Posts

Showing posts from March, 2021

প্রসঙ্গ বিহার বিধানসভায় পুলিশ প্রবেশঃ বাংলাকেও কি বিজেপি পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করবে?

Image
সায়ন নন্দী বিহার বিধানসভাতে ২৩ ও ২৪  মার্চ একটি বিশেষ আইন পাশ করানো হয়। যার নাম 'স্পেশাল আর্মড ফোর্স অ্যাক্ট'। বিহার বিধানসভাতে যেহেতু পক্ষে এবং বিপক্ষে বিধায়কের সংখ্যার তারতম্য মাত্র ১৩ জনের, সেজন্য নীতিশ কুমারের সরকারকে বেশ বেগ পেতে হয় আইনটি পাশ করাবার ক্ষেত্রে। বিরোধীরা এই আইনের বিরুদ্ধে তুমুলভাবে বিক্ষোভ গড়ে তোলে বিধানসভাতে। স্পীকারকে যখন ঘেরাও করে ফেলে ঠিক সে সময়তে নীতিশ কুমার বলপূর্বকভাবে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে বিধানসভার ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেন যা নজিরবিহীন।  বিধায়কদের পুলিশ দিয়ে খেদিয়ে নীতিশ সরকারকে ধণী ভোটের মাধ্যমে আইনটি পাশ করাতে হয়। বিরোধীরা পরর্বতী দিন অর্থাৎ ২৪শে মার্চ বনধ ঘোষণা করে।   জেনে নেওয়া যাক এই আইন সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য -  ● বিহারে এই আইনের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী যে কোনো সময় যে কোনো ব্যাক্তিকে সন্দেহের বশে গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ।  ● বিহারে এ আইনের মাধ্যমে পুলিশ যদি কাউকে গ্রেপ্তার করে সন্দেহের বশে, অভিযুক্ত পক্ষ কোর্টে গিয়ে এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করতে পারবে না। স্হানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মীমাংসা করতে হবে যার অর্থ কোর্টের

বিয়ন্ড আ বাউন্ডারি

Image
সুমিত গাঙ্গুলি  সিরিল লায়নেল রবার্ট জেমস। সি এল আর জেমস।জন্মেছিলেন, ত্রিনিদাদে, ১৯০১ সালে। কুইন্স রয়াল কলেজে পড়তে পড়তে ক্রিকেট ও atheletics-এ দক্ষতা অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রাজুয়েট হয়ে স্কুল টিচার হন ১৯২০ সালে। মূলতঃ ইংরেজি আর ইতিহাস পড়াতেন। এই সময় বেকন গোষ্ঠীতে যোগ দিয়ে কিছু ছোট গল্প রচনা করেন। ১৯৩২ সালে ল্যাঙ্কশায়ার লিগে খেলতে ব্যস্ত লিয়ারী কনি তাকে নেলসনে ডেকে পাঠান। স্যার লিয়ারীর আত্মজীবনী 'ক্রিকেট অ্যান্ড আই' লিখতে সাহায্য করার জন্য। কথা দেন জেমস তখন যে বই লিখছেন, তা প্রকাশ করতে সাহায্য করবেন। সেই বইটির নাম 'লাইফ অফ ক্যাপ্টেন কিপ্রিয়ানী'। এই কিপ্রিয়ানী ছিলেন জেমসের ত্রিনিদাদে র এক শ্রমিক নেতা, যিনি মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলতেন। 'লাইফ অফ ক্যাপ্টেন কিপ্রিয়ানী- দ্য কেস ফর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সেলফ গভর্নমেন্ট' লেখার পরেই তাঁকে 'ইন্টারন্যাশনাল আফ্রিকান ফ্রেন্ডস অফ আবিসিনিয়া' এর সম্মানিত চেয়ার দেওয়া হয়। এরপরে ১৯৩৪ সালে তিনি হাইতির সফল দাস বিদ্রোহের নেতা তু সাঁ লাভর্তু এর ওপর তিন অংকের নাটক লেখেন। ১৯৩৬ সালে জেমস একটি উপন্যাস লেখেন। নাম ছিল 'মিন্টি অ্যালে'।

দায় কার?: মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধীদের উপর গুলি চালালো হাসিনা সরকার

Image
রূপক গায়েন   ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দুদিন ব্যাপী (২৬-২৭ মার্চ) বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদীকে সেখানে আসার আহ্বান জানায় হাসিনা সরকার। কিন্তু দেশের এই গরিমালগ্ন উদযাপনকালে গুজরাট দাঙ্গার মুখ, ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকারের প্রধান এবং বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করতে চাওয়া মোদীর আগমন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না সে দেশের মানুষ; ফলত দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিশেষত ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সামিল হয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ভোট প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করে ক্ষমতাসীন রয়েছে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লিগ। দেশের বিভিন্ন অংশে মোদী বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের সাথে যৌথভাবে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের গুন্ডারা। বিক্ষোভ দমনে গুলি চালিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার চারজন বিক্ষোভকারী ছাত্রকে নির্বিচারে হত্যা করেছে তারা। সারা দেশে মোট ১১জন মৃত। এইভাবে দমন পীড়নের মধ্য দিয়েই সে দেশে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে, যা নিন্দনীয়। বস্তুত বাংলাদেশের মুক্ত

কোভিড, আম্ফান এবং দেশের জুটমিলের শ্রমিকদের পরিস্থিতি

Image
সায়ন নন্দী  বিশ্ব অর্থনীতি যখন উদারবাদের জাঁতাকলে আটকে, মহামারী এবং আম্ফানের সময়ে খেটে খাওয়া মানুষ যখন খেটে খাওয়ার কূল কিনারা পাচ্ছে না, সে সময় শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নতুন মাত্রা নিয়েছিল দেশের জুটমিলগুলিতে। লকডাউন কঠোর ভাবে জারি থাকার সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জুটমিলগুলিতে সীমিত উৎপাদন চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার তা মেনে নিয়ে দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলাকালীনই তা শুরু করে দেয়। আম্ফানের পর রাজ্য সরকারের নির্দেশে পূর্ণ উৎপাদন চালু হয়। মন্দার বাজারেও শিল্পক্ষেত্রগুলির মধ্যে জুটশিল্পকে কেন্দ্র করে সিআইআই দ্বারা আয়োজিত একটি অনলাইন সভাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে জুটমিলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। আনলক চলাকালীনই বিপুল পরিমাণে চটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হতে থাকে। সেদিক থেকে দেখলে, প্রচুর মুনাফার আশায় জুটমিলগুলিও উৎপাদন বৃদ্ধি শুরু করে। রিলায়েন্স সহ বহুজাতিক কোম্পানীগুলি বাজারে চটের বস্তার চাহিদার বৃদ্ধি ঘটালে, জুটমিলগুলিতে কাজের সময় এবং চাপ দুই-ই বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার সাথে বাড়তে থাকে শ্রমিকদের ওপর শোষণ-পীড়ন। বেশকিছু জুটমিল মালিকরা লকডাউন চলাকালীনই বুঝে গ

ইকুয়াডরের নির্বাচন থেকে বাংলা কি শিক্ষা নেবে?

Image
অনন্যা দেব দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরে সাধারণ নির্বাচন চলছে। দু'পর্যায়ের নির্বাচনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন সমাপ্ত। দ্বিতীয় পর্যায় ১১ই এপ্রিল এবং ফল ঘোষণা ২৪শে মে। বামপন্থী নেতা আন্দ্রে আরাউস-এর বিরুদ্ধে তথাকথিত বামপন্থী প্রার্থী ইয়াকু পেরেস বিরোধিতা শুরু করেছে। অশান্তির সূত্রপাত এখান থেকেই।  দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের অন্যান্য দেশগুলির মতন ইকুয়েডর প্রদেশটিরও বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে যে কারণে বামপন্থী নেতা রাফায়েল কোরিয়া প্রেসিডেন্ট পদে দীর্ঘদিন ক্ষমতাধীন ছিলেন। রাফায়েল কোরিয়ার মতাদর্শ অনেকটা ভেনেজুয়েলার হুগো সাভেজ, বলিভিয়ার ইভো মরালেস এবং নিকারাগুয়ার স্যান্ডিনিষ্টা আন্দোলনের মতাদর্শের কাছাকাছি। একই সাথে কিউবার বিপ্লবী সরকারের সাথে তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ সংযোগ রাখতেন। ২০১৪ সাল নাগাদ যখন তেলের দাম পড়ছিল, তখন তিনি উচ্চবিত্তদের উপর ট্যাক্সবৃদ্ধি সহ বংশানুক্রমিক সম্পত্তি বৃদ্ধি করা অংশের উপরও ট্যাক্স বৃদ্ধি করেন এবং গরিবদের উপর ট্যাক্স কমিয়ে দেন। তাঁর সময়কালে জনগণের জন্য সরকারি বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধি পায়, দূর্নীতি অনেকখানি কমে আসে। ওদে ব্রেকথ নামক ব্রাজিলীয় কোম্পানি ইকুয

আইএসএফ কতটা ধর্মনিরপেক্ষ?

Image
সায়ন নন্দী  ধর্মকে স্তম্ভ করে বিধানসভা ২০২১-এর নির্বাচন যে সংঘটিত হতে চলেছে তা হয়তো অতি নির্বোধেরও বোঝা বাকি নেই। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু বা মুসলমান সম্প্রদায় মানুষের অবস্থা যে শোচনীয় তা বলতে দ্বিধা নেই। বাম আমলে সাচার কমিটির রিপোর্ট থেকে তা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। সে সময় মমতা সংখ্যালঘুদেরকে নিজের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মমতা ব্যানার্জীর কাছে শুধুমাত্র এক বৃহৎ ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে গণ্য হতে শুরু করে পরির্বতনের হাওয়া রাজ্যে বাড়ন্ত হওয়ার সময় থেকেই। বিভিন্ন ধর্মগুরুকে অযথা আদিখ্যেতার মাধ্যমে বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা হতে থাকে তৃণমূলের হাত ধরে। মুসলমান সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নতির বদলে সুযোগসন্ধানী ধর্মগুরুদের তোষামোদের ফলে বিজেপির সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পথ প্রশস্ত হতে থাকে। বাংলাদেশী ঘুষপেটিয়ার ট্রাম্প কার্ড খেলে বিজেপি রাজ্যে সংগঠনের বিস্তার শুরু করে। দোসর হয় বামেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং তৃণমূল সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি। অপরপক্ষে, বিজেপির বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত, রাম মন্দির রায়, এনআরসি-এনপিআর-এর মত পদক্ষেপের ফলে মুসলমান সম্প্রদায় ভীত সন্ত্রস্ত হতে থা

FUDGING IN ADMISSION SYSTEM

Image
Ayanika Paul Admissions in colleges and universities have taken a toll in the education systems. It has dramatically changed in the digital age. Amidst this new landscape, the malfunctioning in the college entrance examinations has highly set a new political tinge in selecting and differentiating student’s courses and their right to take decisions for themselves. By talking about ‘political tinge’, it has enhanced a great sign of showing admission in colleges and universities in illegal terms.  Students and candidates who are not eligible for a particular course or programmes, or maybe not legible or fulfilling the required criteria are now getting admissions by donating a cosmic amount of money to the college authorities, who may or may not know about behind the scenes. In this way, the ruling political parties have evoked in this current scenario of demands, thereby involving a total superiority. According to the course, the political party has started to take the hold of the student

অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ স্মরণে

Image
সুমিত গাঙ্গুলি  স্বাধীনতা উত্তর ভারতের মার্কসীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ইতিহাসবিদেরা ফ্যাসিবাদী ইতিহাস বিকৃতি ও ইতিহাসের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিলেন সদ্যপ্রয়াত অধ্যাপক দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ ঝাঁ। মূলতঃ ডঃ ঝাঁ ও সহযোগী ইতিহাসবিদদের লড়াই; শত প্রচেষ্টার পরেও ইতিহাস নির্মাণে ততটা বিকৃতি ঘটাতে দেয়নি যতটা ভারতের শাসক শ্রেণি ঘটাতে বদ্ধ-পরিকর ছিল। ফ্যাসিবাদ আসলে একটি দক্ষিনপন্থী গণ-আন্দোলন ও গণ-উন্মাদনা; যার ভিত্তিভূমি সৃষ্টির জন্য সর্বাগ্রে দরকার পরে ইতিহাসের বিকৃতি; যা ইতিহাসের নতুন ব্যাখ্যা ও সাধারণ শত্রু সৃষ্টি করে সমাজের সর্বহারা শ্রেণির একাংশ ও পেটি বুর্জোয়া শ্রেণির একাংশকে সবসময় একটি জ্বলন্ত সাধারণ   ইস্যু হাতে ধরিয়ে দিয়ে সবসময় উত্তেজিত রাখে। এরই বিরুদ্ধে মূলতঃ লড়াই চালিয়েছিলেন ভারতের তাবৎ বামপন্থী ইতিহাসবিদেরা। ডি এন ঝাঁ ছিলেন তাদের পুরোধা।   বহুত্ববাদ ও যুক্তিবাদের নির্ভীক প্রবক্তা প্রফেসর ঝাঁ জন্মেছিলেন ১৯৪০ সালে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে বি এ পাস করে তিনি এম এ পড়তে ভর্তি হন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে

গন্ধ

Image
বিমলকান্তি দাশগুপ্ত সকালে যখন ঘুম ভাঙল, সন্ধ্যা তখন ঘোর। বাইরে বেশ জাঁকিয়ে অন্ধকার নেমেছে। তিথি নিশ্চয় অমাবস্যা হবে। ধীরপায়ে অভ্যস্ত পথে মামার বাড়িতে ঢুকছি। বাঁশের বেড়ার গেট পেরিয়েই বারান্দা। উত্তরে দক্ষিণে টানা ঘর। পুবমুখী দরজা। ছেঁচাবাঁশের বেড়া। টিনের দোচালা। বাঁশের খুঁটির উপর ভর করে আছে টিনের একচালা টানা বারান্দা। ওই বাঁশের বেড়ার আড়াল দিয়েই রচনা করা দু’খানা কামরা। নীচু বারান্দার একধাপ উপরে মূল ঘর। উঠানে ঘন অন্ধকার। নারকেল জাম সজিনা বকুল আর কাঁঠালের গাছেরা আকাশের আলো আড়াল করে রেখেছে। অন্ধকারে পা টিপে টিপে চলেছি। অন্ধমানুষ চলবার সময় যেমন করে হাত সামনে বাড়িয়ে পথের দিশা ঠিক করে। অনেকটা তেমন করে সামনের ঘর পার করে শেষের ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ছেঁচাবেড়ার জালিছিদ্র ভেদ করে ছোটো ছোটো আলোর বিন্দু মাটিতে ছড়িয়ে আছে। অনেকটা যেন মালা থেকে খসে পড়া পুঁতি। আর যারা মাটিতে পড়তে পেল না, তারা, পাঠশালার ছাত্ররা ছুটির ঘন্টা পড়লে যেমন করে ক্লাসঘর থেকে এক ছুটে বাইরে বেরিয়ে পড়ে ঝাঁক বেঁধে, ঠিক তেমনই যেন ছুটছে। শুধু দেখা যায়   শীর্ণ একটা আলোর রেখা অন্ধকার ভেদ করে আলোর সন্ধানে ছুটে চলেছে। শুধু একটা রেখাচিহ্

আজ পিপল'স ব্রিগেডের ডাকে লকডাউনের ভরপাইয়ের দাবীতে মিছিলে মমতার পুলিশের আক্রমণ

Image
নিজস্ব সংবাদদাতা, ৯ই মার্চ ২০২১ঃ  আজ পিপল'স ব্রিগেডের ডাকে লকডাউনের ভরপাইয়ের দাবীতে মৌলালীর রামলীলা ময়দান থেকে মিছিলে যোগ দিতে এসেছিলেন এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষেরা।  জমায়েতের কিছু চিত্র  দাবী ছিলঃ ১. আর্থিকভাবে দুর্বল সব পরিবারকে ১লক্ষ টাকা দিতে হবে। ২. অন্তত এক বছর সকল ক্ষুদ্র ঋণ মুকুব করতে হবে। ৩. ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম সহ কোথাও দিনে ৮ঘন্টার বেশী কাজ করানো চলবে না। ৪. লকডাউনে ছাঁটাই হওয়া সকলকে পুনর্বহাল করতে হবে। ৫. ধসে যাওয়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে।  মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গণগ্রেফতারী কিন্তু এই দাবীগুলির তেজে ক্ষিপ্ত মমতা পুলিশ লেলিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে নৃশংস লাঠিচার্জ এবং গণগ্রেফতারীর পথে হাঁটল। রাজ্যের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ এক লজ্জাজনক অধ্যায়। মিছিলে পুলিশি আক্রমণের একটি মর্মান্তিক দৃশ্য আগত আন্দোলনকারী জানালেন তীব্র প্রতিবাদ। তাঁদের ক্ষোভ থেকেই স্পষ্ট যে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষকে লকডাউন এবং আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে কিভাবে অন্ধকারেই রেখে দিয়েছে। মিছিলে পুলিশি আক্রমণ পুলিশ ছিল মারমুখী ভূমিকায়। আমাদের সাংবাদিককে পর্যন্ত তারা

গেরুয়া ব্রিগেডের জনবিরোধী বার্তা

Image
০৭.০৩.২০২১:  বিজেপির রাজনীতি সম্পর্কে এ রাজ্যের মানুষ ওয়াকিবহাল, তাই আজকের ব্রিগেডের কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্যতেই কেবল আলোকপাত করা হচ্ছেঃ  ১. প্রচারে অতিরিক্ত তারকা নির্ভরশীলতাঃ সকাল থেকেই প্রচারের মুখ ছিল টলি পাড়ার তারকারা। বাংলার রাজনীতিতে তারকাদের এনে মমতা ব্যানার্জী প্রথম মানুষের দাবিদাওয়াকে গ্ল্যামারের আলোয় ঢেকে দিতে চেয়েছিল; বিজেপি সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চলছে তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের মাফিয়ারাজের বিরোধিতার নামে তার অনুগ্রহ বঞ্চিতদের গেরুয়া ছায়ায় গিয়ে আখের গোছানোর মিছিল। আজ সকাল থেকেই অঞ্জনা বসু থেকে রিমঝিম মিত্র, যশ দাশগুপ্ত থেকে অনিন্দ্য ব্যানার্জী সকলেই ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই’ স্লোগান দিয়ে নিজেদের পেশার স্থায়িত্ব রক্ষা করতে ব্যস্ত; বলা ভালো, আগামীদিনে ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো কাজের সুযোগ পেতে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখার চেষ্টা আর কি! অঞ্জনা বসু যে কতবার বিক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়েছে, আবার ফিরে এসছে তার হিসেব কষা কঠিন। রিমঝিম নিজের প্রার্থী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ঢেকে রাখেনি। যশ বিজেপির সাথে নিজের আদর্শের মিলের কথা বললেও সেই আদর্শের স্বরূপ কিরকম তা সে কখনই খুলে বলতে অপারগ; বিজেপির সাথে মিল

খাদ্য পুষ্টি স্বাদ সংস্কার

Image
  বিমলকান্তি দাশগুপ্ত  খাদ্যগ্রহণ, প্রাণের স্বাভাবিক ক্রিয়া। এর জন্য কারো অনুমতি বা অনুমোদন দরকার হ্য় না। জীবনচক্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খাদ্য গ্রহণ বা খাওয়া ক্রিয়া। আমরা মানুষেরা যেমন খাই, পশুরাও খায়। কীট পতঙ্গ এরাও খায়। এমন কি উদ্ভিদ, যাকে কিছু বছর আগেও জড়বস্তু   বলে ধারণা করা হত, দেখা গেছে তারাও খায়। খাদ্য গ্রহণ করে। আর তাতেইনা মুক্তি ঘটল গাছের জড়জীবনের বন্দীদশা থেকে। বিশ্বভরাপ্রাণের রাজ্যে তার স্থান হল। এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তার আসন আজ প্রতিষ্ঠিত। এখন বুঝেছি আমরা, মানুষেরা, প্রাণের আদি উৎস তো উদ্ভিদই।  বাঁচার জন্য খাওয়া, না কি খাওয়ার জন্য বাঁচা। কোনটা ঠিক। খাই বলেই বেঁচে আছি। এ তত্ত্ব সকলের জানা। কিন্তু কেমন করে। খাদ্য আর বেঁচে থাকবার মধ্যে সম্পর্কটা কী। খাদ্য আমাদের কী দেয়। যার কারণে আমরা বেঁচে থাকি। দেয় পুষ্টি বা শক্তি। সে জন্য খাই আর খাই বলেই বেঁচে আছি। আর কিছু কি। খাবারে থাকে প্রোটিন ফ্যাট মিনারেল(লবন) ভিটামিন, প্রধাণত। এ ছাড়া আরও অনেক কিছু থাকে। যা না জানলে খাওয়ায় খুব একটা বাধা হয় না। প্রধান উপাদানগুলো শরীর গঠনে সাহায্য করে। শক্তি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ করে। এটুকু জ

গণতন্ত্র ও মায়ানমার: আজকের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট কি?

Image
অকৈতব জানা   ১লা ফেব্রুয়ারী, রবিবার, এক এরোবিক্সের শিক্ষিকা একটা ভিডিও তার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য রেকর্ড করা চালু করেছেন, এমন সময়ে দেখা গেল, পিছনেই সারি সারি মিলিটারি গাড়ি ছুটে যাচ্ছে দেশের গণতন্ত্র হরণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। সেইদিন রাতেই অং স্যান স্যু কি এবং তার অনুগামীদের আটক করল মায়ানমারের মিলিটারি জুন্টা। দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা এবং সকল প্রকার গণমাধ্যম নিষ্ক্রিয় করা হয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য। মিলেটারির তরফ থেকে জানানো হয় যে কিছু অবৈধ ওয়াকিটকি দেশে আমদানী করার জন্য স্যু কি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এক বছরের জন্য এই জরুরি অবস্থা জারী রেখে দেশের শাসনব্যবস্থা তারা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে কারণ স্যু কি-রা নাকি নির্বাচনী কারচুপি করে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছে। জনগণের তরফ থেকে শুরু হয় গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন।   ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতের মত মায়ানমার (বার্মা) ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান মায়ানমার কব্জা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় সেনার একাংশ ব্রিটিশ ও মার্কিন মদতে মায়ানমার পুনরুদ্ধার করে। এই স্থানীয় সেনার নেতৃত্ব দেন অং স্যান। মায়ানমারের ১৩৫টি জাতিকে রাজনৈতি