বিধাননগরের বেআইনি হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে 'পিপল'স ব্রিগেড হকারস্ ইউনিট'-এর পথ অবরোধ
দেবপ্রিয়া চক্রবর্তী
কলকাতায় গত বছর যুব বিশ্বকাপের সময় থেকে সল্টলেক-নিউটাউন চত্বরে একের পর এক হকার উচ্ছেদ হয়ে চলেছে বেআইনিভাবে। এর বিরুদ্ধে গড়ে তোলা বহু আন্দোলন স্রেফ প্রতীকী আন্দোলন হয়েই থেকে গেছে তৎকালীন হকার নেতাদের বেইমানির জন্য। হকারদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বড় কর্পোরেটদের খাবার সরবরাহের ব্যবসার সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সমগ্র সল্টলেক চত্বর জুড়ে হকার উচ্ছেদ দিন কে দিন বাড়িয়ে চলেছে। সম্পূর্ণ রূপে বেআইনি পদ্ধতিতেই পুলিশ-প্রশাসনের মদতে এই উচ্ছেদ অভিযান চলছে পুরসভার হল্লাগাড়ি মারফৎ।
পিপল'স ব্রিগেডের দাবি, ২০১৪-র 'স্ট্রীট ভেণ্ডিং অ্যাক্ট' অনুযায়ী হকারী করা বেআইনি নয়, হকার উচ্ছেদ বেআইনি। ২০১৪ সালের স্ট্রীট ভেণ্ডিং অ্যাক্ট অনুযায়ী, হকারী করাটা বে-আইনি নয়, বরং হকার উচ্ছেদটাই বে-আইনি। ওই আইনে বলা হচ্ছে, প্রত্যেকটি অঞ্চলে, স্থানীয় সরকার (মূলত পুরসভা)-র তত্ত্বাবধানে ন্যূনতম ৪০% হকার প্রতিনিধির ভিত্তিতে টাউন ভেণ্ডিং কমিটি (টি.ভি.সি) গঠনপূর্বক হকারদের নাম নথিভূক্ত করে তাঁদের হকারী কার্ড তো দিতেই হবে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ভেণ্ডিং জোন, নন ভেণ্ডিং জোন ইত্যাদি নির্ধারণ করতে হবে। নির্ধারিত নন-ভেণ্ডিং জোনে যদি কোনো হকার ইতিমধ্যেই থেকে থাকে, তবে তাঁদের পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করবে টি.ভি.সি।
ওয়ার্ড ভিত্তিক টাউন ভেন্ডিং কমিটি বসিয়ে হকারদের আই.ডি. কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করার আইন থাকলেও তা না মেনেই বিধাননগরের হকার উচ্ছেদ করে চলেছে রাজ্য সরকার। পিপল'স ব্রিগেডের দাবি, ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের আনা একটি রুল হকারদের দোকানে "আগুন বন্ধ"-এর কালা নিয়ম জারী করতে চলেছে যা হকারদের উচ্ছেদের এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে। যেখানে প্রায় ৩৫০০-এর বেশি সংখ্যক হকার এই বিধাননগর চত্বরে খেটে খান, সেখানে মাত্র ৭৫০ মতো হকারের নাম বেআইনি ভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে কোনোরকম টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন না করেই। এই দাবি সংক্রান্ত ডেপুটেশান রাজ্য সরকার গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে 'পিপল'স ব্রিগেড বিধাননগর হকারস্ ইউনিট' ১৬ই জানুয়ারি, কলকাতায় খান্না মোড় অবরোধ করলে পুলিশ ভাড়া করা 'বাউন্সার' লেলিয়ে লাঠি চার্জ করে এবং একজনও মহিলা পুলিশ না থাকা সত্ত্বেও একজন মহিলা আন্দোলনকারীকে টেনে হিঁচড়ে অন্য আন্দোলনকারীদের সাথে অ্যারেস্ট করে বটতলা থানায় নিয়ে যায় এবং একই লক-আপ-এ রাখে।
ওয়ার্ড ভিত্তিক টাউন ভেন্ডিং কমিটি বসিয়ে হকারদের আই.ডি. কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করার আইন থাকলেও তা না মেনেই বিধাননগরের হকার উচ্ছেদ করে চলেছে রাজ্য সরকার। পিপল'স ব্রিগেডের দাবি, ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের আনা একটি রুল হকারদের দোকানে "আগুন বন্ধ"-এর কালা নিয়ম জারী করতে চলেছে যা হকারদের উচ্ছেদের এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে। যেখানে প্রায় ৩৫০০-এর বেশি সংখ্যক হকার এই বিধাননগর চত্বরে খেটে খান, সেখানে মাত্র ৭৫০ মতো হকারের নাম বেআইনি ভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে কোনোরকম টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন না করেই। এই দাবি সংক্রান্ত ডেপুটেশান রাজ্য সরকার গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে 'পিপল'স ব্রিগেড বিধাননগর হকারস্ ইউনিট' ১৬ই জানুয়ারি, কলকাতায় খান্না মোড় অবরোধ করলে পুলিশ ভাড়া করা 'বাউন্সার' লেলিয়ে লাঠি চার্জ করে এবং একজনও মহিলা পুলিশ না থাকা সত্ত্বেও একজন মহিলা আন্দোলনকারীকে টেনে হিঁচড়ে অন্য আন্দোলনকারীদের সাথে অ্যারেস্ট করে বটতলা থানায় নিয়ে যায় এবং একই লক-আপ-এ রাখে।
আরও বড় আন্দোলনের পথে 'পিপল'স ব্রিগেড বিধাননগর হকারস্ ইউনিট' এগিয়ে যেতে অঙ্গিকার বদ্ধ।
'পিপল'স ব্রিগেড বিধাননগর হকারস্ ইউনিট'-এর দাবীসমূহ:
১. অবিলম্বে বেআইনি হকার উচ্ছেদ বন্ধ কর।
২. অবিলম্বে ওয়ার্ড ভিত্তিক টি.ভি.সি গঠন করে সকল হকারদের আই. ডি. কার্ড দিতে হবে।
৩. অবিলম্বে 'আগুন বন্ধ'-এর কালা কানুন প্রত্যাহার কর।
Comments
Post a Comment