Posts

Showing posts from May, 2024

তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা নীতি

Image
বিশেষ আলোচনা বর্তমানে এই রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে নতুন করে প্রবন্ধ লেখার দরকার পড়ে না। আলাদা করে সার্ভে করার দরকার পড়ে না এটা জানতে যে রাজ্যের সাধারণ মানুষ শিক্ষার হাল সম্পর্কে ক্ষুব্ধ কিনা। একদিকে শিক্ষার মান কমছে, আর অন্যদিকে চলছে ব্যাপক নিয়োগ দুর্নীতি। একদিকে পড়ুয়ার অভাবে ৮,২০৭টি সরকারী ও সরকারী অনুদান প্রাপ্ত প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ করার ঘোষণা করছে তৃণমূল সরকার আর অন্যদিকে হবু শিক্ষকরা নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে পুলিশের হাতে মার খাচ্ছে। আর এসবের মাঝে তৃণমূল সরকার ২০২৩-২৪ বাজেটের শিক্ষা খাতে ১৬.৫% বরাদ্দের থেকে ২০২৪-২৫ বাজেটে তা ১৫.৬%-এ কমিয়ে আনছে। কিন্তু ‘লেসার ইভিল’ তত্ত্বায়ণের চক্করে এসব কিছুই এখন তথাকথিত প্রগতিশীল মহলের বলা মানা। শিক্ষার প্রসঙ্গ উঠলেই নয় কেন্দ্র সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতি আর নইলে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের শিক্ষা নীতি নিয়ে ভাষণ দেওয়ার ছলনা চলছে। বামফ্রন্টের আমলের শিক্ষা ব্যবস্থার বহু ত্রুটি ও সমস্যা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতির সাথে তার পার্থক্য এখানেই যে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে সরকারী শিক্ষা ক্ষেত্র, একেবারে ভেঙে

বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বামপন্থীদের কিছু আশু এবং দীর্ঘমেয়াদী কর্তব্য

Image
অভিজ্ঞান চক্রবর্তী এই আলোচনা মূলত ভারতীয় প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে। বেশকিছু বক্তব্যের বিশদ বিশ্লেষণে যাওয়া হয়নি কারণ সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বহু প্রবন্ধ পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে এবং আগামীদিনে পুনরায় প্রকাশিত হবে। নয়াউদারবাদী অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত সংকট প্রকোপ ফেলছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। একদিকে দেশের পুঁজিপতিদের সম্পত্তি বেড়েই চলেছে আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের যুবাদের বেকারত্ব। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংকটের মুহূর্তে ধনপতিদের মুনাফা অক্ষুণ্ণ রাক্ষার স্বার্থে পার্লামেন্টে পাশ করেছে একের পর এক খেটে খাওয়া মানুষের বিরোধী বিল। উল্লেখ্য, অন্যান্য জাতীয় এবং আঞ্চলিক ডানপন্থী দলগুলোর (জাতীয় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, শিব সেনা প্রভৃতি) বিনা বিরোধিতা কিংবা প্রতীকী বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে সেই আইনগুলো পাশ করানো হয়েছে। ধনীদের এই সোশ্যাল অর্ডার তৈরি করা হচ্ছে এমন একটা সময়ে যখন বিশ্ব অর্থনীতি এবং তার ভারতীয় শাখাও সংকটে রয়েছে। এমতাবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর সংকটের বোঝা চাপানোর জন্য মতাদর্শগত ও অর্থনৈতিক পন্থাগুলো বাস্তবায়িত করতে কাজে লাগছে ফ্যাসিস্ট প্রবণতা সম্পন্ন গেরুয়া শিবির। কি

কর্পোরেট হাঙরদের হাত থেকে লাদাখকে বাঁচাও!

Image
রুমেলা দেব   ভারতের নব্য কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল লাদাখের পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র সরকারের থেকে চার দফা ন্যায্য দাবি আদায় করতে লাদাখবাসীর গণঅনশনের বিষয়ে দেশের মানুষ পরিচিত রয়েছেন। প্রতিবাদের প্রধান মুখ সোনাম ওয়াংচুক-কে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষ একত্রিত হয়েছেন। তিনি লাদাখের একজন বিখ্যাত পরিবেশবিদ, শিক্ষা সংস্কারক এবং সমাজকর্মী। বলিউডের রূপোলী পর্দাতেও তাঁকে অনুকরণ করে "3 Idiots"-এর ফুংসুক ওয়াংড়ু (র‍্যাঞ্চো)-র চরিত্রে আমির খানকে দেখা গেছে। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি বলেন "আমি সিনেমায় নই বাস্তবে বাঁচি। আমাদের দেশের অধিকতর লোক সিনেমা এবং ক্রিকেট নিয়ে এত বিভোর যে তারা সেখানেই আবিষ্কার করতে চান ও জিততে চান"। তিনি ফ্রান্স থেকে "Earthen Architecture"-এর প্রশিক্ষণ গ্ৰহণ করেন। তাঁর "Ice Stupa" খ্যাতি অর্জন করেছে। বড় বড় বরফের খন্ডকে একত্রিত করে কৃত্রিম তুষারস্রোত সংরক্ষিত করে রাখা হয় যাতে গ্রীষ্মের মরশুমে জলের অভাব চলাকালীন বরফ গলে সেচের কাজে লাগতে পারে। এছাড়াও বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'SECMOL'-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর ন

ফিরে দেখা ১০টা বছর: প্রজাতন্ত্রের সংকট

Image
অনন্যা দেব ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে ভারতবাসীকে শপথ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজত্বে ভারতবর্ষের প্রজাতন্ত্র যে আজ সংকটে তা বলাই বাহুল্য। আজ একইসাথে সংকটে ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনাগুলিও। ২০১৪ সাল থেকে আজ অবধি কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীনে ভারতবর্ষের হাল কিরূপ হয়েছে তা আরেকবার ফিরে দেখা যাক এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে। ১। ২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করেই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন। রাতারাতি সারা দেশ জুড়ে ডিমোনিটাইজেশন বা   নোটবন্দী   চালুর ফলে জনগণের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ইনসিকিওরিটি স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়। রাস্তায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বয়স্কদের মৃত্যু, মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করলে ব্যাঙ্কের সামনেই পুলিশের নাগাড়ে লাঠিচার্জ, হসপিটালের বিল মেটাতে না পারায় মৃত্যু, এসবের টুকরো টুকরো ছবি সারা দেশ জুড়ে ভেসে ওঠে। এখন প্রশ্ন হল, কোন বিষয়গুলির ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী জোড় গলায়

ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামে বামেরা কোথায়?

Image
শংকর স্বাধীনতা-উত্তর সময়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। বামপন্থী দলগুলি এখনও সমস্বরে একটা খুব সাধারণ কথা বলে উঠতে পারেনি, যা কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বারবার বলে চলেছেন। কথাটা হল এই যে, এই নির্বাচন আর পাঁচটা নির্বাচনের মত নয়। এই নির্বাচন ফ্যাসিবাদের কবলে সম্পূর্ণভাবে আমাদের দেশ চলে যাবে কি না তা ঠিক করার নির্বাচন। ফ্যাসিকরণের যে প্রক্রিয়া ২০১৪ সাল থেকে ভারতে শুরু হয়েছে তা বর্তমানে সর্বোচ্চ বিন্দুতে আরোহন করেছে এবং এবারের নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ভারতে ফ্যাসিবাদী শাসন পুরোদস্তুরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। এই সোজাসাপটা কথাটা বামপন্থীদের অধিকাংশ সংগঠন বলতেই পারছে না। কেন বলতে পারছে না? এর কারণ হল অন্তত দুটি বিষয় নিয়ে বামপন্থীদের একটা বড় অংশ, বিশেষ করে কমিউনিষ্ট বিপ্লবীরা একেবারে বিভ্রান্ত ও ভ্রান্ত রাজনৈতিক অবস্থান ও ভাবনাচিন্তায় আছে। সেদুটি হল ফ্যাসিবাদ এবং নির্বাচনে কমিউনিষ্ট বিপ্লবীদের কর্তব্য। আর যেহেতু এই ভ্রান্তি এবং বিভ্রান্তির কারণে তাঁরা ফ্যাসিবাদের বিপদকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারছেন না তাই তাঁরা দেশের এই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে কার্