নারী সম্মান ও নিরাপত্তার দুই সাম্প্রতিক লজ্জাজনক নিদর্শন

মঞ্জুশ্রী সামন্ত 

সাম্প্রতিক বোম্বে হাইকোর্ট-এর নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা রায়-এ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পোশাক না খুলে, পোশাকের ওপর দিয়ে স্তন বা যৌনাঙ্গে হাত দেওয়া হলে, তা যৌন নিগ্রহের আওতায় পরেনা। পোশাক খুলে বা পোশাকের ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে স্তন বা যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে সেটিই যৌন নিগ্রহের আওতায় পরবে। ত্বকের সাথে ত্বকের (স্কিন টু স্কিন কন্ট্যাক্ট) সংস্পর্শ হতেই হবে, তবেই অপরাধ প্রমাণিত হবে এবং পকসো আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত শাস্তি পাবে, যার ভিত্তিতে ন্যুনতম তিন বছরের কারাবাস সাজা হবে। বারো বছর বয়সী কিশোরীকে যেহেতু ৩৯ বছর বয়সী পুরুষটি সালোয়ারের ওপর দিয়ে স্তন স্পর্শ করেছিলো, তাই অভিযুক্তকে আইপিসি ধারা ৩৫৪ অনুযায়ী, শ্লীলতাহানির অভিযোগে ১ বছরের কারাবাস সাজা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মধ্যপ্রদেশে-এর মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দুই সপ্তাহ আগেই জানিয়েছেন, এমন ব্যাবস্থা আনতে চলেছেন, যেখানে মেয়েদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়ির বাইরে পা দিলেই মেয়েদেরকে পুলিশ স্টেশনে নিবন্ধিত করতে হবে, তাহলে মেয়েদেরই সতর্কতার কথা ভেবে তাদেরকে ট্র্যাক করা হবে সে কোথায় যাচ্ছে না যাচ্ছে তার সন্ধান রাখার জন্য।

- এই সরকার সতর্কতা'র (vigilance) দোহাই দিয়ে মেয়েরা বাড়ির বাইরে কোন স্থানে যাবে না যাবে তা ট্র্যাক করে স্বাধীনতা হরণ করবে। আবার যখন সেই মেয়েটিই যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে ফিরবে, তখন সেই সরকারই খুঁত বার করে অভিযুক্তকে বাড়ি ফিরিয়ে দেবে!



Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার