বিয়ন্ড আ বাউন্ডারি

সুমিত গাঙ্গুলি 



সিরিল লায়নেল রবার্ট জেমস। সি এল আর জেমস।জন্মেছিলেন, ত্রিনিদাদে, ১৯০১ সালে। কুইন্স রয়াল কলেজে পড়তে পড়তে ক্রিকেট ও atheletics-এ দক্ষতা অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রাজুয়েট হয়ে স্কুল টিচার হন ১৯২০ সালে। মূলতঃ ইংরেজি আর ইতিহাস পড়াতেন। এই সময় বেকন গোষ্ঠীতে যোগ দিয়ে কিছু ছোট গল্প রচনা করেন।

১৯৩২ সালে ল্যাঙ্কশায়ার লিগে খেলতে ব্যস্ত লিয়ারী কনি তাকে নেলসনে ডেকে পাঠান। স্যার লিয়ারীর আত্মজীবনী 'ক্রিকেট অ্যান্ড আই' লিখতে সাহায্য করার জন্য। কথা দেন জেমস তখন যে বই লিখছেন, তা প্রকাশ করতে সাহায্য করবেন। সেই বইটির নাম 'লাইফ অফ ক্যাপ্টেন কিপ্রিয়ানী'। এই কিপ্রিয়ানী ছিলেন জেমসের ত্রিনিদাদে র এক শ্রমিক নেতা, যিনি মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলতেন।

'লাইফ অফ ক্যাপ্টেন কিপ্রিয়ানী- দ্য কেস ফর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সেলফ গভর্নমেন্ট' লেখার পরেই তাঁকে 'ইন্টারন্যাশনাল আফ্রিকান ফ্রেন্ডস অফ আবিসিনিয়া' এর সম্মানিত চেয়ার দেওয়া হয়। এরপরে ১৯৩৪ সালে তিনি হাইতির সফল দাস বিদ্রোহের নেতা তু সাঁ লাভর্তু এর ওপর তিন অংকের নাটক লেখেন।

১৯৩৬ সালে জেমস একটি উপন্যাস লেখেন। নাম ছিল 'মিন্টি অ্যালে'। ততদিনে অবশ্য তিনি ম্যাঞ্চেস্টার গার্ডিয়ানের ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট হয়ে গেছেন (১৯৩৩)।

ইতিমধ্যে তিনি কিছু মার্ক্সবাদীদের সংস্পর্শে এসে একটি ট্রটস্কিপন্থী গোষ্ঠী 'ইনডিপেনডেন্ট লেবার পার্টি'-র সঙ্গে যুক্ত হন। ঠিক এই সময়েই ইতালির ফ্যাসিবাদী শক্তি আবিসিনিয়ার ওপর হামলা করে , যাঁর বিরুদ্ধে লড়তে I A F A নাম বদলে হয়ে যায় I A F E (International African Friends of Ethiopia)। ১৯৩৭ সালে আবার নাম পাল্টে হয় Internasional African sevice Bureo যাঁদের নিউজলেটার সম্পাদনা করতেন জেমস।

১৯৩৮ সাল ছিল জেমসের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরেই প্রকাশিত হয় 'ব্ল্যাক জ্যাকোবিন : তু সাঁ লাভর্তু অ্যান্ড দ্য সান ডমিনিগো রেভলিউশন'। নিঃসন্দেহে 'আফ্রিকান ডায়াসপোরা' বুঝতে এই বইয়ের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৩৮ সালে আরো দুটি ঘটনা ঘটে। প্রথমেই তিনি ইনডিপেনডেন্ট লেবার পার্টি ছেড়ে দেন। তারপরেই তিনি 'রেভলিউশনারী সোস্যালিস্ট লীগ' নামে পৃথক একটি গোষ্ঠী তৈরি করেন। এই দলটি প্রথম থেকেই একাধিক গোষ্ঠীবিভক্ত ছিল, যেমনটা ট্রটস্কিপন্থী দল গুলিতে থাকে।

এই বছরেই চতুর্থ আন্তর্জাতিকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাখা সোস্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টি তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানায়। তিনিও পাড়ি দিলেন। এই কিছুদিন বাদেই তাঁর দেখা হয় লিও ট্রটস্কির সঙ্গে।

১৯৩৯ সালে যখন জেমসের ট্রটস্কির সঙ্গে দেখা হলো , তখন অন্ততঃ তিনটি বিষয়ে মতভেদ হয়েছিল।

(১) ট্রটস্কি মনে করতেন সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই সময় একটি 'ডিজেনারেটেড ওয়ার্কার্স স্টেট'। কিন্তু জেমস তা মানতে নারাজ। তিনি একধাপ এগিয়ে সোভিয়েত কে 'স্টেট ক্যাপিটালিস্ট' বলে মনে করতেন।

(২) ট্রটস্কি সোভিয়েতের পিছিয়ে পড়া জাতি গোষ্ঠীর বিশেষ অধিকার নীতিকে সমর্থন করতেন, ফলে 'নিগ্রো কোশ্চেন'-এর ক্ষেত্রে তিনি একান্ত ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্ব তুলে আনার পক্ষে ছিলেন। জেমসের বক্তব্য ছিল, কৃষ্ণাঙ্গদের স্বাধীন স্বনির্ভর আন্দোলন।

(৩) ট্রটস্কি মনে করতেন খেলাধুলা আসলে শ্রমিক শ্রেণিকে ভুলিয়ে রাখে, জেমস এই বক্তব্যের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। তাঁর স্পষ্ট মত হলো খেলাধুলাও আসলে লড়াইয়ের উপাদান। রাজনীতির মঞ্চ।

এবাদেও নিজেকে লেনিনবাদী বললেও জেমস বিপ্লবী পার্টির ভ্যানগার্ড ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন।

এরপরেই তিনি এস ডব্লু পি দলের মধ্যে রায়া কায়ানভস্কয়া ও গ্রেস লির সঙ্গে জোট বাঁধেন। নিজে ছদ্মনাম নেন জনসন, রায়া নিজে ছদ্মনাম নেন ফরেস্ট। এই দুজনের মতকে 'জনসন-ফরেস্ট' টেন্ডেন্সি বলে উল্লেখ করা হয়।

ক্রমাগত অবস্থান পাল্টাচ্ছিলেন জেমস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রকাশ্যে রাশিয়া কে 'স্টেট ক্যাপিটালিস্ট' বলা, এমনকি ১৯৪৯ সালে বিপ্লবী পার্টির ভ্যানগার্ড ভূমিকার কথা অস্বীকার তো বটেই, ভ্যানগার্ড পার্টির ধারণাই মানলেন না। ফলে ট্রটস্কি পন্থা ছেড়ে দেন, এবং নতুন ভাবে একটি গোষ্ঠী তৈরী করেন 'করেস্পন্ডেন্স পাবলিশিং কমিটি' নামে।

পরে জনসন ফরেস্ট টেন্ডেন্সি ভেঙে যায়। রায়া আসতে আসতে মাও এর তৃতীয় বিশ্বের লাইনে চলে যান। তখন ১৯৬৩ নাগাদ মার্টিন গ্ল্যাবর্ম্যান তৈরি করেন জনসনিয়ান মতের নতুন গোষ্ঠী 'ফেসিং রিয়ালিটি'। তখন অবশ্য জেমস ইংল্যান্ডে। তিনি সেখান থেকেই পরামর্শ দিতেন। ১৯৭০ সালে এই গোষ্ঠী ডিজলভ হয়, জেমসের যদিও আপত্তি ছিল।

১৯৬৩ সালে জেমস তাঁর সুবিখ্যাত গ্রন্থ 'বিয়ন্ড আ বাউন্ডারি' রচনা করেন। বহুলপঠিত এই গ্রন্থ প্রায় সকলেই পড়েছেন, কিন্তু আলোচনা অত্যন্ত কম হয়, অন্ততঃ বাংলায়। আজকাল ক্রিকেট বিষয়ক রচনার পরিমান অনেক বেড়েছে, অনেকেই খুব ভালোই লেখেন। কিন্তু অভিষেকদা বা অরুণাভদা ছাড়া কাউকে তেমন একটা আলোচনা করতে দেখি না এই বিষয়ে। শুধু একটা উক্তি খুব ব্যবহৃত হয় - 'what do they know of cricket who only cricket know'। এটি অরুণাভদার মতে দ্বিতীয় বহুল ব্যবহৃত ক্রিকেটিয় উক্তি। প্রথম টা হলো 'নেভিল কার্ডসের 'স্কোরবোর্ড হল গাধা'। ঘটনাচক্রে দুটো উক্তিই মূলতঃ তাঁরাই ব্যবহার করেন, যাঁদের ক্রিকেট সম্পর্কীয় বোঝাপড়ায় ঘাটতি আছে। ঘাটতি ঢাকার জন্যই এই উক্তির ব্যবহার।

'বিয়ন্ড...' অনেকেই পড়লেও ভালো ভাবে ক'জন পড়েছেন, তা নিয়ে প্রবল সন্দেহ আছে। গতবছর অরুণাভদার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল, অভিষেকদা আর অংশুমান-এর সঙ্গে একটা পোস্টের কমেন্ট কে ঘিরে। অরুনাভদার কথা মতো বইটা ভালো করে পড়ে দেখি সত্যি কিছু সমস্যা আছে।

অদ্ভুতভাবে জেমস ক্রিকেটে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের মধ্যের দ্বন্ধকে 'গ্রিক ট্রাজেডি'-র সঙ্গে তুলনা করেছেন। দুটোই দ্বন্দ্ব, কিন্তু মোটেই একরকমের নয়।

তাছাড়া গোটা বইটা দাঁড়িয়ে আছে 'ভিক্টরিয় যুগে'-র ধ্রুপদী উদারনীতির 'কল্পিত ধারণার' ওপর। এই পদ্ধতি হুবহু বেনেডিক্ট অ্যান্ডারসনের 'প্রিন্টেড ক্যাপিটালিসম' এর সঙ্গে মিলে যায়। এই সূত্র ধরেই জেমস দেখিয়েছেন ভিক্টরীয় আদর্শ ও এডয়ার্ডিয়ান প্রস্প্যারিটিই হলো 'ক্রিকেটে স্বর্ণযুগ' যখন বীরত্বপূর্ন ব্যাটিং হতো, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে ধ্বসে যায়। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ইউরোপ জুড়ে কেইনসীয় অর্থনীতির উত্থান-পতন চলছে তখন -কাউড্রে -মে- গ্রেভনীর রক্ষণাত্মক ব্যাটিং চালু হয় । ঘটনা হলো রামচন্দ্র গুহ তাঁর 'স্টেটস অফ ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে' তিন বিজয়ের ব্যাটিং কেও প্রায় একই আখ্যা দিয়েছেন, বহুদিন আমিও এই ফ্যালাসি তে ভুগছিলাম। ঘটনা হলো, প্রাক বিশ্বযুদ্ধ পর্বে (উনিশ শতকে বা বিশ শতকের প্রথম দিকে) রক্ষণাত্মক ব্যাটসম্যান যেমন ছিল , বিশ্বযুদ্ধ উত্তর - পোস্ট কলোনিয়াল পর্বেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এর বহু নজির আছে।

এই গ্রন্থে জেমস ,হ্যাডলি-ব্র্যাডম্যানের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইল্টন হিল কে তুলে এনেছেন। প্রথম দুজনের ব্যাটিং -এর সামনে ইনি তুচ্ছ মাত্র ব্যাটসম্যান। টেস্টে কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই, গড় ১৯.৫০। প্রথম শ্রেণির খেলায় ২০০০ রানও নেই। গড় মাত্র ২৭। ভাবা যায়!!!! অথচ ক্ষোদ ওয়েস্ট ইন্ডিজেই অনবদ্য ব্যাটসম্যান ছিল।

সবথেকে বড় কথা তথাকথিত স্বর্ণযুগের ক্রিকেট কে তিনি প্রাচীন গ্রীক অলিম্পিকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এখানেই বড় সমস্যা।

প্রথমতঃ প্রাচীন অলিম্পিকে কোন মেজারমেন্ট সিস্টেম ছিল না। পরিসংখ্যান তো নয়ই। অথচ, ক্রিকেট সম্পূর্ণ ভাবে পরিসংখ্যান নির্ভর একটি খেলা, একেবারে জন্মলগ্ন থেকে।

দ্বিতীয়ত: অলিম্পিকে জয়ী ক্রীড়াবিদ যে বিশাল পুরস্কার পেতো, তাতে তাঁর একাধিক বছর চলে যেত। সঙ্গে বহু উপহার, ধন-সম্পত্তি। ক্রিকেটে এমন কিছু ছিল না।

তৃতীয়তঃ প্রাচীন অলিম্পিকে পরাজিতদের কোনও স্থান ছিল না, কেউ তাঁদের খুব একটা মনে রাখতো না। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম দিকের পরাজয়ের ভগ্নস্তূপে একা বীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন জর্জ হ্যাডলি। যাঁকে নিয়ে জেমস পাতার পর পাতা লিখেছেন। এমন ব্যাপার অলিম্পিকের যুগে হলে লোকে আজব কিছু ঘটতে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো।

চতুর্থত : প্রাচীন গ্রিস ভয়ঙ্কর শ্রেণি বিভাজিত ছিল। সমাজের মূল ভিত্তি ছিল দাস ব্যবস্থা। যে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জেমস ও পূর্বপুরুষগণের জন্মসূত্রে শত্রুতা।

'গ্রূন্ডিচে'- তে মার্কস যেভাবে রুশোর সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট কে 'রবিনসোনিয়'(রবিনসন ক্রুসো) আখ্যা দিয়েছেন, এই বইটিও সেই আখ্যা পাওয়ার যোগ্য।

উপরন্তু সারাজীবন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে আসা জেমস, কিপলিং (জাঙ্গল বুকের লেখক, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সাম্রাজ্যবাদের এমন দালালি করেন, যে রবীন্দ্রনাথ এঁদের 'শিয়াল কুকুরের চিৎকার' বলে আখ্যা দেন) এর মতো সাম্রাজ্যবাদীর লাইন ধার করে লিখেছিলেন ' what do they....)। মূল লাইনটি ছিল 'what do they know of England who only England know'।

সাধে কি আর ভি এস নাইপাল বলেছিলেন , 'কুড়ি বছর আগে কেউ লিখলে মনে করা যেত তিনি obe বা mbe পাওয়ার জন্য লিখছেন।

একথা ঠিক যে বিশ্বজোড়া ফ্যাসিবাদ ও আন্তর্জাতিক সংগ্রামের একজন মহান যোদ্ধা তথা কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের অগ্রগামী নেতৃত্ব ছিলেন সি এল আর জেমস। কিছুটা 'অটোনমিস্ট মার্কসিস্ট' ছিলেন। স্টালিনীয় দ্বন্দবাদ কে খারিজ করেছিলেন প্রথম থেকেই, পরের দিকে লেনিনিয় পার্টি মডেল থেকেও বেরিয়ে যান, এককালে ট্রটস্কিপন্থী থাকলেও শেষের দিকে ছিলেন না। স্তালিন মডেল তো বটেই, এমনকি 'গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা'-র ট্রটস্কিপন্থী মডেল ও তিনি পছন্দ করতেন না। তবে মার্ক্সবাদী ছিলেন শেষ অবধি।

উত্তর-উপনিবেশবাদী সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ জেমসের রচনায় সাব-অল্টারন প্রভাব আছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফেডারেশনের মূল প্রবক্তা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক আনার দাবিকে কেন্দ্রীয় দাবিতে পরিণত করা তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিজেকে তিনি একজন তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক সক্রিয় কর্মী হিসেবে দেখাতে চাইতেন, অথচ অর্ধেক জীবন ক্রিকেট নিয়ে লেখালিখি করে কেটেছে।

এর স্বাভাবিক পরিণতি - বিয়ন্ড আ বাউন্ডারি। সেই কারণেই বইটিতে সমস্যা রয়ে গেছে। এই সমস্যা অন্য বই গুলিতেও রয়েছে অল্প-বিস্তর। একে ইংল্যান্ডে গিয়ে অনেক পড়ে কমিউনিস্ট সংস্পর্শে আসা, তায় 'দাস ক্যাপিটাল' বহু পরে পাঠ করা (ক'জন পুরো পড়ে? বা আদৌ পড়ে? পড়লেও বোঝে?) একজন ব্যক্তি। যাঁর বামপন্থী রাজনৈতিক বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে ৩০ বছরের বেশি বয়সে, এই সমস্যা গুলো তাঁর স্বাভাবিক।

কিন্তু ব্ল্যাক ইমানসিপেশনের প্রবক্তা, কালো মানুষের লড়াইয়ের পুরোধা জেমস চিরকাল তাঁর ন্যারেটিভ নিয়ে ক্রিকেট সাহিত্যে অমর হয়ে থাকবেন।

Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

ঘটনার বিবরণ নয়, উপলব্ধি জরুরী; প্রসঙ্গ আর.জি.কর

কর্পোরেট হাঙরদের হাত থেকে লাদাখকে বাঁচাও!