বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বামপন্থীদের কিছু আশু এবং দীর্ঘমেয়াদী কর্তব্য
অভিজ্ঞান চক্রবর্তী
এই আলোচনা মূলত ভারতীয় প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে। বেশকিছু বক্তব্যের বিশদ বিশ্লেষণে যাওয়া হয়নি কারণ সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বহু প্রবন্ধ পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে এবং আগামীদিনে পুনরায় প্রকাশিত হবে।
নয়াউদারবাদী অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত সংকট প্রকোপ
ফেলছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। একদিকে দেশের পুঁজিপতিদের
সম্পত্তি বেড়েই চলেছে আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের যুবাদের বেকারত্ব।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংকটের মুহূর্তে ধনপতিদের মুনাফা অক্ষুণ্ণ রাক্ষার
স্বার্থে পার্লামেন্টে পাশ করেছে একের পর এক খেটে খাওয়া মানুষের বিরোধী বিল।
উল্লেখ্য, অন্যান্য জাতীয় এবং আঞ্চলিক ডানপন্থী দলগুলোর (জাতীয় কংগ্রেস, তৃণমূল
কংগ্রেস, শিব সেনা প্রভৃতি) বিনা বিরোধিতা কিংবা প্রতীকী বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে সেই
আইনগুলো পাশ করানো হয়েছে। ধনীদের এই সোশ্যাল অর্ডার তৈরি করা হচ্ছে এমন একটা সময়ে যখন
বিশ্ব অর্থনীতি এবং তার ভারতীয় শাখাও সংকটে রয়েছে। এমতাবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া
মানুষের উপর সংকটের বোঝা চাপানোর জন্য মতাদর্শগত ও অর্থনৈতিক পন্থাগুলো বাস্তবায়িত
করতে কাজে লাগছে ফ্যাসিস্ট প্রবণতা সম্পন্ন গেরুয়া শিবির। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে
দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের জোট ছন্নছাড়া হয়ে রয়েছে কারণ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কালীন
উদারনৈতিক ও রক্ষণশীল বুর্জোয়াদের অর্থনৈতিকে প্রশ্নে শিবির বিভক্তিকরণ আজকের বিশ্বায়িত
অর্থনীতির যুগে পুনরায় হচ্ছে কিনা সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। জাতীয় কংগ্রেসের সরকারের
আমলেই আমাদের দেশে নয়াউদারবাদী অর্থনীতির প্রবেশ, বিজেপির আমলে তার গতি দ্রুত
হয়েছে এবং আঞ্চলিক ডানপন্থী সরকারগুলোর পলিসি একই যদিও ব্র্যান্ডিংগুলো আলাদা
আলাদা। উল্লেখ্য, এদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক বিরোধ অবশ্যই রয়েছে। একদিকে
রয়েছে ফ্যাসিস্ট বিজেপি ও তার তাঁবেদার আঞ্চলিক দলগুলো আর অন্যদিকে বিরোধী জোটে
রয়েছে পরিবারতান্ত্রিক, নয়াউদারবাদী, দুর্নীতিগ্রস্থ জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য
আঞ্চলিক দল। বামপন্থীদের সাংগঠনিক অবস্থা ন্যয়সঙ্গত কারণেই শোচনীয় (এখানে
ঐতিহাসিকভাবে মেহনতি মানুষের পক্ষাবলম্বন করা এবং শ্রমিক কিংবা শ্রমিক-কৃষক
ফ্রন্টের ভিত্তিতে পরিচালিত দলগুলোকেই বামপন্থী হিসেবে ধরা হয়েছে)। তিন রাজ্যে
বামপন্থীদের একাংশের সরকার পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নব্য কুলিন শ্রমিকদের
প্রতিনিধিদের পরিচালনায় আদর্শগত বিচ্যুতি জনবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার ইতিহাস রচনা করেছে। অন্যান্য বামপন্থীদের হঠকারী পদক্ষেপগুলো তাদের আম জনতার থেকে দূরে ঠেলে
দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের আশু ও দীর্ঘমেয়াদি কর্তব্যগুলো কি?
আশু কর্তব্য
১। বামপন্থীদের আন্দোলনগত ঐক্য গড়ে তোলা
প্রয়োজন। প্রত্যেকের নিজস্ব সাংগঠনিক সীমাবদ্ধতার কারণে মেহনতী মানুষের রাস্তার আন্দোলনকে
জোরদার করতে প্রয়োজন বামপন্থীদের ঐক্য। অনেক বামপন্থী দলের শ্রেণী প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে বিচ্যুতি এবং খেটে খাওয়া মানুষের পরিপন্থী অবস্থান নেওয়ার ফলে সামগ্রিক ঐক্য সম্ভব নাও হতে
পারে। সেক্ষেত্রে সাধারণ ন্যূনতম বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নব্য গঠিত বিপ্লবী গ্রুপদেরই
এগিয়ে আসতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের স্বার্থে ইতিমধ্যেই গড়ে
ওঠা বিভিন্ন আন্দোলনে সহযোগ এবং একইসাথে এই ধরণের বিভিন্ন লড়াইয়ের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ
আন্দোলনের মঞ্চকে গঠন করতে হবে। উল্লেখ্য, এই ঐক্য মঞ্চ ব্যবহার করে সদস্য
সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের ভিত্তিতে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য রেখে মঞ্চ
দুর্বল করার সংকীর্ণতা দেখাতেই পারে কিন্তু ফ্যাসিস্ট উত্থান পর্বের কথা মাথাই
রেখে এই অজুহাতে কোনও মঞ্চে না যাওয়ার অবস্থানের বদলে নিজেদের আন্দোলনের জমিকে আঁকড়ে
ধরে এবং তা শক্তিশালী করার মাধ্যমেই এই কোন্দল প্রতিরোধ করার সাহস দেখাতে
হবে।
২। বিজেপিকে পরাস্ত করতে হলে আন্দোলন ও
নির্বাচন উভয় পথই গ্রহণ করতে হবে। বামেদের নিজেদের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার নিরিখে ফ্যাসিস্ট
শক্তিকে পরাস্ত করতে ডানপন্থী ঐক্য জোটকে সমর্থন করা প্র্যাগম্যাটিক বলে
মনে হতে পারে কিন্তু এই একই সাংগঠনিক ক্ষয়িষ্ণুতার কারণেই জনগণের সামনে আপোষমূলক অবস্থান
নিয়ে যাওয়া আত্মঘাতী প্রমাণ হতে পারে। জনগণ বামেদের আপোষে সায় দিচ্ছে নাকি
ক্ষয়িষ্ণুতা প্রত্যক্ষ করে তাদেরকে নিজেদের বিচারের ধর্তব্যেই না রেখে সাময়িক
পরিস্থিতির ভিত্তিতে ডানপন্থীদের মধ্যেকার কাউকে নির্বাচিত করছে, তা বুঝে নেওয়া
দরকার। তাছাড়া সাংগঠনিক দুর্বলতার পরিস্থিতিতে ডান জোটে ঢুকলে যে ডান দলগুলোর থেকে
পাত্তা পাওয়া কিংবা নিজেদের কথাগুলো পাশ করানো যে মুশকিল তা বিগত কয়েক বছরে স্পষ্ট হয়ে
উঠেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনে সমর্থন করে পরবর্তীতে বামেরা আন্দোলন করতে গিয়ে আরও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে তৃণমূল সরকারের হাতেই আর কংগ্রেস ও
আইএসএফ-এর সাথে হাত মিলিয়ে অন্য বামেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাও এটাই আদর্শ অবস্থান?
প্রশ্ন উঠবে, ২০২১-এ ফ্যাসিস্টদের ‘তথাকথিত’ রোধ করে ক পা এগোতে পেরেছে
বামেরা। বামেরা তখনই অন্য দলের সাথে জোট করলে লাভবান হবে যখন নিজেদের সাংগঠনিক ও
আন্দোলনগত ব্যাপ্তির ফলে সেই জোটের পার্টনার হিসেবে নিজেদের মতামত পাশ করানোর কিংবা
কিছুটা চাপিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে। সেই ইতিহাস আমাদের দেশে আছে। তাছাড়া
ফ্যাসিস্ট উত্থান পর্বে বামেদের পারস্পরিক ঐক্য প্রয়োজন আর উত্থান পরবর্তী পর্বে
ডানপন্থীদের মধ্যেকার শিবির বিভক্তিকরণের ভিত্তিতে (যদি আদেও তা হয়!) ডান-বাম জোটের
প্রাসঙ্গিকতা তৈরি হতে পারে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্যাসিস্টদের উত্থান পর্বে নয়াউদারবাদকে
তোষণকারী ফ্যাসিস্ট বিজেপি, অন্যান্য জাতীয় দল (জাতীয় কংগ্রেস) এবং আঞ্চলিক দল (তৃণমূল
কংগ্রেস প্রভৃতি)-এর বিরুদ্ধে একদিকে যেমন দরকার ক্রমাগত খেটে খাওয়া মানুষের আন্দোলনের
পথ প্রশস্ত করা, তেমনই একইসাথে পার্লামেন্টে খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি পাঠানো প্রয়োজন।
তাই বামপন্থীদের প্রয়োজন আন্দোলনগত ও নির্বাচনী ঐক্য যা সাংগঠনিক দুর্বলতার মাঝেও
আম জনতার কাছে লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। এই ঐক্যের ক্ষেত্রেও আপোষ রয়েছে
কারণ বামপন্থীদের মধ্যেও জন বিরোধী অবস্থান নেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তাই একই সাথে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের
ঘটনা, কেরালার ভিজিঞ্জাম বন্দর আদানীর হাতে তুলে দেওয়ার মত ঘটনারও তীব্র বিরোধিতা
করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন ও কৃষক ফ্রন্টের আন্দোলনের দাবীগুলো পার্লামেন্টে পৌঁছে
দিতে ওই ফ্রন্টের বামপন্থী কর্মী যারা আন্দোলন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাদের প্রার্থী
করা প্রয়োজন। এই ২নং পয়েন্টের নির্বাচন সংক্রান্ত কথাগুলো ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের
শেষ লগ্নে এসে কার্যকরী করা সম্ভব নয়, তাই যে বামপন্থীরা বিভিন্ন জোটের
অংশ হিসেবে প্রার্থী হয়েছে কেবল তাদেরকেই সমর্থন করার আহ্বান রাখা দরকার। এই প্রচারাভিযান
বর্তমান আপোষমূলক প্রেক্ষাপটে বামেদের একটি আসনেও নির্বাচনী জয় সুনিশ্চিত করে না
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী পরিসরে বামপন্থীদের আন্দোলনগত ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং সকল
অত্যাচারী ডানপন্থী শাসক দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার বার্তা অবশ্যই দেয়।
এই ঐক্য সার্বিকভাবে সম্ভব না হলে অন্তত নব্য গঠিত বামপন্থী গ্রুপদের মধ্যেকার
কো-অর্ডিনেশান একান্ত প্রয়োজন।
দীর্ঘমেয়াদী
কর্তব্য
১। শিবিরগত সংকীর্ণতা ঝেরে ফেলে উপলব্ধ তথ্য
বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির নিরিখে ভারত রাষ্ট্রের অবস্থান,
আভ্যন্তরীণ অর্থনীতির নিরিখে তার শ্রেণী চরিত্র, বিপ্লবের পর্যায়, ফ্যাসীবাদের
চরিত্র ও উগ্র ডানপন্থীদের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা
দিলে তা রাস্তার লড়াইয়ের মাধ্যমে পরোখ করতে হবে। সামগ্রিকভাবে লুটে খাওয়াদের
বিরুদ্ধে অবস্থান থাকলে এই মতপার্থক্যের জেরে আন্দোলনগত ঐক্য বিঘ্নিত না হওয়ারই
কথা।
২। শ্রমিক ও কৃষক ফ্রন্টের লড়াইকে শক্তিশালী
করতে হবে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, ক্ষেত মজুরের সাথে সাথে সংগঠিত ক্ষেত্রের পিছিয়ে
পড়া অংশের আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে। গিগ ও ঠিকা শ্রমিক, গৃহপরিচারিকা, হকার ও
অন্যান্য খেটে খাওয়া অংশের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ফ্যাসিবাদী উত্থানের পরিস্থিতিতে
ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের পথে এগোতে হবে ঠিকই কিন্তু নিজ নিজ সংগঠনের রাজনৈতিক প্রভাব
বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একক লড়াইও চালিয়ে যেতে হবে।
৩। নয়াউদারবাদের খাঁড়ার ঘায়ে চাকরির হ্রাস ঘটেছে
ব্যাপক হারে। একইসাথে বাজার অর্থনীতির প্রভাবে কমেছে মজুরী এবং ক্রমাগত চলছে বেআইনি
ছাঁটাই। বর্তমানে আমাদের রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি শিক্ষা ক্ষেত্রের কোমর ভেঙে
দিয়েছে। ছাত্রদের শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন দাবীদাওয়া নিয়ে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েরই
শিক্ষানীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যাপক বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনকে জোরদার
করে তুলতে হবে। ছাত্র ও যুব ফ্রন্টকে কর্মসংস্থানের দাবীতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বিরোধী জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে
বামপন্থীদের কোনও উল্লিখিত লড়াই শিথিল করলে চলবে না বরং তার সাথে যুক্ত হবে
বিজেপির সমস্ত জন বিরোধী পদক্ষেপ ও আইন বাতিল করার জন্য নতুন সরকারের উপর চাপ
সৃষ্টি করা।
৪। আগামী প্রজন্মকে বামপন্থী মতাদর্শের দিকে
আকৃষ্ট করতে হবে। বর্তমানে বিজেপির আইটি সেল এবং আরএসএস-এর সাংস্কৃতিক প্রচারের রমরমার
ভিত্তি হল পত্র-পত্রিকা, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম, সার্ভে ও ট্রেন্ড
অ্যানালিসিস ইত্যাদি। এই সমস্ত প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বামপন্থী আন্দোলন ও সার্বিকভাবে
বামপন্থী মতাদর্শের প্রচারের পাল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হবে।
৫। সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে মেহনতি
চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। ভারতবর্ষের শ্রেণী ইতিহাসকে অনুধাবন করতে হবে এবং ফ্যাসিস্টদের
ইতিহাস বিকৃতিকে রুখে দেওয়ার লড়াই চালাতে হবে। একইসাথে ভারতবর্ষের সংস্কৃতিতে
সামন্ততন্ত্রের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে সংস্কার আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করতে হবে।
৬। শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অধীনেই নিপীড়িতদের
(জাত/লিঙ্গ/ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রভৃতি) অধিকার আন্দোলনকে বিকশিত করতে হবে এবং তাদের
নিজস্ব দাবিদাওয়ার জন্য লড়াই চালাতে শ্রেণী সংগঠনের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি
পরিচিতিগত সংগঠনগুলিও প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭। খেটে খাওয়া মানুষের বিভিন্ন আন্দোলনগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে
এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করতে হব। আন্দোলন প্রক্রিয়াকে ক্রমাগত চালিয়ে নিয়ে
যাওয়ার মধ্যে দিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের বিপ্লবী পার্টি গঠন করতে হবে।
Picture Courtesy: PNGWing
Comments
Post a Comment