দেশপ্রেমী
প্রভাত পট্টনায়ক আমরা একটি উদ্ভট পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করছি। এরকম উদাহরণ পাওয়া যায় যেখানে গ্রাহকরা খাদ্য শষ্যের ফলন চান জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থায় সরবরাহের জন্য, অন্যদিকে উৎপাদকরা অর্থকরী শস্যে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলস্বরূপ আর্থিক লাভের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে তা করতে নারাজ হন। সরকারকে এই বিরুদ্ধ স্বার্থের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে হয়। তবে ভারতে বর্তমানে কৃষকরা খাদ্য শষ্য ফলনের থেকে সরে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা পোষন করছেন না, এমনকি গ্রাহকরাও চান যে জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমেই খাদ্য শষ্য সরবরাহ করা হোক। তাদের মধ্যে কোনও স্বার্থের বিরোধ নেই যে সরকারকে মধ্যস্থতা করতে হবে। তবুও, সরকার কৃষকদের খাদ্য থেকে অর্থকরী শষ্য ফলনের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে যা জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থাকেই নষ্ট করবে। এই পরিবর্তন কার্যকর করাই কৃষি আইনগুলির লক্ষ্য। সরকারী অর্থনীতিবিদ, যাঁরা এই আইনগুলির পক্ষে কথা বলছেন, তাঁরা এই পরিবর্তনের সুবিধার উপর জোর দিয়ে চলেছেন। এখানকার সরকার জনগণের মধ্যেকার স্বার্থের বিরোধের মধ্যস্থতা করছে না; স্পষ্টতই সরকারের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে, যা সে উৎপাদক এবং গ্রাহকদের নির্বিশেষে জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্