সারা শহর উথাল পাথাল, ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে...


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ GKCIET (গণি খান চৌধুরী ইন্সিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি)-এর পড়ুয়াদের টানা প্রায় ১ মাস লড়াইয়ের পর টনক নড়ল রাজ্যপালের। ২৩শে জুলাই, ২০১৮ থেকে যে আন্দোলনের কথা বারবার বিভিন্নভাবে সরকারকে জানিয়ে আসা হচ্ছে তারপরেও সরকারের বৈমাত্রেয় আচরণ বিভিন্ন স্তরের মানুষকে  চিন্তিত করলেও, পড়ুয়াদের হার না মানা লড়াই এবং অদম্য মনের জোরের কাছে হার মানল রাষ্ট্র। খোলা আকাশের নীচে অসুস্থকর পরিবেশে লড়াইয়ের পর ৬ই সেপ্টেম্বর রাজ্যপালের সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে ছাত্র ছাত্রীদের এক বড় জয়। বৃষ্টি ভেজা রাজপথে  প্রতারিত পড়ুয়াদের বৈধ সার্টিফিকেটের দাবীতে এই মিছিলে পা মেলান শহরের সমস্ত স্তরের মানুষ। মিছিল শেষে ধর্মতলা থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দল যায় রাজ্যপালের সাথে কথা বলতে। GKCIET-এর ছাত্রছাত্রীদের দাবীতে এদিন রাস্তায় দেখা গেল এ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের ও অধ্যাপকদের।প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শাহিন আমাদের জানান যে রাজ্যপাল তাঁদের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গ্যাজেট দেখিয়ে বলেছেন যে বিতর্কিত ২+২ মডিউলার কোর্স আই.টি.আই কোর্সের সমতুল্য। তবে বি. টেক.-এ ভর্তির ব্যাপারে এখনও ধোঁয়াশা থাকলেও পরবর্তীতে MAKAUT বিশ্ববিদ্যালয় -এর সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। আন্দোলনকারী শাহিন এও জানিয়েছেন যতদিন পর্যন্ত তাঁদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন সঠিক সিধান্ত না হচ্ছে এবং বৈধ সার্টিফিকেট তাঁরা যতদিন না পাচ্ছেন ততদিন লড়াই চলবে, প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ তাঁরা গ্রহণ করবেন। কারণ তাঁরা তাঁদের আন্দোলনের ইস্তেহারেই বলেছে- "হয় বৈধ সার্টিফিকেট নিয়ে ফিরব, নয় আমাদের লাশ ফিরবে"। 

আজ ৭ই সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা MAKAUT বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের বৈধ সার্টিফিকেট দেওয়ার আবেদন জানাবেন এবং তা মানা না হলে ধর্না কর্মসূচী গ্রহণ করবেন। 


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার