প্রসঙ্গ বিহার বিধানসভায় পুলিশ প্রবেশঃ বাংলাকেও কি বিজেপি পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করবে?

সায়ন নন্দী



বিহার বিধানসভাতে ২৩ ও ২৪  মার্চ একটি বিশেষ আইন পাশ করানো হয়। যার নাম 'স্পেশাল আর্মড ফোর্স অ্যাক্ট'। বিহার বিধানসভাতে যেহেতু পক্ষে এবং বিপক্ষে বিধায়কের সংখ্যার তারতম্য মাত্র ১৩ জনের, সেজন্য নীতিশ কুমারের সরকারকে বেশ বেগ পেতে হয় আইনটি পাশ করাবার ক্ষেত্রে। বিরোধীরা এই আইনের বিরুদ্ধে তুমুলভাবে বিক্ষোভ গড়ে তোলে বিধানসভাতে। স্পীকারকে যখন ঘেরাও করে ফেলে ঠিক সে সময়তে নীতিশ কুমার বলপূর্বকভাবে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে বিধানসভার ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেন যা নজিরবিহীন। 

বিধায়কদের পুলিশ দিয়ে খেদিয়ে নীতিশ সরকারকে ধণী ভোটের মাধ্যমে আইনটি পাশ করাতে হয়। বিরোধীরা পরর্বতী দিন অর্থাৎ ২৪শে মার্চ বনধ ঘোষণা করে।  

জেনে নেওয়া যাক এই আইন সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য - 

বিহারে এই আইনের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী যে কোনো সময় যে কোনো ব্যাক্তিকে সন্দেহের বশে গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে । 

● বিহারে এ আইনের মাধ্যমে পুলিশ যদি কাউকে গ্রেপ্তার করে সন্দেহের বশে, অভিযুক্ত পক্ষ কোর্টে গিয়ে এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করতে পারবে না। স্হানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মীমাংসা করতে হবে যার অর্থ কোর্টের চেয়েও বেশী ক্ষমতা প্রদান করা হচ্ছে পুলিশকে। 

বাংলাকে যারা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, ঠিক তারাই পার্শ্বর্বতী রাজ্যে এহেন ঘৃণ্য আইন পাশ করাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী চিন্তাধারাকে এবং শাসনকে আটকানোর জন্য বিরোধী কন্ঠস্বরকে জোরালো থেকে আরো জোরালো হতে হবে। প্রতীকী প্রতিবাদের পথ ছেড়ে রাস্তায় নেমে সাধারণ নিপীড়ত মানুষের মাঝে মিশে গিয়ে তাদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে।

Picture Courtesy: Zee News

Comments

Popular posts from this blog

ফ্যাসিবাদের উত্থানের যুগে সুবিধাবাদের রমরমা

কমিউনিস্ট পার্টি ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা : কমঃ শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর কলমে

কেন্দ্র সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ – একটি শিক্ষা বিরোধী ইস্তেহার