১৯শে মে এবং বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষা আন্দোলন

ঋচীক আশ

ভাষা আন্দোলন বলতে আমরা সচরাচর ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের আন্দোলনেরই কথা ভাবি। কিন্তু ভারতবর্ষের বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলন (১৯৬০-১৯৬১)-এর কথা আমরা অনেকেই জানি না।  

বরাক উপত্যকা আসামের বরাক নদীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। দেশভাগের আগে বৃহত্তর কাছাড় জেলা নিয়ে বরাক উপত্যকা গঠিত। বর্তমানে কাছাড় জেলাকে বিভক্ত করে তিনটি প্রশাসনিক জেলায় রূপান্তর করা হয়েছে। এগুলো হল কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হাইলা কান্দি জেলা। তৎকালে বরাক উপত্যকায় প্রায় চল্লিশ লক্ষাধিক নাগরিকের বসবাস ছিল, যার মধ্যে আশি শতাংশই ছিল বাঙালি। এছাড়া আসামের অন্যান্য অঞ্চলেও বাঙালিদের ব্যাপক বসবাস ছিল। বিশ শতকের আগেই ইংরেজরা "বিভাজন ও রাজত্ব" নীতির মাধ্যমে অসমিয়া নাগরিকদের বাঙালি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নানা ভাবে উস্কে দিতে থাকে।  


১৯৪৭ এ দেশ স্বাধীন হবার পরেও অসমিয়াদের এই মানসিকতা দূর হয়নি, বরং আরও চেপে বসে এবং তারা ভাবতে শুরু করে যে বাঙালিরা তাদের কাজের সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে, অসমিয়া সংস্কৃতিও বাঙালীদের দ্বারা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এ ধরনের মানসিক ভীতি থেকে আসামের রাজনৈতিক শাসকরা ১৯৪৭ সালের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে বাঙালি ও বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করে, বিভিন্ন আইনও প্রনয়ন করে, এবং এরই ধারাবাহিকতায় অসমিয়া ভাষাকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৬০ সালের অক্টোবর মাসে "Assam (official) Language Act (ALA-1960)" নামে এক আইন পাশ হয়।  

আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ১৯৬০-এর এপ্রিলে ঘোষণা করে যে অসমিয়া ভাষাই হবে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা। এ ঘোষণার সাথে সাথে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের মতো অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে বাঙালি অধ্যুষিত কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হাইলা কান্দি জেলায়। বাংলা ভাষীরা সংগঠিত হতে থাকে সম্মিলিত আন্দোলনের জন্য। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে যখন এ উত্তেজনার পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে, অসমিয়া জনগোষ্ঠী আসামের উত্তরে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার কামরূপ জেলায় ‘বাঙাল খেদাও’-এর নামে বাঙালিদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসলীলা চালায়। এ আক্রমণের শিকার হয়ে আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার বাঙালি পশ্চিমবঙ্গে এবং নব্বই হাজার বাঙালি বরাক উপত্যকা ও আসামের উত্তরপূর্ব অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণ করে। জাস্টিস গোপাল মেহরোত্রা কমিশনের রিপোর্টে এই অত্যাচারের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

১০ই অক্টোবর ১৯৬০ সালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চালিহা আসাম প্রাদেশিক পরিষদে অসমিয়া ভাষাকে একমাত্র দাফতরিক ভাষা হিসেবে আইন পাস করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করলে সঙ্গে সঙ্গে আসামের করিমগঞ্জ (উত্তর) থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের অন্যতম সদস্য রণেন্দ্র মোহন দাস তীব্র প্রতিবাদ করেন, ‘দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগণের ভাষাকে উপেক্ষা করে এক-তৃতীয়াংশ জনগণের অসমিয়া ভাষাকে এ অঞ্চলের দাফতরিক ভাষা হিসেবে আইন পাস করা চলবে না’। এই প্রতিবাদ সত্ত্বেও ২৪শে অক্টোবর ১৯৬০ সালে প্রাদেশিক সরকারের তোলা বিলটি পাস হয়ে যায়। 

১৯৬১ সালের প্রথম ভাগে বাংলা ভাষা আন্দোলন আবারও দানা বাঁধতে শুরু করে, বিভিন্ন গণসংগঠন তৈরি হয়, যাদের মধ্যে ‘নিখিল আসাম বাংলা ভাষাভাষী সমিতি’, ‘ভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ‘কাছাড় জেলা গণসংগ্রাম পরিষদ’ অন্যতম। এসব সংগঠন আসাম প্রাদেশিক পরিষদ কর্তৃক গৃহীত "Assam (Official) Language Act (ALA-1960)" বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। এমনকি জেলা কংগ্রেস কমিটি কর্তৃক সংগঠিত ভাষা আন্দোলন সমিতিও এ প্রতিবাদে শামিল হয়। এছাড়াও সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, সুধীসমাজ ও বুদ্ধিজীবী মহল ভাষা আন্দোলনে যোগ দেয়। প্রথমদিকে এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সভা, মিছিল, সত্যাগ্রহ, পদযাত্রা, হরতাল এবং অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। চলমান আন্দোলনকে বেগবান এবং সাধারণ মানুষের ভেতর বাংলা ভাষার দাবিকে আরও জোরালো করার লক্ষ্যে 'কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ' ২৪শে এপ্রিল ১৯৬১ সালে সমগ্র বরাক উপত্যকায় ‘পক্ষকালব্যাপী পদযাত্রা’র কর্মসূচি শুরু করে। এ পদযাত্রায় ব্যাপক মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং কাছাড় জেলার সদর শহর শিলচর থেকে শুরু করে উপত্যকার বিভিন্ন শহর ও শহরতলি এবং গ্রাম অঞ্চল ঘুরে আনুমানিক ২০০ মাইল পথ অতিক্রম করে ২রা মে আবার শিলচরে এসে শেষ হয়। 

পদযাত্রার এ কর্মসূচিতে সব বরাক উপত্যকায় ব্যাপক গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়। পদযাত্রা শেষে 'কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ'-এর সভাপতি রথীন্দ্রনাথ সেন ঘোষণা করেন, ১৩ই মে’র মধ্যে যদি বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা না হয়, তাহলে ১৯শে মে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। একইসঙ্গে তিনি অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকেও যথাযথ স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জোর দাবি জানান। আসাম প্রাদেশিক সরকার তাদের এ ঘোষণায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে ১৮ই মে গণসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি রথীন্দ্রনাথ সেনসহ ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নলিনীকান্ত দাস ও বিধুভূষণ চৌধুরীর মতো বিশিষ্ট নেতা ও প্রথিতযশা সম্পাদককে গ্রেফতার করে। 

এদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১৯শে মে হরতাল শুরু হলে উত্তেজিত জনতা খুব ভোর থেকেই কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলা কান্দি জেলায় সরকারি অফিস, আদালত ও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান গ্রহণ করে। অন্যদিকে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে এ গণজোয়ার দেখে প্রাদেশিক সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা শহরগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশের টহল নামায়। সকাল থেকে হরতালের কর্মসূচি কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছিল; কিন্তু দুপুরের পর থেকে আসাম রাইফেলস ও পুলিশ অবস্থান ধর্মঘট পালনকারীদের গ্রেফতার শুরু করলে চারদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি ক্রমেই জঙ্গিরূপ ধারণ করতে থাকে। বেলা আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের সময় পুলিশের একটি দল ট্রাকে করে ৯ ধর্মঘট পালনকারী বাঙালিকে কাঠিগড়া থেকে গ্রেফতার করে শিলচরের তারাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থানকারী উত্তেজিত বাঙালিরা ট্রাকটিকে থামিয়ে দিয়ে ঘেরাও করে ফেলে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ট্রাক ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে গেলে উত্তেজিত জনতা ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ রকম পরিস্থিতিতে তারাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রহরারত আধাসামরিক বাহিনীর একদল সদস্য জনতার ওপর চড়াও হয় এবং বেদম লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে উত্তেজনা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। ট্রাকে লাগা আগুন দেখে কাঠিগড়া থানার অফিসার রেবতি পাল "ফায়ার ফায়ার" বলে চেঁচালে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর নির্বিচারে রাইফেলের গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে কমলা ভট্টাচার্যসহ ১১ বাঙালি প্রাণ একের পর এক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই ১১ জনের মধ্যে ৯ জন ঘটনার দিন এবং পরবর্তী সময়ে আরও দু’জন তরুণ তাজা প্রাণ মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ঘটনার দিন যে ৯ জন শহীদ হন তারা হলেন : 

কানাই লাল নিয়োগী, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, হীতেশ বিশ্বাস, কুমুদ রঞ্জন দাস, সুনীল সরকার, তরণী দেবনাথ, শচীন্দ্র চন্দ্র পাল, সুকোমল পুরকায়স্থ এবং কমলা ভট্টাচার্য। ঘটনার দু’দিন পর অর্থাৎ ২১শে মে যে দু’জন শহীদ হন তারা হলেন : বীরেন্দ্র সূত্রধর এবং সত্যেন্দ্র দেব। 

উল্লেখিত ১১ শহীদের মধ্যে কমলা ভট্টাচার্য ছিলেন একমাত্র নারী ভাষাসৈনিক।  


১৯৬১ সালের ১৯শে মে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সারা ভারতব্যাপী অসন্তোষের সৃষ্টি হয় এবং আন্দোলনের দাবির পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। এ রকম পরিস্থিতিতে দিল্লির জাতীয় কংগ্রেস লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে চলমান সংকট উত্তরণে উপায় উদ্ভাবনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করে। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী নিম্নলিখিতভাবে "Assam (Official) Language Act (ALA-1960)" সংশোধনের প্রস্তাব করেন : ১. যার যার অঞ্চলে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে সরকারি ভাষা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত করা। ২. বৃহত্তর কাছাড় জেলা, পার্বত্য অঞ্চল ও প্রাদেশিক রাজধানীর সঙ্গে সরকারি পত্রালাপ বা যোগাযোগের মাধ্যম হবে ইংরেজি। ৩. প্রাদেশিক পর্যায়ে সরকারি ভাষা হিসেবে অসমিয়া ভাষার সঙ্গে ইংরেজি ভাষা চালু থাকবে এবং ৪. ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রচলিত ভাষা রক্ষার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাংলা ভাষা আন্দোলনের নেতারা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর এ প্রস্তাবে প্রাথমিক পর্যায়ে বিরোধিতা করলেও পরবর্তী সময়ে কিছুটা নমনীয় ও সতর্ক সাড়া দেন। অবশেষে আসাম প্রাদেশিক সরকার লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর প্রস্তাবের সূত্র ধরে ১৯৬১ সালের অক্টোবর মাসে "Assam (Official) Language Act (ALA-1960)" সংশোধন করে বাংলাকে কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলা কান্দি জেলায় সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু এত কিছুর পরেও লাল বাহাদুর তথা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের উগ্র প্রাদেশিকতা ও ঔপনিবেশিক হ্যাং ওভারেরই পরিচয় দেয়। আচ্ছা, বাংলা ও অসমিয়া ভাষার মধ্যে সমঝোতা করা হল, তাও আবার কার মাধ্যমে না ইংরেজি! এমনকি কায়দা করে প্রাদেশিক পর্যায় থেকেও বাংলাকে উধাও করে দেওয়া হল। বাংলা ভাষার মাসি অসমিয়াকে প্রায় একই হরফ থাকা সত্ত্বেও আবারও লড়িয়ে দেওয়া হল বাঙালিদের বিরুদ্ধেই। উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা সাহেবদের গোলামির প্রতীক স্বরূপ ইংরেজিকে বরণ করে নিল আর জঠর জ্বালায় জ্বলতে হল খেটে খাওয়া বাংলা ভাষীদের।   

১৯৬০-৬১ এর এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি তার ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে পেরেছিল ১১টি তাজা প্রাণের বিনিময়ে। কিন্তু এই শেষ নয়, আসাম তথা সারা ভারতবর্ষ জুড়েই বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষীর উপর আক্রমণ নেমে এসেছে বার বার, বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে আরও বেশি পরিমাণে। ১৯৬০ সালে অসমিয়ারা বাঙালীর উপর যে অত্যাচার নামিয়ে এনেছিল, বিজেপি সরকার এনআরসি ব্যবহার করে খেটে খাওয়া বাংলা ভাষীদের উপর আরও বেশি পরিমাণে অত্যাচার নামিয়ে আনছে, অমিত শাহ বাঙালীদের উইপোকার সাথে পর্যন্ত তুলনা করছে। হেজিমনিক পদ্ধতিতে বাঙালী ও অন্যান্য ভাষার মানুষের মধ্যে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন টিভি সিরিয়াল ও অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে। অপরদিকে, বাংলা ভাষার এই দুর্দশা থেকে বাংলাকে "উদ্ধার"-এর নামে তৃণমূলের কিছু গোষ্ঠী উগ্র বাঙালি জাতিয়তাবাদী রাজনীতি করছে ভোটবাক্সের লোভে। বাংলার নতুন জেনারেশন বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি তুলে ধরার বদলে ক্রমশ বিশ্বায়নের কবলে পড়ছে, হিন্দি ও ইংরাজির দিকে ঝুঁকছে বেশি। 

সমস্ত কিছু দেখে একটা জিনিস সবার কাছেই ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে, বা নিদেনপক্ষে হওয়া উচিৎ, এত আত্মত্যাগের মাধ্যমে ও লড়াই করে আহরিত আমাদের এই গর্বের সংস্কৃতিকে রক্ষার দায়িত্ব আমরা এখুনি না নিলে, আত্মবিস্মৃত মধ্যবিত্ত বাঙালি এবং খেটে খাওয়া বাংলা ভাষীরা তাদের নিজেদের ভাষাও একদিন হারাবে।

Comments

  1. অসাধারণ তথ্য। share করার জন্য ঋচিক কে জানাই অনেক শুভেচ্ছা।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার