শান্তিপুরে আয়োজিত হল বিজ্ঞান মেলা

সাত্যকি দত্ত 

পরিবেশদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার নানা প্রয়াস চলছে সারা বিশ্বেই।  আমাদের চারপাশেরই অতি পরিচিত কিন্তু অবহেলিত পরিবেশের নানা উপাদান-  গাছপালা, পাখির সাথে আলাপ করিয়ে প্রত্যেকের মধ্যেই গড়ে তোলা যায় পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ব। এরই এক সফল প্রয়াস দেখা গেলো শান্তিপুরে, শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা ২০১৯-এর (২৯শে ডিসেম্বর) মঞ্চে। হালিশহর বিজ্ঞান পরিষদের প্রদর্শনী এই বিজ্ঞান মেলাকে নব রূপ প্রদান করে। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য পরিবেশকর্মীর সাথে ছবির মাধ্যমে পরিচিতির সাথে সাথেই পরিবেশ ও বিজ্ঞানসচেতনতা বৃদ্ধি এই প্রদর্শনীতে উল্লেখযোগ্য  ভূমিকা নিয়েছিল। মানসিক রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথাও উঠে এসেছিলো এখানে। আমাদের চারদিকে বুনো গাছ বা আগাছা বলে আমরা যাদের এড়িয়ে যাই, তাদের মধ্যে অনেকেরই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে পরিবেশে, আবার অনেকের আছে বিশেষ ঔষধিগুণ। স্থানীয় এই গাছগুলি এখানে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের একটি প্রধান বিষয় ছিল। পুটুস/লণ্ঠন, শেয়ালকাঁটা, মাদার, ঢোলকলমি,  ভুঁই ওকড়া, ওলটচণ্ডাল, কালকাসুন্দা অথবা স্বর্পগন্ধার মত নানা স্বল্প-পরিচিত উদ্ভিদ-গুল্মের ছবি ডিসপ্লে ছিল এই প্রদর্শনীতে। এই প্রদর্শনীতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ অবশ্যই পাখির বাসার সমাহার। আমাদের চারপাশেই উড়ে বেড়ানো পাখির বাসার বৈচিত্র্য অনেক সময়েই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। এই সংগ্রহে ছিল হলদে বুক মৌটুসি বা সানবার্ড, ফিঙে, মুনিয়া, বুলবুল, টুনটুনি, ফটিকজলের মত বাংলার নানা পাখির বাসা। পাখিদের চিনে নেয়ার সুবিধার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই সাথে ছিল তাদের রঙিন ছবি। এর সাথে বাসার পরিমাপ, কোন গাছ থেকে বাসা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ ছিল, যার ফলে পাখিদের পছন্দের বাসস্থান সম্পর্কে কিছুটা ধারণাও মেলে। ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতন করার এই প্রয়াস সত্যিই অভিনব।







Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার