। সংস্কৃত 'বঙ্গ' শব্দের সাথে আরবী 'আলি' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'বঙ্গালী' শব্দটির উৎপত্তি। 'আলি' প্রত্যয় বলতে বোঝায়, জমির সীমানা। মুঘল শাসনকালে 'আলি' শব্দটির উচ্চারণ হয়ে দাঁড়ায় 'আল'। তা থেকেই 'বঙ্গাল' বা 'বাঙ্গালা' শব্দটির আবির্ভাব হয়েছে। তাছাড়াও বহু মতবাদ রয়েছে এ প্রসঙ্গে। নেগ্রিটো, প্রোটো অস্ট্রালয়েড, মোঙ্গলয়েড, আর্য ইত্যাদি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর শব্দাবলী বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষা থেকে আরবী ভাষা পৃথক করতে চাইলেও তা অসম্ভবই প্রায়। হিন্দুত্ববাদীর খুবই সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে একধর্মীয়গত দিক থেকে দেখলেই মনে হতে পারে যে একুশের ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত শহীদদের ও পত্রিকার নামের শব্দগুলি কেবলই আরবী শব্দ। উল্লেখ্য, বাংলাকে চিরকালই পাণ্ডববর্জিত দেশ বলা হয়। ভারতবর্ষে আর্য জাতি বহু কাল আগেই প্রবেশ করেছিল। কিন্তু বাংলায় প্রবেশ করা ঠিক ততটা সহজ ছিল না। বহু প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো আর্যদের। ফলে সে সময় বাংলার মূল নিবাসী মানুষ ছিলো কোল, ভীল, মুন্ডা, সাঁওতাল ইত্যাদি বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, যদিও এরাও মূলত অস্ট্রিক জাতি, এদের আগমন হয়েছিল নিগ্রোবটু ও প্রোটো অস্ট্রালয়েড'র পরে। তাই বিপুল সংখ্যায় অনার্যদের বসবাস ছিল এই বাংলায়।


হিন্দু মহাসভা'র নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ হাত মিলিয়ে বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত করে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিভক্ত বাংলাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৪৬ সালের ২০শে জুন, বাংলা ভাগের নির্বাচনে অবিভক্ত বাংলার তথাকথিত লোকসভা অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা বাংলা ভাগের বিপক্ষে ভোট দিলেও, দেখা গেল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা দেশভাগের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দিল্লীর সংবিধান গ্রহণের প্রশ্নে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের দাবীতে দিল্লীর সংবিধানের বিরুদ্ধে ভোট দেয় এবং ৩ জুন পরিকল্পনা বা মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা অনুযায়ী সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে দেশভাগ সম্ভব হয়। উভয় দিকেই ধর্মীয় অস্থিরতার সৃষ্টি করেছিল পুঁজিপতিরা। ঐক্যবদ্ধ ভারতবর্ষের বদলে শুধু একদিকে টাটা, বিড়লা ও অন্যান্য হিন্দু পুঁজিপতি এবং অন্যদিকে আদমজী ও ইস্পাহানি'র মত মুসলমান পুঁজিপতিদের নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে এলাকা ভাগাভাগির কারণে একটি দেশ'কে টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলবশত উভয়দিকেই কোটি কোটি মানুষ রাতারাতি উদবাস্তুতে পরিণত হল ধর্মীয় সংকীর্ণতার কারণে। তৎকালীন হিন্দু মহাসভার উত্তরসূরি হল বিজেপি। তাই এই স্বার্থান্বেষী দল থেকে অন্তত ধর্মরক্ষার বাণী শোনার প্রয়োজন বোধ করেনা এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

বিজেপি প্রচার করছে যে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বাংলার স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করেছিল কেবল কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা পেতে!!! ১৯৫২ সালের হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানে ধর্ম নির্বিশেষে বাংলা ভাষাভাষী নাগরিক সংখ্যা বেশি ছিল (প্রায় ৫৪ শতাংশ), উর্দুভাষী নাগরিকের তুলনায়। তাই বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন ছিল। যদিও সামগ্রিকভাবে পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক ব্যবহারিক ভাষা হিসাবে উর্দু ও বাংলা দুটি ভাষাকেই যদি সমানভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হত, তাহলে কোনো সমস্যাই ছিল না। কিন্তু শুধুমাত্র উর্দু ভাষাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হল ধর্ম নির্বিশেষে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ওপর। যে কারণে মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকেই রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে উর্দু ভাষার বিরোধিতা শুরু হল। 


বিজেপি বলছে ভাষা শহীদরা নাকি আন্দোলনের সাথে যুক্তই ছিল না। পুলিশ এলোপাথারী গুলি চালালে কিছু পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়... ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী, এই ভাষা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মিছিলে সামিল হয়েই সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর সহ বহু ছাত্র নিহত হয় পুলিশের গুলিতে। বরকত ও জব্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, সালাম পেশায় রিক্সাচালক ছিলেন, শফিউর হাইকোর্টের কর্মচারী ছিলেন। তাই সকলেই ছাত্র না হলেও, তাঁরা প্রত্যেকেই সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সরকারী ভাবে যে শহিদদের নামের তালিকা দেওয়া হয়, সেখানে পূর্ব পাকিস্তান সরকার সরাসরি অনেক আন্দোলনকারীকেই ভাষা আন্দোলনের শহীদ হিসাবে স্বীকৃতি দেননি, তাঁরা আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিল কি ছিল না তার ভিত্তিতে। তাই, নতুন করে এই বিতর্ক তুলে আনার কোনও অর্থই নেই। 


বর্তমানে বিজেপি বলছে যে, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত'র মতো তথাকথিত হিন্দু শহীদদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে! তাহলে তো বলা দরকার যে  নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু'র নামও সবার আড়ালে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে কাঁটাতারের উভয় দিক থেকেই স্বাধীনতার পরের ভারত সরকার ও ১৯৭১'র পরের বাংলাদেশের সরকার পুঁজিবাদী শোষণতন্ত্রকেই টিকিয়ে রেখেছে। ফলে উভয় সরকারেরই সামগ্রিক চরিত্র একই। উভয়ই বিপ্লবীদের অবদানকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। যে ভাষা আন্দোলনে ছাত্র শহীদদের নাম কলুষিত করতে চাইছে বিজেপি, সেই তাঁদেরই শহীদের মর্যাদার দাবীতে স্বাধীনতা সংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। সেই কারণে তাঁকেও অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল এবং খুন করা হয়েছিল। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছিলেন, বাংলাকে কখনোই শুধু একটি প্রাদেশিক ভাষার মর্যাদা দেওয়া উচিৎ হবে না, বরং রাষ্ট্র ভাষা হিসাবেই মর্যাদা দেওয়াই উচিৎ। আবার পূর্ব পাকিস্তানে মওলানা ভাসানী'র মতো রাজনীতিবিদরাও ছিলেন, যাঁরা পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে হিন্দুদের আসন সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন। অসমের বরাক উপত্যকায় ১৯৬০ সালে, তৎকালীন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা অসমীয়াকে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কিন্তু জনসংখ্যার একটা বড় অংশই ছিল বাংলাভাষী। ১৯৬১ সালের ১৮ই মে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনজন আন্দোলনকারী নলিনীকান্ত দাস, রথীন্দ্রনাথ সেন ও বিধুভূষণ চৌধুরী'কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯শে মে এগারো জন প্রতিবাদীর দেহে গুলি লেগেছিল। তাঁরা হলেন কানাইলাল নিয়োগী, চন্ডীচরণ সূত্রধর, হিতেশ বিশ্বাস, সত্যেন্দ্রকুমার দেব, কুমুদরন্জ্ঞন দাস, সুনীল সরকার, তরণী দেবনাথ, শচীন্দ্র চন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র সূত্রধর, সুকোমল পুরকায়স্থ এবং কমলা ভট্টাচার্য। সেদিনই ন'জন শহীদ হয়েছিলেন ও দুজন পরে মারা যান। আসাম প্রাদেশিক পুলিশ এগারো জনকে হত্যা করেছিল। এরপর অসম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। বিজেপি এই তথাকথিত হিন্দু-বাঙালি এগারো জন শহীদদের কথা কিন্তু একবারও তুলে ধরছেনা। কারণ, এই অসমেই এনআরসি এনে ধর্ম নির্বিশেষে বাঙালীদের তাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। যারা এনআরসি এনে হিন্দু-বাঙালিদেরই তাড়াচ্ছে, তারাই আবার হিন্দু-বাঙালি সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলতে এলে, তাদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনা এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ। 

আরও কিছু কথা... 

এই ২১শে ফেব্রুয়ারীর দুটি গুণাবলী রয়েছে। ২১শে ফেব্রুয়ারী দিয়েই ত্রিপুরা, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গকে এক ঐক্যের সূত্রে বেঁধে রাখা সম্ভব। যদি এই ঐক্য আমরা দীর্ঘদিন বজায় রাখতে পারি, তাহলেই বাংলা ভাষা'র অগ্রসর ও উন্নতি সম্ভব হবে। আবার, এই ২১শে ফেব্রুয়ারীর আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসের মধ্যে দিয়েই পশ্চিমবঙ্গের গুরুমুখী, বরো ও অন্যান্য আদিবাসী ভাষাকে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার দাবী উঠে এসেছে, ত্রিপুরার কখবরক ভাষা সংরক্ষণের প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ইতিমধ্যে বিজেপি চালিত ত্রিপুরা সরকার বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলির ৮২০টিকে প্রাইভেট ইংরেজি বা হিন্দী মাধ্যমে রূপান্তরিত করেছে। আর চেষ্টা করা হচ্ছে কখবরক ভাষার লিপিতে বাংলার বদলে হিন্দি বা ইংরেজি চাপানোর।

বাংলাদেশের মেহেদী হাসান খান ২০০৩ সালে ভাষা হোক উন্মুক্ত স্লোগান দিয়ে 'অভ্র' কিবোর্ড তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে রিফাত উন-নবী, তানবিন ইসলাম, সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, ওমর ওসমান, সারিম খান এবং নিপুন হক অভ্র নিয়ে কাজ শুরু করেন। যার ফলে খুব সহজেই আমরা বাংলা হরফ কম্পিউটার বা মোবাইলে লিখতে পারি আজ। তাছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে ২৭শে জানুয়ারী ২০০৪ সালে, যেখান থেকেই বাংলা উইকিপিডিয়া'র যাত্রা শুরু হয়। সে কারণে প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বইমেলায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি পাঠিয়ে ভারতের মানুষকে নিয়োগ করে সমগ্র উইকিপিডিয়া বাংলায় অনুবাদ করার কাজে। 


যে কেন্দ্র সরকার একটি নির্দিষ্ট ভাষা'কে মানুষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক ভাষার স্বীকৃতিকে চুরমার করতে চাইছে, তাদের মুখে ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গে কোনো মতামত শোনার প্রয়োজন নেই বাঙালির। প্রতি বছর ১৪ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্র সরকারের কার্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যে হিন্দি দিবস উদযাপন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি তা রেল দপ্তর থেকে ব্যাঙ্ক সর্বত্র, গেলে একটি উদ্ধৃতি দেখা যায় "হিন্দি কা জ্ঞান নহী জিসকো,যো জন অজ্ঞানী হ্যায়। হিন্দি হী রাষ্ট্রভাষা হামারা, ইয়াহী হিন্দ কী রাণী হ্যায়"। এ কথার অর্থ হল "হিন্দি জানে না যে সে মূর্খ। হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রভাষা, হিন্দি হল হিন্দুস্তানের রাণী।" সত্যিই কি তাই? হিন্দি ভাষা না জানলে আপনি আমি মূর্খ? 

উভয় দেশের সরকারই পুঁজিতান্ত্রিক শোষণের পথে এগিয়ে চলেছে এবং তারা চরিত্রগত ভাবেও এক। বাংলাদেশের জামাতে ইসলামি এবং ভারতবর্ষের ভারতীয় জনতা পার্টির মতো রাজনৈতিক দলের শিকড় দুটি দেশ থেকেই উপড়ে ফেলতে হবে।

শেষে এটাই বলি, ২১ ফেব্রুয়ারী যে ঐক্যের কথা বলে সেই ঐক্য'কে আরও শক্ত করে তুলে ধরার সময় এসেছে। বর্তমান সময়ে হিন্দুত্ববাদী শাসক শ্রেণির উগ্র স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলা ভাষা তীব্র সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক বাঙালির একটাই পরিচয় হোক, 'একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান'।

Comments

Popular posts from this blog

বর্তমান সময়ে বাম ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা

Polemics on 'Fractured Freedom': C Sekhar responds to Kobad Ghandy's views

আম্বেদকরের চোখে - কেন ব্রাহ্মণ্যবাদ শাকাহারী পথ গ্রহণ করল? গো ভক্ষণ নিষিদ্ধকরণের সাথে অস্পৃশ্যতার কি সম্পর্ক রয়েছে?