অভিষেক-মদনের ফুটবল ক্লাব আইএফ লীগে - কিসের ইঙ্গিত?

ডিলিজেন্ট স্পোর্টস ডেস্ক

কলকাতার ময়দান সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। মোহনবাগান ক্লাবের বিভিন্ন পদে কুনাল ঘোষ বা অরূপ বিশ্বাসের পাশাপাশি অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের জায়গা হয়েছে। আগামী এশিয়ান গেমসের 'ডেপুটি সেফ অফ দ্য মিশন' হয়েছে মুখমন্ত্রীর ভাই বাবুন ব্যানার্জী। একই রাস্তা ধরে অভিষেক ব্যানার্জীর ডায়মন্ড হারবার এফ.সি-র মত পেছনের দরজা দিয়ে মদন মিত্রের বেলঘড়িয়া এ.সি-কে জায়গা করে দেওয়া হলো আই এফ লীগের  প্রথম  ডিভিশনে। আই.এফ.এ যতই বলুক যে বিশেষ ছাড়পত্রের অনুমতি আছে, প্রকৃত অর্থে এই জাতীয় কোনও নিয়ম আই.এফ.এ-র সংবিধানে নেই। 

আগেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ক্লাবগুলির মাথায় থাকতো। বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী যতীন চক্রবর্তী মোহনবাগানের  বা সিপিআই(এম) নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থক হলেও, এমনকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্ধ শঙ্কর রায় মোহনবাগান দলের ক্রিকেটার হলেও এই জাতীয় ঘটনাবলীর সমাহার ইতিপূর্বে দেখাই যায় নি।

অলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী ক্রীড়াজগতে সরাসরি রাজনীতিবিদদের বিশেষতঃ প্রশাসনিক প্রধানদের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ হলেও পিছনের দরজা দিয়ে এই কাজ নিয়মিতভাবে চলছে। অবিলম্বে এর প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ।

Picture Courtesy: Aaj Tak Bangla

Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার