জাগো জাগো সর্বহারা...
ঋচীক আশ
১৯১৭-র মহান নভেম্বর বিপ্লবের ১০১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইরিনা স্কারিয়াতিনা
রচিত “ফিরে দেখা” বইটির নিরিখে সোভিয়েত রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার
একটি পর্যালোচনা
আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনাগুলোর মধ্যে
অন্যতম ঘটনা ১৯১৭ সালের রাশিয়ার নভেম্বর বিপ্লব। এই বিপ্লব রাশিয়ায় বিশ্বের প্রথম
প্রলেতারিয়েত সরকার ও একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে, যা
গোটা বিশ্বের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এই সমাজব্যবস্থার সুফল হিসেবে
শিল্পে-কৃষিতে-বিজ্ঞানে-কৃষ্টিতে
রাশিয়া খুবই উন্নত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন বই ও বর্ণনায় আমরা এই সময়ের সামাজিক গঠন
সম্পর্কে জানতে পারি, কিন্তু ইরিনা স্কারিয়াতিনার লেখা 'ফিরে দেখা' (First to Go
Back) বই (বাংলায় অনুবাদক শংকর
ঘোষ, প্রমিথিউস) এমন এক প্রত্যক্ষ বর্ণনা যেখানে আমরা বিপ্লব পূর্ববর্তী ও বিপ্লব পরবর্তী
রাশিয়ার সমাজ জীবনের এক অসাধারণ তুলনামূলক আলোচনা দেখতে পাই।
ইরিনা স্কারিয়াতিনা রাজ পরিবারের সন্তান, পদ মর্যাদায় ‘কাউন্টেস’। ১৯১৭-র
নভেম্বর বিপ্লবের সেই দুনিয়া কাঁপানো দিনগুলি সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেন তিনি, রাজ পরিবারের সদস্য হওয়ায় জেলবন্দী হন এবং ১৯২২-এর অক্টোবর মাসে রাশিয়া ছেড়ে আমেরিকা চলে আসেন, একজন
আমেরিকানকে বিয়ে করেন এবং সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বুঝতে অসুবিধা হয়না, সোভিয়েত
সমাজতন্ত্রের প্রতি তাঁর মনোভাব খুব ভালো ছিল না, সেকথা তিনি কখনোই গোপন করেননি।
কিন্তু ফেলে আসা মাতৃভূমিতে চলা সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের নির্মাণ প্রক্রিয়ার ফল কি তা
স্বচক্ষে দেখার প্রবল ইচ্ছে ছিল তাঁর। নানা বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে ১৯৩২ সালে অর্থাৎ দেশত্যাগের দশ বছর পর কমরেড স্ট্যালিন-এর সময়ে তিনি ভিসা পান, এবং তিনিই সম্ভবত
বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়াতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া প্রথম এমন একজন যিনি বিপ্লবের পরে দেশ ছেড়ে
পালিয়ে গিয়েছিলেন।
পুরোনো রাশিয়া নিয়ে ইরিনা আবেগপ্রবণ ছিলেন, রাশিয়া
ভ্রমণের অধিকাংশ সময়ে তিনি অত্যন্ত নস্টালজিক হয়ে ছিলেন যা তাঁর রচনায় স্পষ্ট। তাঁর রচনার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় হল এই যে তিনি তাঁর রচনায় উল্লিখিত তথ্যের জন্য কোনো সরকারী দপ্তরে যাননি, একজন ট্যুরিস্ট
হিসেবে ঘুরেছেন, শ্রমিক, কৃষক, সরকারি কর্মচারী, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা
বলেছেন এবং তাদের বক্তব্যের উদ্ধৃতিও দিয়েছেন।
রাশিয়ায় সর্বপ্রথম যেটা তাঁর চোখ কাড়ে সেটা হল বিপ্লব
পরবর্তী রাশিয়ার শ্রেণীহীনতা, স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং পরিচ্ছন্নতা। তাঁর লেখায় তিনি
বার বার উল্লেখ করেছেন, বিপ্লব
পরবর্তী রাশিয়ায় যেন এক চিলতে বিদ্যুৎ সবার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, সবাই কর্মচঞ্চল, উজ্জ্বল, দৃঢ়। অপেরা হাউসে গিয়ে তিনি
অবাক হয়ে দেখেন, যে বসবার জায়গা জার ও জারের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল, সেই বক্স এখন
সুতাকল শ্রমিকদের জন্য এবং অন্যান্য বক্স একইভাবে অন্যান্য উৎপাদন ক্ষেত্রের
শ্রমিকদের জন্য সংরক্ষিত। তাদের মধ্যে পোশাকের চাকচিক্যও ছিল না কিন্তু তাদের মধ্যে
সুন্দর স্বাভাবিকতা ছিল, তারা নিজেদের
কর্মক্ষেত্রের নিপুণতায় শিক্ষিত ছিল
এবং তারা অপেরার বিরতির সময়ে অপেরার কাহিনী ও ফর্ম নিয়ে আলোচনা করছিল যা লেখিকার কাছে এতদিন ছিল অপরিচিত।
বিপ্লব পরবর্তী সোভিয়েতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এমনকি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোও এই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার
আইডিয়া পরবর্তীকালে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
গুরুত্বপূর্ণ আরেকটা জিনিস লেখিকা উল্লেখ করেছেন। সেটা হল
রাশিয়ার বিপ্লবী সরকারের একটি দৃষ্টিভঙ্গি, "যে কাজ করবে না, সে খেতেও পাবে না"। এই
"খেটে খাও"-বাদিতাই রাশিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির এক অন্যতম মূল
কারণ। আমরা যদি ইতিহাস দেখি, দেখতে পাবো, বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়ার উন্নতি কিন্তু ১৯২০-র দশকের মহামন্দার
কালেও অব্যাহত ছিল,
এবং ১৯৫০-এর দশকে
এসে চরমে পৌঁছেছিল। রাশিয়ার এই "খেটে খাও"-বাদিতাই সাহায্য করেছিল রাশিয়ায় ভিক্ষাবৃত্তি, প্রস্টিটিউশন এবং শ্রেণিবিভাজন নির্মূল করতে।
তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে রাশিয়ার নবনির্মিত শহরগুলির
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিভাজন করা হচ্ছিল একাধিক ‘ফ্যাক্টরি ইউনিট’ হিসেবে যেখানে
প্রতিটি ইউনিটের মধ্যে সংযুক্ত ছিল একটি উৎপাদন ক্ষেত্র, স্যানাটোরিয়াম,
চিকিৎসালয়, কমিউনিটি ডাইনিং হল, র্যাশনের দোকান, ক্রেশ, শিশুদের বিদ্যালয়,
কমিউনিটি হল এবং দরকারি আসবাবপত্র যুক্ত শ্রমিকদের কোয়ার্টার। তাঁর বইতে ইরিনা
পুরনো শ্রমিক বস্তি এবং নবনির্মিত শ্রমিকদের কোয়ার্টারগুলির তুলনামূলক বিশ্লেষণ
করেছেন। নবনির্মিত কোয়ার্টারগুলি ছিল সবদিক থেকেই আধুনিক, দরকারি আসবাবপত্র যুক্ত
এবং ঘরগুলিতে হাওয়া বাতাস খেলার মত দরজা জানালার ব্যবস্থা করা ছিল; অর্থাৎ পুরনো
এঁদো পচা দুর্গন্ধময় বস্তিগুলির তুলনায় অনেকাংশে স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর।
গ্রামগুলিতে কৃষি ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে যৌথ খামার
প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। গ্রামে গ্রামে সরকার বীজ, ফার্মের প্রয়োজনীয়
প্রাণী, আধুনিক যন্ত্রপাতি, ট্র্যাক্টর ইত্যাদি সরবরাহ করতে শুরু করে। ইরিনার
লেখায় অবশ্য কুলাকদের বিরোধিতার কথাও বাড়ে বাড়ে উঠে এসেছে। যদিও তিনি নিজেই
প্রত্যক্ষ করেছেন সমাজের এক বড় অংশের সাধারণ মানুষ, শ্রমিক কৃষক নির্বিশেষে এবং
বিশেষ করে যুব ও পড়ুয়ারা ছিল সমাজতান্ত্রিক নির্মাণ প্রক্রিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল
এবং আশাবাদী।
ইরিনা তাঁর ভ্রমণের প্রথমভাগেই পরিদর্শন করেন কিছু হসপিটাল এবং
স্কুল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর সুফল এবং উন্নতি লক্ষ্য করা যায় স্টাটিস্টিকসেই; ১৯১৩ থেকে ১৯২৬-এর মধ্যে শিশুমৃত্যুর
হার কমেছিল ৩৫.৫৬%, বয়স্কদের মৃত্যুর হার কমেছিল ২১.৪৩%। প্রতিটি কারখানার কাছেই তৈরি করা হয়েছিল একটি করে
স্যানাটোরিয়াম যেখানে অসুস্থ শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে শুশ্রূষার সুবন্দোবস্ত
ছিল। শিক্ষাব্যবস্থার সুফলও একই ভাবে
লক্ষ্য করা যায়, ১৯১৩-তে গোটা রাশিয়ায় যেখানে নিরক্ষরতা ছিল ৬৮% (জার বিভিন্ন
ঔপনিবেশিক অঞ্চলের জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল), ১৯২৬-এ সেই হার এসে দাঁড়ায় ৯%-এ। সাত বছর বয়স থেকে প্রাথমিক
শিক্ষা সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করা হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রের সপ্তম বর্ষীয় স্কুলের
ছাত্ররা ত্রিবার্ষিক কারিগরী বিদ্যালয়ের শিক্ষা পেত, তারপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারত,
অথবা চলে যেত উচ্চতর কারিগরী প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা ছিল সম্পূর্ণরূপে অবৈতনিক, এবং
অধিকাংশ পড়ুয়াই সরকারী ভাতা পেত ছাত্রাবস্থায়। বেকার ও অনাথদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কমিউন, সেখানে
তাদেরকে কারিগরী শিক্ষা দেওয়া হত সরকারীভাবে। সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক জ্ঞানের
প্রসারের উদ্দেশ্যে ছাত্রদেরকে একদম ছোটবেলা থেকেই কমিউনিজমের বিশেষত
লেনিনিজমের শিক্ষা দেওয়া হত।
রাশিয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম
ছিল ক্রেশ। প্রতিটা কারখানার সাথে ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্র যেখানে মহিলারা কাজ করেন
সেগুলোর সাথে লাগোয়া ক্রেশ ছিল, মহিলারা সেখানে তাদের
শিশুকে রেখে কাজে যেতে পারতেন এবং যেকোনো সময়ে তাদেরকে দেখে আসতে পারতেন। প্রতিটা
কারখানায় কমিউনিটি রান্নাঘর ছিল যেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য পরিবেশন করা হত খুব
কম দামে; ছিল উন্নত রেশনিং ব্যবস্থাও। এই পরিষেবার মাধ্যমে রাশিয়ার বিপ্লবী সরকার সেখানকার
মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছিল; তাদের উৎপাদন ক্ষেত্রে
কর্মমুখী ও স্বাবলম্বী করতে এই পদক্ষেপ ছিল অবশ্য প্রয়োজনীয়।
বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়ায় বিবাহ বিষয়ক আইনেও পরিবর্তন দেখা যায়। বিবাহ রেজিস্ট্রি আবশ্যক ছিল না কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। জারজ সন্তানের কালিমার পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্র তাদের দায়িত্ব নিত কিংবা তার বাবা মায়ের কাউকে সেই দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য করত। বিবাহ বা দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যেকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র নাক গলাত না কিন্তু আইনি দিক থেকে তার স্বীকৃতির ভিত্তি ছিল পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করছে কিনা তার উপর। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পুরুষতন্ত্রের কবল থেকে মহিলাদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।
বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়ায় বিবাহ বিষয়ক আইনেও পরিবর্তন দেখা যায়। বিবাহ রেজিস্ট্রি আবশ্যক ছিল না কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। জারজ সন্তানের কালিমার পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্র তাদের দায়িত্ব নিত কিংবা তার বাবা মায়ের কাউকে সেই দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য করত। বিবাহ বা দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যেকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র নাক গলাত না কিন্তু আইনি দিক থেকে তার স্বীকৃতির ভিত্তি ছিল পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করছে কিনা তার উপর। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পুরুষতন্ত্রের কবল থেকে মহিলাদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।
রাশিয়ার অরক্ষিত চার্চগুলিকে মূলত সংগ্রহশালা ও ধর্মবিরোধী বিজ্ঞানের
প্রসারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সরকার
ব্যাক্তি ধর্মাচরণে নাক গলাত না। একটি আঞ্চলিক কমিউনিটি নিজেদের খরচে চার্চ
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে চাইলে সরকার সেই চার্চগুলির অধিগ্রহণ করত না। ইরিনা
উল্লেখ করেছেন যে শিশু ও যুবক যুবতিদের সাংস্কৃতিক চর্চায় লিপ্ত করার বিশেষ
পরিকল্পনা নিয়েছিল রাশিয়ার বিপ্লবী সরকার। ফলে, বৃদ্ধ বা মধ্য বয়স্করা ছাড়া
বাদবাকি সমাজের বিপুল অংশের শিশু ও যুবক যুবতীরা ধর্মে বিশ্বাসী ছিল না।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীও খুবই উন্নত হয়ে ওঠে। রাশিয়ার সরকার
শ্রমিক ও কৃষকদের হাতেও অস্ত্র তুলে দেয়, এবং তাদের সুশৃঙ্খলিত করে তোলে যাতে দেশ
সুরক্ষিত থাকে। প্রসঙ্গত স্ট্যালিনের নেতৃত্বেই লালফৌজই ফ্যাসিস্ট হিটলারের
সেনাবাহিনীকে রুখে দিতে পেরেছিল সফলভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।
ইরিনার লেখায় উঠে এসেছে বলশেভিকদের জেলখানা সংস্কারের
উদ্যোগও। বিপ্লবী সরকারের অধীনে সেগুলি হয়ে উঠেছিল প্রকৃত সংশোধনাগার। বিপ্লব
পরবর্তীকালে একা মস্কো শহরেই এই জেলখানার সংখ্যাগত দিক থেকে বিপুল হ্রাস পরিলক্ষিত
হয়।
পুঁজিবাদী দেশগুলো কমিউনিজমের ব্যর্থতা বোঝাতে সোভিয়েত ও
অন্যান্য কমিউনিস্ট দেশগুলোর পতনকে দেখায়, কিন্তু পতনের কারণ ও পতনের পূর্বে হওয়া
উন্নতির জোয়ারকে কখনোই দেখায় না, কারণ মানব সমাজের
অগ্রগতির ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ যে সমাজতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে, তার জনকল্যাণকারী স্বরূপ উৎঘাটিত হয়ে যাবে যে!
ইরিনা স্কারিয়াতিনার লেখায় সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত
রাশিয়ার সাফল্য ফুটে ওঠে স্পষ্টভাবেই। সোভিয়েত রাশিয়া
ভ্রমণ তাঁর সমাজতন্ত্রের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন আনে। তিনি তাঁর বইতে
উল্লেখও করেছেন যে সোভিয়েতের এই সাফল্য তুলে ধরার জন্য আমেরিকার বুদ্ধিজীবীকূল
তাঁকে কমিউনিস্ট কিংবা সোভিয়েতের চরবৃত্তির কুৎসায় ভূষিত করেছিল!!!...
পরিশেষে, ইরিনার উপলব্ধিঃ "মানুষের মাঝে ফিরে যেতে পেরে আমি খুশি, আমি আর নির্বাসিত নই"...
পরিশেষে, ইরিনার উপলব্ধিঃ "মানুষের মাঝে ফিরে যেতে পেরে আমি খুশি, আমি আর নির্বাসিত নই"...
Comments
Post a Comment