হকারি নয়, হকার উচ্ছেদ বে-আইনী!

অভিজ্ঞান চক্রবর্তী 


গত জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ। মিউনিসিপ্যালিটির সাথে পুলিশও নেমে পড়েছে বুলডোজার দিয়ে হকার উচ্ছেদের অভিযানে। উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার সরকারের বীর গাথার পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এবার সেই উপাধি পেতে বদ্ধপরিকর। গরীবের পেটে লাথি মারার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও পুলিশবাহিনীর এই জুটির জুরী মেলা ভার। আরজিকরের মর্মান্তিক ঘটনার প্রমাণ লোপাটের প্রচেষ্টায় লিপ্ত দুষ্কৃতিদের রুখতে ব্যর্থ বীরপুঙ্গব এই পুলিশের লাঠি কিন্তু খেটে খাওয়া হকারদের দোকান ভাঙতে মহান ভূমিকা পালন করে আসছে। উল্লেখ্য, বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে 'অপারেশান সানশাইন'-এর মত কুখ্যাত হকার উচ্ছেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হলেও তীব্র আন্দোলনের ফলে তা রদ হয়ে যায়। এবারে কিন্তু থামানো যায়নি। বরং এবারের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে উদীয়মান আন্দোলনকে ভোঁতা করে দিতে তৃণমূলপন্থী বামেরা সেই অপারেশান সানশাইনকেই হাইলাইট করতে ব্যস্ত। ভাবখানা এমন যেন এবারের উচ্ছেদও বামফ্রন্টই করেছে! যাই হোক...   

যুব-বিশ্বকাপের সময় থেকেই বেআইনীভাবে হকার উচ্ছেদ শুরু করে তৃণমূল পরিচালিত বিধাননগর মিউনিসিপালিটি এবং পুলিশ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে হকার শূন্য করার পরও থেমে থাকেনি এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। কখনও জোড় করে ঠেলা গাড়ি কেনানোর চাপ, তো কখনও বইমেলার অজুহাতে বিপুল হকার উচ্ছেদ... দুর্গা পুজোর সময়েও হকারদের দোকান জোড় করে বন্ধ করিয়ে সেখানে নামীদামী প্রতিষ্ঠানের স্টল লাগিয়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তাদের পুনরায় বসতে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিধাননগর, নিউ মার্কেট, টালা, টালিগঞ্জের মত জায়গায় মিউনিসিপালিটির হল্লাগাড়ি এসে কোনো নোটিশ ছাড়াই হকার উচ্ছেদ চালিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বেআইনীভাবে উচ্ছেদ হওয়া হকারেরা কখনই তাদের ব্যবসার জায়গায় ফিরে যেতে তো পারেনইনি বরং বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং এককালীন বিজেপি নেতা এবং বর্তমান ডেপুটি মেয়র সব্যসাচী দত্তর মত নেতানেত্রীরা বিভিন্ন সময়ে হকারদের থেকে লক্ষাধিক টাকা দাবী করেছেন এবং না দিতে পারায় দোকান উঠিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে হকারদের থেকে তোলাবাজির অভ্যেস তো আছেই, এর সাথে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিটা লোকাল কর্মসূচীতে হকারদের দোকান বন্ধ করে উপস্থিত হওয়ার ফতোয়া। ফলে হকারদের ওপর নিপীড়নের ডিএনএ প্রো-কর্পোরেট তৃণমূল সরকার বরাবরই বহন করে এসেছে। তাই তো ভোটের আগে মাননীয়া চাকরি না পেলে ঘুগনীর দোকান খুলতে বলেন এবং তৃণমূলপন্থী হকার সংগ্রাম সমিতি মারফৎ টাকা লুটে দেওয়া হয় হকারির সাময়িক ছাড়পত্র কিন্তু সেই মাননীয়াই ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কর্পোরেট রিটেইল চেইনকে খুশী করতে হকার উচ্ছেদ পুনরায় শুরু করেন! এবার উচ্ছেদ সারা কলকাতা শহরব্যাপী! বেশকিছু মফস্বলেও একই পলিসি... 

এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটা প্রশ্ন সামনে আসেঃ 

১। হকারদের বর্তমানে অধিকার কি আছে এবং অধিকার খর্ব করতে কি কি করা হয়েছে? 

২। হকারদের  প্রতি প্রশাসনের মনোভাব কি?

৩। হকার ছাড়া বা হকার সংখ্যা কমিয়ে দিলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে?  

৪। হকার আন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থতা 

এবারে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে তিনি হকারদের বিরুদ্ধে নন, তাই তিনি ৩০ দিনের সময় দিচ্ছেন। তিনি ২০১৮ সালের রাজ্য সরকারের Protection of Livelihood and Regulation of Street Vending Rules-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং এই Rule অনুযায়ী আধিকারিকদের সার্ভের মারফৎ টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন এবং ভেন্ডিং এবং নন-ভেন্ডিং জোন নিশ্চিত করতে বলেন। কিন্তু উচ্ছেদ করার পরে এই কমিটি গঠন করে কি হবে? কেন্দ্রের আইনে কি তাই বলা আছে নাকি?! 

২০১৪ সালের "স্ট্রীট ভেন্ডিং আইন" অনুযায়ী হকার উচ্ছেদ সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এই আইন রাজ্যগুলোকে ওয়ার্ডভিত্তিক "টাউন ভেন্ডিং কমিটি" গঠন করে সেই কমিটির সদস্যদের মারফৎ সার্ভে করে হকারদের নাম সরকারিভাবে নথিভুক্ত করে তাদের হকার সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে। যুব বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকার এই কমিটি তৈরিতে গড়িমসি করলে বিভিন্ন হকার সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নের আন্দোলনের প্রভাবে কলকাতা হাই কোর্ট ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই কার্যসম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় কিন্তু তার পরেও এ কাজ করা হয়নি। উল্টে, পরবর্তীকালে আঞ্চলিক হকার সমিতিগুলিকে হাতে রেখে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গোপনে সলাপরামর্শ করে ওই কমিটি তৈরির ঝক্কি এড়িয়ে অল্পসংখ্যক হকারদের একটি নামের তালিকা বের করা হয় যাতে মিউনিসিপ্যালিটিগুলোর অধীনে থাকা বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ হকারদের নাম বাদ পড়ে। বাদ পড়ে যাওয়াদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যারা প্রায় ১৫-২০ বছর এমনকি ৪০ বছরেরও বেশী সময় ধরে দোকান চালাচ্ছিলেন। এই তালিকাগুলো সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন ছাড়াই তৈরি করা হয়। এই টাউন ভেন্ডিং কমিটি যে আজও তৈরী করা হয়নি তা বর্তমান ২০২৪-এর সরকারী বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট! এবারে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন না করে হকার সার্টিফিকেট না দিয়েই চলছে হকার উচ্ছেদ! 

২০১৪-র স্ট্রীট ভেন্ডিং অ্যাক্ট-এ এও বলা আছে যে হকারদেরকে নন-ভেন্ডিং জোন থেকে ভেন্ডিং জোনে প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে তাদের বিক্রির পরিমাণও যেন সুরক্ষিত থাকে। বেশীরভাগ জায়গায় পূর্ণ উচ্ছেদ করেও রাজ্য সরকার যে হকারদের ৩০ দিন সময় দেওয়ার নাটক করে নিজেদেরকে হকার দরদী বলে উপস্থাপন করতে চাইছে তাও এই স্ট্রীট ভেন্ডিং অ্যাক্ট-এর বাধ্যবাধকতাতেই, নইলে এই প্রশাসন উচ্ছেদের তাড়াতেই আছে... 

দীর্ঘ সময়ে হকার সংক্রান্ত রুল তৈরীর কাজকে ফেলে রেখে ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার 'আরবান স্ট্রীট ভেন্ডার রুল' আনে যা অনুযায়ী হকারদের দোকানে আগুন জ্বালানো বা দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ! যেখানে হকারদের একটা বড় অংশই খাবারের দোকান চালান, সেখানে এই নিয়ম জারী করে উচ্ছেদেরই রাস্তা প্রশস্ত করা হয়। ফলে দমনকারী রুল এনে বারংবার হকারদের জীবনকে দুর্বিসহ করা এবং একদম বেআইনিভাবেই প্রশাসন ও পুলিশের ব্যবহার করে হকার উচ্ছেদের কাজ এই সরকার নিপুণতার সাথে করে এসেছে।

এর উল্টোদিকে বিভিন্ন অঞ্চলের হকারদের মারফৎ ক্রমাগত আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার পরেও লড়াই পরিপূর্ণতা পাইনি সংগঠনগুলির সুবিধাবাদীতা ও হকার আন্দোলনের প্রতি বেইমানির কারণে। অপারেশন সানশাইন-এর মত হকার বিরোধী প্রকল্পের পর সিপিআই(এম) আর কখনোই হকারদের মধ্যে সেই অর্থে সংগঠন গড়ে তুলতে পারেনি এবং একইসাথে হকার আন্দোলন কখনোই এই পার্টির কাছে সেই অর্থে ডি.এ বৃদ্ধির আন্দোলনের মত গুরুত্ব পায়নি। অন্যদিকে শক্তিমান ঘোষের মত শাসকের পদলেহনকারী নেতাদের "হকার সংগ্রাম সমিতি" আসলে তৃণমূলেরই শাখা সংগঠনরূপেই কাজ করে এসেছে তা সে হকারদের থেকে চাঁদা তুলে দিল্লীতে মেকি প্রোগ্রাম করে রাজ্য সরকারের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে নীরব থাকা হোক কিংবা হকারদের সাংগঠনিক সভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে আমন্ত্রণ করা হোক! 

এসবের সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে বিধাননগর পিপল'স ব্রিগেড হকার ইউনিট-এর কর্মী হিসেবে দীর্ঘসময় হকারদের সংগঠিত করার কাজে আমি যুক্ত থেকেছি। কোর্টেও লড়াই চালিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তার আন্দোলন এবং কোর্টে ক্রমাগত লড়াইয়ের ফলস্বরূপ হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে কোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়া যায়। সময়ের ফেরে কাজে মন্থরতা এলে একব্যাক্তিকেন্দ্রিক ছোট গ্রুপের নঞর্থক বৈশিষ্ট্যের ফলস্বরূপ পিপল'স ব্রিগেডের প্রধান নেতার পদলেহনকারী অংশের গ্রুপবাজি, লকডাউনের সময়ে হকারদের পাশে দাঁড়ানোয় ব্যর্থতা, লকডাউন পরবর্তী সময়ে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে নেতৃত্বের ফেমগেম-এর সস্তা রাজনীতি এই হকার সংগঠনকে অবলুপ্তির দিকে ঠেলে দেয়! তারা খ্যাতি অর্জনের তাগিদে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শ্রমিকদের লড়াই ও সাংগঠনিক বিস্তার জারী রাখার বদলে এক ধারার আন্দোলন থেকে আরেক ধারায় হপিং করতে বেশী উৎসাহী। তাই এবারের হকার উচ্ছেদের সময়ে টুঁ শব্দটি তাদের থেকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, হকার সংগ্রাম সমিতির কিছু বামপন্থী সদস্য আমাদের সংগঠন ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি পিপল'স ব্রিগেড-এ থাকাকালীন এবং সেই দলের নেতৃত্বের ব্যাক্তি স্বার্থের রাজনীতিতে মোহভঙ্গ হয়ে দল ছাড়ার পরেও হকার সংগ্রাম সমিতির ওই সদস্যদের আচরণকে তীব্র সমালোচনা করেছি। বর্তমানে ওই সদস্যদের একাংশের সাথে বাম শক্তিদের ক্রম ক্ষয়িষ্ণুতার প্রেক্ষাপটে অন্য লড়াইয়ের পরিসরে যৌথ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করার সময়ে আমরা পূর্বের সেই সমালোচনা বহাল রেখেছি এবং সরাসরি বেইমান হকার সংগ্রাম সমিতির সাথে কোনও কাজ না করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।  

রাজ্য সরকারের বর্তমান "নো হকার" পলিসি আজ সাধারণ মানুষের বিরোধিতার মুখে। কর্মরত সাধারণ মানুষের চা, সিগারেট থেকে শুরু করে সন্ধ্যার টা পর্যন্ত নির্ভর করে এই হকার দাদা বোনদের ওপরে। ফলে তাদের সরিয়ে হকারদের দোকান কমিয়ে নামীদামী কোম্পানির ফুডট্রাকের রমরমা বাড়িয়ে তোলা আসলেই এই চরম মূল্যবৃদ্ধির সময়ে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার খরচাকে আরও বাড়িয়ে তোলা। কর্পোরেটের সুবিধার্থে জনজীবনকে আরও বিপন্ন করে তোলা।

ফুড ব্লগাররা নিজেদের খ্যাতি ও রোজগারের স্বার্থে স্ট্রীট ফুড-এর প্রচার এবং এক হকারকে আরেক হকারের সাথে লড়িয়ে দিলেও হকার উচ্ছেদের সময়ে এদের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এখন নতুন রেস্তোরাঁ নিয়েই এই স্বার্থপররা ব্যস্ত... 

সরু ফুটপাথ ব্লক করে ওয়েস্ট ডিসপোজাল বসানোর রাজ্য সরকারের প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। আর প্রকৃতি সংরক্ষণের নামে প্লাস্টিক ব্যবহারের যে অভিযোগ হকারদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তার হিসাব করার আগে Style Bazaar, Reliance Smart-এর মত সংস্থাগুলির পলিথিন ব্যাগ-এর বিপণনে সরকার যে জিএসটি পায় সেই হিসাবটা করা দরকার।

তবে এই শ্রমিক বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয় বরং গোটা দেশের। কর্নাটক-এর পূর্বের বিজেপির নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেছিলেন যে হকার ব্র‍্যান্ড ব্যাঙ্গালোর-এর জন্য ক্ষতিকর। বর্তমান কর্ণাটকের কংগ্রেসের সরকারও হকার লেস সিটিরই পক্ষে। এছাড়া মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কমিশন প্রাত্যহিক হকারদের ওপর হামলা চালায়। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর এবং বেইজিং-এ জনঘনত্বের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশী হকার আছে, তারপরও এই দুই শহরই স্মার্ট সিটির তকমা ধরে রেখেছে। এমনকি ২০০৮-এর ইকোনমিক ক্রাইসিস-এর সময় চাকরি হারানো মানুষের সামনে চীনা সরকারের কালেক্টিভ ভেন্ডিং ব্যবস্থা উন্মুক্ত করার পলিসি অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল!  

সময়ের দাবীতেই সাধারণ মানুষকে দাড়াতে হচ্ছে বেআইনি হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। বামপন্থী সংগঠনগুলোকেও নিজেদের ব্যর্থতা ও বেইমানির কালো ইতিহাসকে মুছে ফেলতে হকারদের অধিকারের দাবীকে নিয়ে যেতে হবে রাজ্য তথা দেশব্যাপী হকার আন্দোলনের স্তরে। ক্রাইসিসের মুহুর্তে এই হকার আন্দোলন যে বৃহৎ কর্মসংস্থান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই কাজ করছে তা অনুধাবন করতে হবে। 

Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

ঘটনার বিবরণ নয়, উপলব্ধি জরুরী; প্রসঙ্গ আর.জি.কর

কর্পোরেট হাঙরদের হাত থেকে লাদাখকে বাঁচাও!