কামারহাটির পুরকর্মীদের বেতন চুরি তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের

রিপোর্টঃ সায়ন  

অর্থনীতি যখন সমাজের নীচু তলার মানুষগুলোকে কড়াল চক্ষু দেখাচ্ছে, সে সময় তৃণমূল সরকারের খাম খেয়ালি সিদ্ধান্ত  তুঘলকী জমানাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সাপ্তাহিক যে সমস্ত কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় কীটনাশক বিতড়ন করে তাদের দৈনিক বেতন ২৫০ টাকা। সেখানে তাদের প্রাপ্তি ঘটে মাত্র ২২৫ টাকা করে। এতে দৈনিক ২৫ টাকার ঘাটতিতে তাদের মাসিক বেতনে ঘাটতি হয় ৭৫০ টাকা।

সমগ্র ঘটনাটি সম্পর্কে কামারহাটি বিধানসভার কার্যকারী কমিটি কতটা অবগত সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাদের বেতনের ২৫ টাকাই বা কোন "উন্নয়ন" স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং কিসের অনুপ্রেরনায়, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন। সংক্রমণ এবং অর্থনীতির এহেন বেহাল দশাতে খেটে খাওয়া গরিব মানুষের ওপর এহেন অনাচার এবং শোষণ চূড়ান্ত নিন্দাযোগ্য ।

যদিও কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাজ করা খেটে খাওয়া মানুষের ওপর চলা শোষণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। আর্বজনা সংগ্রহকারী যে সমস্ত কর্মীরা কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাজ করে থাকে তাদের বেতন নিয়ে কিছুদিন আগেও একটি সম্যসার সৃষ্টি হয় এবং তাদের বিক্ষোভের মুখে কামারহাটী বিধানসভার পদস্হকারী মানুষদের।চাপের মুখে সে সময় সুর নরম করলেও কিছু দিন যেতেই আবার খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষগুলির সাথে নোংরা খেলাতে মেতে উঠেছে তারা। 

Comments

Popular posts from this blog

বর্তমান সময়ে বাম ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা

আম্বেদকরের চোখে - কেন ব্রাহ্মণ্যবাদ শাকাহারী পথ গ্রহণ করল? গো ভক্ষণ নিষিদ্ধকরণের সাথে অস্পৃশ্যতার কি সম্পর্ক রয়েছে?

Polemics on 'Fractured Freedom': C Sekhar responds to Kobad Ghandy's views