শহীদ আনিস খানের হত্যার বিচারের কালপঞ্জি
সুদীপ্ত কোলে
২০২০: বাগনানের কিছু সমাজ কর্মীর উদ্যোগে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। লকডাউনকালীন সময়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা কাঠামোর উন্নতির দাবীতে আন্দোলন শুরু হয়। আনিস খান, অভীক নাগ, টুকটুকি নাগ এবং ওই সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রুগীদের প্রয়োজনে রক্ত জোগাড়ের কাজ শুরু হয়। [১]
২০২০, ৯ই সেপ্টেম্বর: উলুবেড়িয়া হাসপাতালে একটা ডেপুটেশন দেওয়া হয়। হাসপাতালে রক্ত নিয়ে কালোবাজারির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ’। আনিস খান এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। [১]
২০২০, ১৮ই ডিসেম্বর: ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ’-এর তরফ থেকে আনিস খান এবং অন্যান্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের অব্যবস্থা রুখতে গণকনভেনশন করে ডেপুটেশান দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তিনজন রোগীর মৃত্যু হয় - মনিরুল মোল্লা, শেখ কওশর ও নিশা ডাল। ব্লাড ব্যাংকের স্টাফের গাফিলতির কারণে ৪ বৎসরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু শেখ হাসানুরের মৃত্যু হয়। তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল আনিস খান। [১]
২০২১, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ: করোনা সংক্রমণের সময়ে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে "সংক্রমণ যখন বেড়েই যাচ্ছে তখন অনিয়ন্ত্রিত জমায়েত করে নির্বাচন করা হচ্ছে কার স্বার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার জবাব দাও" এই প্রশ্নে ও লকডাউনের আড়ালে সমস্ত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রকে পরাস্ত করার ডাক দেওয়ার আন্দোলনের অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল আনিস খান। [১]
২০২১, ২১শে মে: উলুবেড়িয়া হাসপাতালে দ্বিতীয় লকডাউন চলাকালীন রক্তের সংকট দেখা দিতে শুরু করলে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ’-এর তরফে একক এবং যৌথ উদ্যোগে রক্তদান শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আনিস খানের দায়িত্বে ওরই গ্রাম সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ’-এর উদ্যোগে ২২শে মে একটি রক্তদান শিবির আয়োজন করার প্রেক্ষিতে কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি মালেক খান, তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মাসুদ খানের নেতৃত্বে ও তার অনুগামীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় আনিস খানকে হুমকি দেয়। ২০২১-এর বিধান সভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিরোধীরা বেশি ভোট পাওয়ার জন্য আনিসকে দায়ী করে তারা। তারা বলে, রক্তদান শিবিরটা করা যাবে না আর করলে ফল ভীষণ খারাপ হবে। ওইদিন সন্ধ্যায় উক্ত ব্যক্তিরা আনিসের বাড়িতে চড়াও হয় এবং বৃদ্ধ বাবা, মা, বোনেদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আনিসকে বাড়ি ছাড়া করে দেয়। [১]
২০২১, ২২ শে মে: আনিস খানের নিরাপত্তার দাবীতে সংগঠনের পক্ষে আমতা থানার এসপি-কে মেইল পাঠানো হয়। [১]
২০২১, ২৩শে মে: দুপুরবেলা আচমকা তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খান ও আলী হোসেন খান আনিসের ছোট কাকাকে ঘরে ঢুকে মারধর করে। রাত ১১টায় আবার চড়াও হয়ে গোয়ালঘর ও রান্নাঘর ভাঙচুর করে তৃণমূল সদস্য মেহবুব খান, রাজা খান, সাইফুল্লাহ খান, আতি খান সহ অনেকেই। [১]
২০২১, ২৪শে মে: আনিস খান নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার ও প্রাণ নাশের আশঙ্কা রেখে এবং সকল দুষ্কৃতিদের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবীতে আমতা থানা ও অন্যান্য প্রশাসনিক অফিসে (বিডিও, ডিএম, হোম সেক্রেটারি, গভর্নর, মহিলা কমিশন) চিঠি পাঠায়। দুষ্কৃতিরা ওর উপর নজর রাখায় আনিস থানায় শারীরিকভাবে না গিয়ে পোস্ট মারফৎ অভিযোগ আকারে চিঠি পাঠায়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্টে আনিস ও তার পিতার বিরুদ্ধে পর পর একদিনের ব্যবধানে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমতা থানা। ২৯/০৫/২০২১ তারিখে আনিস বাড়ি ছাড়া থাকা সত্ত্বেও আমতা থানা তার এলাকাতেই একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আনিসের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে। [১]
২০২১, ২৯শে মে: আমতার এসডিপিও-র অফিসে সংগঠনের তরফে অভীক নাগ, টুকটুকি নাগ ও আনিস খান গিয়ে সমস্ত ঘটনা বিশদে জানায়। [১]
২০২১, ১৭ই জুন: আনিসের বাড়ির সদস্যদের উপর আবার হামলা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। আনিসের বউদি আলেয়া বেগম পূর্বতন সমস্ত ঘটনার উল্লেখ করে পারিবারিক নিরাপত্তার দাবীতে আমতা থানায় চিঠি দেয়। ওসি সৌমেন গাঙ্গুলি চিঠি ছুঁড়ে ফেলে দেয়! তখন পুলিশের খারাপ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে মহিলা কমিশের কাছে চিঠি পাঠায় আলেয়া। কৌশিক সেন, ভারতী মুৎসুদ্দি, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, পল্লব কীর্তনিয়া, মন্দাক্রান্তা সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র, সমীর আইচ, অশোক গাঙ্গুলি, অনীক দত্ত, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকেও চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ঐ সময়ে আমতা থানার ওসি ফোনে অভীক নাগকে আনিস সম্পর্কে বলে যে "তৃণমূলের গুন্ডা এসব লিখলে আমি তা হতে দেব না"। [১]
২০২২, ১৮ই ফেব্রুয়ারি: ওই দিন রাত ২টোর সময় আনিসের বাড়িতে একজন হোম গার্ডের পোশাকে ও বাকি তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের পোশাকে হাতে রিভলবার নিয়ে ঢোকে। আমতা থানায় আনিসের নামে হওয়া একটি কেসের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছে বলে জানায় তারা। আনিসের বাবা সালেম খানের বয়ান অনুযায়ী তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে উপরের তলায় দুষ্কৃতিরা যায়। আনিসের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পান তাঁরা। ফোনে ‘স্যার, কাজ হয়ে গেছে’ বলতে বলতে দুষ্কৃতিরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। আনিসের মৃত্যু হয়… আনিসের বাবা থানায় ফোন করলেও প্রায় ছয় ঘণ্টা পর পুলিশ ওর বাড়িতে পৌঁছে মৃতদেহ নিতে গেলে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। [১]
২০২২, ২১শে ফেব্রুয়ারি: বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশে স্বতপ্রণোদিতভাবে আনিস খানের হত্যার বিচার শুরু হাই কোর্টে। পরে সিবিআই তদন্তের দাবীতেও একটি মামলা করা হয়। [২]
২০২২, ২২শে ফেব্রুয়ারি: সিআইডি-র অধীন অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল হিসাবে জ্ঞানবন্ত সিং আনিস হত্যার তদন্তের সাথে যুক্ত হয়। এ একসময় ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হিসেবে রিজওয়ানুর রহমান কান্ডে অভিযুক্ত ছিল এবং বর্তমানে কয়লা পাচার কেসে ইডি-র সন্দেহভাজন। উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে আনিসকে দেশদ্রোহী বলা হয়। [৩, ৪]
২০২২, ২৪শে ফেব্রুয়ারি: কলকাতা হাইকোর্ট আনিসের দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়। জেলা বিচারকের অধীন রাজ্য বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা 'সিট'-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। [৫]
২০২২, ২৫শে ফেব্রুয়ারি: আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। আমতা থানার ওসি-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সদ্য গ্রেফতার হওয়া হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম চক্রবর্তী। তারা অভিযোগ করে যে ওসির নির্দেশেই এই কাজ তারা করেছিল। [৬, ৭]
২০২২, ২৫শে মার্চ: ধর্মীয় রীতি মেনে আনিসের লৌকিক ক্রিয়াকর্ম চলাকালীন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আনিসের পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে আমতার গ্রামবাসীদের থেকে 'গো ব্যাক' স্লোগানের সম্মুখীন হয়। ফিরহাদ নিজেকে 'বাঘ' আর গ্রামবাসীদের 'কুকুর-হায়না'-র তকমা দিয়ে এলাকা ছাড়ে। [৮, ৯]
২০২২, ২৭শে মার্চ: আনিস খানের গ্রামে প্রথম প্রতিবাদ সভা সংগঠিত করা হয় সারদা গ্রামবাসীবৃন্দ ও আনিস খানের বন্ধুদের পক্ষে থেকে। সভা বানচাল করার জন্য সভা চলাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সভাস্থল থেকে আশেপাশের প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পুলিশ ও র্যাফ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। বাইরে থেকে আগত প্রতিবাদীদের ওপর চরম নজরদারি চালানো হয়। তবে সভা সফলভাবেই সম্পন্ন হয়। [১]
২০২২, ১৬ই এপ্রিল: সারদা থেকে বাইনান গ্যারাজ অবধি প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিল থেকে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আনিস হত্যার স্লোগান ওঠে। [১]
২০২২, ১৯শে এপ্রিল: সিট হাইকোর্টের কাছে ৮২ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। আদালতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য হাই কোর্ট শহীদ আনিস খানের বাবা সালেম খানকে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেয়। [১০]
২০২২, ২৫শে এপ্রিল: সিটের তদন্ত থেকে উঠে আসা হলফনামায় শহীদ আনিস খানের মৃত্যু হত্যাকান্ড না হওয়ার উপসংহারের বিরুদ্ধে তার বাবা অনাস্থা প্রকাশ করলে আদালত তাকে আপত্তি জানিয়ে এফিডেবিট ফাইল করার নির্দেশ দেয়। [১১]
২০২২, ২২শে মে: আনিস খানের অসম্পূর্ণ কাজ রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় আনিসের গ্রামে। এই রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। [১]
২০২২, ৬ই জুন: আনিস খানের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের অন্যতম সহযোগী, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চের সদস্য এবং আনিসের মামা নাসীমুদ্দীন কাজীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আমতা তাজপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম খান, তৃণমূল কর্মী সামসুদ্দিন খান সহ আরও অনেকে। আমতা থানায় এই তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাসীমুদ্দীন। [১২]
২০২২, ১১ই জুন: এইদিন হাওড়া গ্রামীণের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের মতন টানা অশান্তির ঘটনা ঘটার প্রেক্ষিতে রদবদল করা হয় হাওড়া পুলিশের শীর্ষ পদগুলিতে। যেমন, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে সরিয়ে কলকাতা পুলিশে নিয়ে আসা হয়। এই সৌম্য রায় তৃণমূলের তারকা বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী। এই সৌম্যর বিরুদ্ধে আনিসের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। [১৩]
২০২২, ২১শে জুন: হাই কোর্ট তদন্ত ভার সিবিআই-কে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। সিট-কে চার্জশিট ফাইল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। [১৪]
২০২২, ৩০শে জুন: আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে, পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ও আমতা থানার ওসির অশালীন মন্তব্যের (ছাত্রছাত্রীদের গাঁজাখোর ও ভাঙ্গড় পাওয়ার গ্রীড আন্দোলনকারীদের মাওবাদী তকমা দেওয়া) প্রতিবাদে আমতা থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিডিও আমতা-২-এর নিকট ডেপুটেশন কর্মসূচী সফল করা হয়। আমতা থানার তরফে সভা বানচাল করার প্রচেষ্টা নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। [১৫]
২০২২, ১১ই জুলাই: সিট ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় - আমতা থানার প্রাক্তন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী, হোম গার্ড কাশিনাথ বেরা, সিভিক ভলেন্টিয়ার সৌরভ কোনার ও প্রীতম ভট্টাচার্য এবং সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর নির্মল দাস। আইপিসি-র 304A, 341, 342, 452 ও 120B ধারায় ওই ৫ জন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়। [১৬]
২০২২, ৭ই আগস্ট: আনিসের গ্রামে পুনরায় আরও একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ঐ সভা থেকে গঠিত হয় "শহীদ আনিস খান সহ প্রতিবাদী হত্যাবিরোধী গণসংগ্রাম কমিটি"। [১৫]
২০২২, ৯ই সেপ্টেম্বর: রাত ১টা নাগাদ আনিস মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী তার খুড়তুতো ভাই সলমন খানকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ বসায়। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় সলমনকে। সলমন বর্তমানে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে আনিসের হত্যার বিচারের দাবীতে আন্দোলনরত। [১৭]
২০২২, ১৫ই সেপ্টেম্বর: কোলকাতার ভারত সভা হলে কনভেনশন সংগঠিত করা হয়। [১৫]
২০২২, ১৬ই সেপ্টেম্বর: সন্ধ্যা বেলায় আনিসের বাড়িতে আবারও চড়াও হয় এলাকার তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। [১৫]
২০২২, ১৯শে নভেম্বর: আনিসের দাদার স্ত্রী গর্ভপাত হয় ১৬ই সেপ্টেম্বরের হামলার জন্য। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনো অবধি তৃণমূলের তরফে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা জারি আছে। [১৫]
২০২২, ১৮ই নভেম্বর: আনিস হত্যার প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য আনিস খানের এলাকার দুই বাসিন্দা মহিম খান ও মীরাজ হোসেন খানের ওপর কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নেতৃত্বে স্থানীয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। মারধরের কারণে দুজনেই উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। [১৫]
লড়াই জারী আছে...
তথ্যসূত্রঃ
১৫। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ-এর সাথী অভীক নাগের বয়ান।
সুদীপ্ত কোলে ভারতের প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ফেডারেশান-এর কর্মী।
Updated: 20/02/2023
Comments
Post a Comment