Posts

Showing posts from January, 2024

ভারতীয় গণতন্ত্র ও বামপন্থী অভিজ্ঞতা

Image
[পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো সদস্য জ্যোতি বসু ১৮ই মে, ২০০২ সালে নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সপ্তম জিভি মাভলঙ্কার স্মারক বক্তৃতার বক্তা হিসেবে নিম্নোক্ত বক্তব্য পেশ করেন।] লোকসভার প্রথম স্পিকার শ্রী মাভলঙ্কারের নামে একটি বক্তৃতা সিরিজে 'ভারতীয় গণতন্ত্র ও বাম অভিজ্ঞতা' বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি, যার অগ্রগামী নেতৃত্ব অনেকগুলি স্বাস্থ্যকর সম্মেলন অনুষ্ঠিত করতে সফল হয়েছিল, যা ভারতকে সংসদীয় গণতন্ত্রের দিকে তার গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করেছিল। সেই প্রারম্ভিক দিনগুলিতে আমাদের তখনও ভঙ্গুর সংসদীয় গণতন্ত্র গঠনে তাঁর অবদানকে আমি আজ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।  আমি বলতে পারি না যে আমি সমগ্র বামেদের পক্ষে কথা বলছি কারণ স্বাধীনতার পর ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতার বিষয়ে বাম অংশীদারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিন্তু আমার মতামত ১৯৬৪ সাল থেকে পার্টি বিভক্ত হওয়ার পর ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি এবং পরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। স্বাধীনতার আগে বাংলায় মুসলিম লীগ শাসনা

Netaji and Leftism

Image
[Below is an excerpt from a thesis written by Netaji Subhas Chandra Bose in Kabul, 1941 during his secret stay on the way to Europe.] A Tribute to Netaji on the occasion of his 127th birth anniversary; Born: 23rd January, 1897. The evolution of a Movement is analogue to that of a tree. It grows from within and at every stage it throws out new branches, so that there may be ever increase progress. When no fresh branches sprout forth, the movement may be presumed to be in a process of decay or death.  While every Movement draws its sustenance from the soil from which its springs, its also assimilates nourishment coming from outside – from the atmosphere, environment, etc. Internal sustenance and external nourishment are both necessary for a living Movement.  When the main stream of a Movement begins to stagnate, but there is still vitality in the movement as a whole – a left Wing invariably appears. The main function of the left Wing is to stimulate progress when there is danger of it be

রাম বিবর্তিত রাম বিতর্কিত

Image
বিমলকান্তি দাশগুপ্ত  আমাদের বাড়ির উঠানের চার দিকে চার খানা ঘর। ঘরগুলোর তিন দিক ঘিরে ছিল জঙ্গল। সে জঙ্গলে নির্বিঘ্ন নির্বাধ বিচরণ ছিল সাপ গোসাপ বেজির। শেয়ালও ছিল। তবে দিনের বেলায় এদের দেখা যেত না খুব একটা। ওদের একটা নিয়ম ছিল। ওরা কেউ পারতপক্ষে বাড়ির উঠানে আসত না। ব্যবস্থাটা ছিল ওরা অকারণে  আমাদের বিরক্ত করত না। আমরাও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া জঙ্গলে যেতাম না।  দিন তো যেমন তেমন। সমস্যা হত রাতের বেলায়। বিশেষ করে আমাদের ছোটদের জন্য। দিনে যেমন নিছায়া আলোর প্রাচুর্য রাতে ঠিক বিপরীত। রাতের স্বাভাবিক ছায়ার সঙ্গে যোগ হত গাছের ছায়া জঙ্গলের ছায়া বাড়িঘরের ছায়া তাকে আরও ভয়াল করে তুলতো নিজের ছায়া। এর সঙ্গে যোগ হত নজর ফিরে আসা অন্ধকার জঙ্গলে  গা ঢাকা দেয়া ভূতের অস্তিত্ব। উঠোন পেরিয়ে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যেতে ভয় এমন ভাবে জড়িয়ে ধরত যা ছিল শীতের চাদরের চেয়েও কঠোর। চাদরে তবু নাক আর মুখের জায়গায় একটু যদি বা ফাঁক রাখা যায় ভয়ের বেলাতে অসম্ভব। রাতের দুনিয়া নিশাচরদের দখলে। আমাদের জন্য ঘরের আশ্রয়।  এই ভয়। বিশেষ করে ভূতের ভয় দূর করতে আমাদের জন্য একটা টোটকা ছিল। মন্ত্রের মতো আউড়ে যার পর নাই দ্রুত গতিতে আমরা অন্ধকারে পার

ফ্যাসিবাদ : একটি মতাদর্শগত বিবৃতি

Image
সুখেন্দু সরকার প্রতিযোগিতামূলক ধর্মমোহ : বিজেপি বনাম তৃণমূল : এই মুহূর্তে কেন্দ্রের শাসকদের কাছে একমাত্র 'ইভেন্ট' 'রামমন্দির'। জনগণের টাকা অকাতরে ঢেলে যেভাবে মোচ্ছব করা হচ্ছে, তাতে মনে হতেই পারে গণতন্ত্রের মোড়কে ভারতবর্ষে যা চলছে তা বিশুদ্ধ রাজতন্ত্র ছাড়া আর কিছুই  নয়। রাজতন্ত্রে যেমন রাজার ইচ্ছাই শেষ কথা, প্রজাকুলকে আমল দেওয়ার কোন দরকার নেই; ঠিক একই ভাবে দেশের 141 কোটি জনগণের 'ম্যান্ডেট' ছাড়াই চলছে এই বিপুল আয়োজন। সরকারের টাকা বলে তো আদতে কিছু নেই! সবই তো আসলে জনগণের টাকা! জনগণ কি  নরেন্দ্র মোদীদের বলেছে যে, তাঁদের টাকা এরকম একটা অনুৎপাদক খাতে দেদার খরচ করা হোক?  যাঁরা মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোলে চেপে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রাম গড়ে তুলবেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই এ রাজ্যে মমতা ব্যানার্জিরাও একই কাজ করছেন। কি রকম? চলতি বছরের শুরুতে মমতা ব্যানার্জি নবান্নতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার 700 কোটি টাকা খরচ করেছেন মন্দির নির্মাণ, সংস্কার ইত্যাদি খাতে। একটা লম্বা ফিরিস্তিও তিনি দিয়েছেন। ফিরিস্তিটা এই রকম : দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরীর জন্য : 205 কোটি টাক